somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নতুন নকিব
আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

শেখার পথে চলতে গিয়ে সাহসহারা, বারে বারে যাচ্ছ থেমে তোমরা যারা...

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
শেখার পথে চলতে গিয়ে সাহসহারা,
বারে বারে যাচ্ছ থেমে তোমরা যারা..
.


ছবিঃ অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।

আমাদের এই জীবন অনেক দামী। জীবন একটাই। জীবন থেমে থাকার নয়। নিরন্তর চলমান। নদীর মত। ক্লান্তিহীনভাবে বহমান। নদীর যেমন বিশ্রাম নেই, জোয়ার ভাটার টানে কুলুকুলু রবে বয়ে চলে। চলতেই থাকে অবিরাম। আমাদের জীবনও তেমনই। ঠিক নদীর মতই। অলসতা, অকর্মণ্যতার স্থান থাকার সুযোগ থাকা উচিত নয় আমাদের জীবনেও। যা কিছু করার, ক্ষুদ্র এই এক জীবনেই করে যেতে হবে আপনাকে। নিজের জন্য, নিজেদের জন্য। অপরের জন্যও। সর্বোপরি সুন্দর একটি পৃথিবী বিনির্মানের স্বপ্নে ধরে রাখতে হবে নিরন্তর এই পথচলার গতি। থেমে থাকা যাবে না পথিমধ্যে।

নিজের প্রতি দয়াপরবশ হোন। এবং নতুন জীবনের পথে সেই অধ্যায়টা শুরু হোক আজ থেকেই। জীবনে এক্সকিউজ খুঁজবেন না। টাকার অভাব। এটা কিনতে পারি না। ওটা কিনতে পারি না। নোট বই নেই। ভালো ভালো পাবলিশারের গাইড বইগুলো কিনতে পারি না। প্রাইভেট পড়ার সুযোগ নিতে পারি না বলে ভালো কিছু হচ্ছে না। প্রায় সময়ই কারেন্ট থাকে না। লোডশেডিংয়ের কারণেও পড়ালেখায় পিছিয়ে যাচ্ছি। পুজি না থাকার কারণে ব্যবসায় নামা হচ্ছে না। ইচ্ছে করলে এমন কত অযুহাতই তো দাঁড় করানো সম্ভব।

আসলে এসব এক্সকিউজ বা অযুহাত তুলে নিরব, নিষ্কৃয় এবং হতোদ্যম হয়ে বসে থাকার সুযোগ তো সবারই থাকে। বসে থাকেনও অনেকে। আসলে অযুহাতপ্রিয় কিছু মানুষই থাকেন। তারা আলাদা। বিশেষ বৈশিষ্ট্যের। যে কোন কাজে তারা অযুহাত দিতে পছন্দ করেন। কাজের সাফল্য অর্জনের চেয়ে অযুহাত উত্থাপন করেই তারা অধিক স্বস্তিলাভ করেন। আনন্দ পান। কথায় বলে না, ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। এই স্বভাবের লোকেরাও স্বর্গে গেলেও অযুহাত ছেড়ে দিতে পারবেন কি না - কে জানে।

আসল কথা হচ্ছে, লাইফে যদি সোজা হয়ে উঠে দাঁড়াতে হয় তাহলে মনটাকে বড় করতে হবে। দুঃখ, দুর্দশা, হতাশা আর ক্ষুদ্রতাকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আপনি উঠুন। সাহসে ভর করে উঠে দাঁড়ান। কোমরটাকে সোজা করে বুক টান করে দাঁড়ান। ইস্পাত কঠিন সিদ্ধান্তটা আজকেই নিয়ে নিন- ''সফল আমাকে হতেই হবে, যে করেই হোক''। মনে রাখুন, আপনার চেষ্টা আপনাকে প্রতারিত করবে না। অবশ্যই কর্মের প্রতিফল সুনির্ধারিত। মহান প্রতিপালকের ওয়াদা এটাই। তিনি বলেন- لَّيْسَ لِلْإِنسَانِ إِلَّا مَا سَعَىٰ অর্থাৎ, মানুষ তো তাই পায়, যা সে করে। -সূরা আন নাজম, আয়াত ৩৯

তাই সফলতার মূলমন্ত্র আপনার হাতেই। আপনার দৃঢ়চেতা সিদ্ধান্ত এবং সর্বাবস্থায় অটুট মনোবলই আপনাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ রচনা করে দিবে। মনে গেঁথে রাখুন পুরনো প্রবাদ বাক্য- ''মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন''। মনে রাখুন এই উক্তির অন্তর্নিহিত অনুভব এবং অনুভূতিও- ''হয় আমি সফল হব, নয়তো সফলতা অর্জনের চেষ্টা করতে করতেই আমি নিঃশেষ হয়ে যাব, তবু থেমে যাব না মাঝপথে''।

এই চ্যালেঞ্জটা একবার নিয়ে নিন। মনে রাখবেন, জীবনে সফল হতে হলে চ্যালেঞ্জটা সর্বপ্রথম আপনাকেই নিতে হবে। নিজের সাথে চ্যালেঞ্জ। নিজেকে প্রশ্ন করুন, আর ৫ টা মানুষ পারলে আমি কেন পারবো না? আর ১০ জন সফল হতে পারলে আমি কেন পারবো না? বইয়ের সাথে সম্পর্ক গড়ুন। বই নিয়ে পড়ে থাকুন। শুধু বইই নয়, নিজেকে দক্ষ করে তুলতে, কোন বিষয়কে আয়ত্ত্ব করতে শেখার সকল পথ ও পদ্ধতিই এপ্লাই করতে সচেষ্ট হোন। আপনি যা শিখতে চান, তা মনযোগ দিয়ে শিখুন। শেখার পেছনে পড়ে থাকুন। শুধু পড়ে থাকা নয়, ঠিক জোঁকের মত লেগে থাকুন।

আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান হোন। বিশ্বাস করুন নিজেকে। আস্থা রাখুন নিজের উপরে। মনে রাখবেন, জীবন চলার পথের এই যুদ্ধটা আপনার একারই। আর লড়েও যেতে হবে আপনার একাকেই। বিশ্বাস করুন, সফলতা আপনার জন্য নিশ্চিত অপেক্ষমান। সেই সফলতাকে আপনি হাতে মুঠোয় পুড়ে নিতে পারবেন অনায়াসেই, শুধু প্রয়োজন আপনার নিরন্তর লেগে থাকা।

পুনশ্চঃ লেখাটা মূলতঃ পরিবারের একজনের উদ্দেশ্যে ক'দিন পূর্বে লিখেছিলাম। যদিও তাকে এখন পর্যন্ত এই লেখা পৌঁছে দিতে পারিনি তবু ভাবলাম, সামুও তো আমার আরেকটি পরিবারই। সামু পরিবারের সদস্যদের সাথে শেয়ার করতে পারি।

কষ্ট করে পাঠের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। শুভকামনা সবার জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০৩
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এই প্রথম কোন ব্লগারের সাথে আড্ডা :-B

লিখেছেন সোহানী, ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:০১



জীবনের ১৬ বছর ব্লগে কাটিয়েও কারো সাথে কখনই আড্ডা দেয়ার সুযোগ হয়নি। বা বলা যায় দেখা করারই সুযোগ হয়নি। যাহোক, এবার সে সুযোগ করে দিয়েছে আমাদের আবহাওয়াবিদ ব্লগার [link|https://www.somewhereinblog.net/blog/mostofa_kamal|মোস্তফা কামাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ - সারা'কে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০০


আমার কর্মস্থল আমার বাড়ি থেকে প্রায় ১১৪০ কিলোমিটার দূরে, অন্তত গুগল ম্যাপ সেটাই বলছে। তবে অতটা পথ পাড়ি দিয়ে আমাকে প্রতিদিন যেতে আসতে হয় না। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়েই... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহনার কীর্তিকলাপ, কিংবা পাগলামি, কিংবা ভালোবাসা

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫০

অহনা খুব জ্বালাতন করতো, অর্থাৎ খুব জ্বালাত,
বা বিরক্ত করতো আমাকে, যেমন, হঠাৎ হঠাৎ মাঝরাতে
মোবাইলে কল করে বলতো, ‘তুই যে ঘুমিয়েছিস, ঘুমানোর
আগে কি আমার কথা ভেবেছিস? বল, কতবার ভেবেছিস?
তাহলে একবার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ১৫ বছর

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৭

১৫ বছর পূর্তির এই পোস্টটা যখন লিখছি, তখন আমি একটা বড় পারিবারিক দূর্বিপাকের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমার ছোটভাইয়ের কনিষ্ঠ পুত্র, যার বয়স ১১ মাস, সে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিব্যক্তি

লিখেছেন আরোগ্য, ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০০





১. অদ্ভুত মোহ মায়ার জগৎ এটা। সবকিছু ছেড়ে চলে যেতে হবে জেনেও বারবার আঁকড়ে ধরার ব্যর্থ চেষ্টায় রত থাকি। শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে কেউ আর বেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×