somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নতুন নকিব
আলহামদুলিল্লাহ! যা চেয়েছিলাম, তার চেয়েও বেশি দয়া করেছেন আমার পরম প্রিয় রব। যা পাইনি, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই—কারণ জানি, তিনি দেন শুধু কল্যাণই। সিজদাবনত শুকরিয়া।nnপ্রত্যাশার একটি ঘর এখনও কি ফাঁকা পড়ে আছে কি না, জানি না। তবে এটুকু জানি—

অন্য ব্লগারদের পোস্টকে এখনও গার্বেজই মনে করেন সোনাগাজী!

২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
অন্য ব্লগারদের পোস্টকে এখনও গার্বেজই মনে করেন সোনাগাজী!



সোনাগাজীর ধারণা, তিনি ব্লগে একটিভ না থাকলে ব্লগ স্থবির হয়ে পড়বে, এই কারণে লিখবো না লিখবো না করেও তার না কি লিখতেই হচ্ছে। নিজের সাম্প্রতিক এক পোস্টে এমন মতই প্রকাশ করেছেন তিনি। তার ভাষায় - "এই খারাপ সময়ে, আসলে আমারো ব্লগিং করা উচিত হচ্ছে না; প্রতিদিন ভাবি, নতুন পোষ্ট লিখবো না; কিন্তু অন্যদের লেখা গার্বেজ ব্লগে দেখলে তখন কিছু একটা লিখতে হয়; কারণ, শতকরা ৮০ ভাগ ব্লগার তাঁদের জানা সাধারণ বিষয়কে লিখতে গিয়ে গরুর রচনা লিখছেন, কিংবা গার্বেজ ঢালছেন ব্লগে।"

আসলে সোনাগাজী হয়তো বিশেষ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী বড় মানুষই জ্ঞান করে থাকেন নিজেকে। তবে তিনি মনে, না দেহে বড়, তা অবশ্য জানি না, কারণ তাকে দেখা হয়নি কখনো। এই বড়ত্বের অনুভূতি থেকেই কি না জানি না, তিনি হয়তো নিজেকে অন্যদের চেয়ে আলাদাও ভেবে থাকেন। একইভাবে অন্যদের চেয়ে বড় করে, আলাদা দৃষ্টিতে দেখে থাকেন নিজের লেখাকেও। হয়তো সেই কারণেই তার সেই পোস্টে তিনি নিজের পোস্ট ব্যতিত অন্য ব্লগারদের পোস্টকে গার্বেজ বলে অভিহিত করতে পেরেছেন। অবশ্য একই পোস্টে তিনি "৮০ ভাগ ব্লগার সাধারণ বিষয় লিখতে গিয়ে গরুর রচনা লিখছেন কিংবা ব্লগে গার্বেজ ঢালছেন" বলেও নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন।

একই পোস্টের শেষের দিকে এসে ব্লগার জটিল ভাই, জুল ভার্ণ, ভুয়া, নীল আকাশ, জিকোব্লগ, শেরজা, করুণা ধারা, সোনালী কাবিন, অপুসহ সম্মানিত কয়েকজন ব্লগারের নাম উল্লেখ করে তাদেরকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তিনি।

কমেন্ট ব্যান, বিভিন্ন সময় জেনারেল স্ট্যাটাস লাভ করা - ইত্যাদি নানাবিধ অবস্থার ভেতর দিয়ে যাওয়ার ফলে ব্লগার সোনাগাজীর প্রতি আমার সাম্প্রতিক ধারণা এবং প্রত্যাশা ছিল - তিনি নিজেকে হয়তো ক্রমান্বয়ে বদলাতে চেষ্টা করবেন, বিশেষ করে অন্যদের সম্মানহানি হয় এমন আচরণ থেকে বিরত থেকেই তার ব্লগিং অব্যাহত রাখতে সচেষ্ট হবেন; কিন্তু আদতে আমার হতাশাকেই বৃদ্ধি করেছে করেছে তার এই পোস্ট।

অবশ্য, তার আলোচিত পোস্টটিতে মন্তব্য করেও এই কথাগুলো তাকে অবহিত করা যেত। আমার ধারণা, সেক্ষেত্রে তিনি হয়তো দুই চার শব্দের সংক্ষিপ্ত একটা উত্তর দিয়েই যুক্তি দেখাতেন কিংবা নিজের দায় শেষ করে দিতেন। এই আশঙ্কা থেকেই মূলতঃ পোস্ট দিতে হলো। তার প্রতি আমার ব্যক্তিগত কোনো বিদ্বেষ, ক্ষোভ কিংবা আক্রোশ আগেও ছিল না, এখনও নেই; বরং সত্যি কথা বলতে, একজন বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে তার প্রতি আমার একটা শ্রদ্ধাবোধ সবসময়ই ছিল। আমি এই শ্রদ্ধাবোধের স্থানটিকে অটুট রাখতে চাই, তার নিকট থেকে শুধু একটাই প্রত্যাশা, তিনি অন্যদের সম্মানের প্রতি লক্ষ্য রেখে ব্লগিং করার প্রতি যত্নবান হবেন। একইসাথে আমার ধারণা, তিনিও আমার প্রতি হৃদ্যতাপূর্ণ আচরণই দেখিয়ে থাকেন।

পরিশেষে বলতে চাই, সোনাগাজী দেশ নিয়ে ভাবেন। দেশের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করেন। দেশের মানুষের কল্যান চিন্তায় একজন দেশপ্রেমিক হিসেবেই তাকে দেখেছি। এই পোস্ট কোনোভাবেই তাকে হেয় করার জন্য নয়, বরং তার আত্মোপলব্ধিগুলোকে একটু হলেও জাগিয়ে তুলতে/ পরিশীলিত করতে সহায়ক হবে বলেই বিশ্বাস করি।

সোনাগাজীর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।

তার সেই পোস্ট - ব্লগার মোহাম্মদ গোফরানকে ব্লগে দেখছি না।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:২১
২০টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×