
সাম্প্রতিক সময়ে, এমনকি ২০২৫ সালের ঈদুল ফিতরের দিনেও থেমে থাকেনি ইসরায়েলের নৃশংসতা। তারা ঈদের দিনেও কেড়ে নিয়েছে নিরস্ত্র অনেক ফিলিস্তিনির প্রাণ। তাদের নিক্ষিপ্ত বোমার আঘাতে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত শিশুদের প্রাণ ঝড়ছে গাজায়। এই নৃশংসতার শেষ কোথায়? এই গণহত্যার পরিসমাপ্তি কোন পথে? এই মানবতাবিরোধী জিঘাংসা থেকে ফিলিস্তিনিদের মুক্তির উপায় কী? মুসলিম দেশগুলোর বিশ্বসংস্থা ওআইসি কী করছে?
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের গাজা আক্রমণ আজও (২০২৫) অব্যাহত আছে। ঈদুল ফিতরের মতো পবিত্র দিনেও ইসরায়েলি বোমা হামলা থামেনি—নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে মসজিদের চত্বর, উদ্বাস্তু শিবির ও শিশুদের খেলার মাঠ। জাতিসংঘের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত ৩৫,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু। গাজার ৮০% ভবন ধ্বংস হয়েছে, ২০ লাখ মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
গাজায় কী ঘটছে?
অপারেশন "আয়রন সোর্ড"-এর নামে ইসরায়েল গাজার উপর চালাচ্ছে অবিরত বিমান হামলা, ভূমি আক্রমণ ও নৌ অবরোধ।
হাসপাতাল, স্কুল, UNRWA-র শেল্টারেও হামলা চালানো হয়েছে—যুদ্ধাপরাধের সুস্পষ্ট উদাহরণ।
ইসরায়েলি সেনারা ইচ্ছাকৃতভাবে খাদ্য, পানি ও ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করে সমষ্টিগত শাস্তি দিচ্ছে।
২০২৫ সালের ঈদের দিনেও রাফাহ শহরে হামলা চালিয়ে ৫০+ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে।
মুসলিম বিশ্ব ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা
ওআইসি (OIC) শুধু বিবৃতি দিয়েছে, কিন্তু ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।
মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ (সৌদি আরব, UAE) ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করছে, যা ফিলিস্তিনিদের প্রতি ঘাতক চাপ হিসেবে কাজ করছে।
আন্তর্জাতিক আদালত (ICJ) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার তদন্ত শুরু করলেও আমেরিকা ও ইউরোপের ভেটো রাজনীতির কারণে কোনো শাস্তি হয়নি।
ফিলিস্তিনিদের মুক্তির উপায় কী?
১. বৈশ্বিক বয়কট (BDS আন্দোলন) জোরদার করা: ইসরায়েলি পণ্য, কোম্পানি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বর্জন।
২. সশস্ত্র প্রতিরোধের পাশাপাশি কূটনৈতিক চাপ বাড়ানো: ফিলিস্তিনি নেতৃত্বকে বিভেদ ভুলে একত্র হতে হবে।
৩. মুসলিম দেশগুলোর জরুরি সম্মিলন: ওআইসিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করতে হবে।
৪. আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় সোচ্চার হওয়া: গাজার বাস্তবতা বিশ্বব্যাপী প্রচার করতে সামাজিক মাধ্যম ও সংবাদমাধ্যম ব্যবহার করা।
শেষ কথা: আমাদের দায়িত্ব
ফিলিস্তিনিরা একা লড়ছে না—এটা সমগ্র মানবতার লড়াই। ইসরায়েলের এই নৃশংসতা বন্ধ করতে হলে আমাদের জাগ্রত হতে হবে, সরকারগুলোর উপর চাপ তৈরি করতে হবে এবং ফিলিস্তিনিদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে। নীরবতা সমর্থনের শামিল—এই নীতিতে বিশ্বাসী হয়ে প্রতিবাদ ও প্রচারণা চালিয়ে যেতে হবে।
"যখন ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো হয় না, তখন অত্যাচারীর জয়গানই শোনা যায়।"—ফিলিস্তিনি কবি মাহমুদ দারউইশ
#FreePalestine #GazaGenocide #BoycottIsrael
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:০৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




