
শুধু মানুষ নয়, অন্য যে কোনো প্রাণির কষ্টই আমার কাছে অনাকাঙ্খিত। কিন্তু কেউ যখন সীমা লঙ্ঘন করেন, অন্যায়-অবিচারে অন্যদের জীবন অতিষ্ট করে তোলেন তখন তাকে প্রশ্রয় দেওয়া ন্যায় নয়, বরং অন্যায়ের পক্ষে নীরব সমর্থন।
একজন সীমাহীন উদ্ধত ব্যক্তির লাগাতার ঔদ্ধত্য আর অসংযত আচরণে যখন সহ্যের সব বাঁধ ভেঙে যাচ্ছিল, তখন আর কোনো আশ্রয় না পেয়ে শেষ আশ্রয়স্থল, শেষ ভরসাস্থল—সর্বশক্তিমান, কুল-কায়েনাতের একচ্ছত্র মালিকের দরবারে ফরিয়াদ জানিয়েছিলাম। বিচারের ভার তাঁর হাতেই সঁপে দিয়েছিলাম—নিভৃতে অস্ফুট উচ্চারণে বলেছিলাম:
“আল্লাহুম্মা ইন্না নাজআলুকা ফি নুহূরিহিম, ওয়া নাঊযু বিকা মিন শুরূরিহিম।”
(হে আল্লাহ, আমরা তাদেরকে আপনার কব্জায় তুলে দিচ্ছি, এবং তাদের অনিষ্ট থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি।)
তার জন্য এই একটি দোআই করেছি। বার বার করেছি। কত বার করেছি, বলতে পারবো না। হিসেব রাখিনি। কিন্তু কিছু দিনের ব্যবধানে আশ্চর্য্যজনকভাবে লক্ষ্য করলাম, মহান মালিক আমার ফরিয়াদ শুনেছেন, তিনি বিচার করেছেন। কী বিস্ময়কর দ্রুততায়, কী নিখুঁত সুবিচারে তিনি তাঁর ইনসাফ প্রকাশ করেছেন!
যে উদ্ধত ব্যক্তি অপমান আর ঔদ্ধত্যের অগ্নি ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিল, তাকেই আজ অপমান অপদস্ততায় নিমজ্জিত হতে হয়েছে। তার দম্ভ চুরমার হয়ে মাটিতে লুটিয়েছে। অহংকারের স্বর স্তব্ধ হয়ে গেছে; একসময়ের পাশবিক কণ্ঠে এখন আর কোনও গর্জন নেই, চোখেও নেই আগের সেই পাপের আগুন, শুধুই হতাশা, ঠিক যেন শুনশান নিরবতা।
ভাবতেও পারিনি, এত দ্রুত ন্যায়ের প্রতিধ্বনি ফিরে আসবে।
কিন্তু তিনি যে আল-‘আদল—চূড়ান্ত ন্যায়বিচারক।
তিনি ভুল করেন না, অবিচার করেন না, ব্যথাকাতর ফরিয়াদির আর্তনাদ উপেক্ষা করেন না।
সকল প্রশংসা সেই মহান মালিকের—শুরুতে, শেষে এবং অনন্তকাল জুড়ে।
সুবহানাল্লাহি বিহামদিহী সুবহানাল্লাহিল আযিম। ওয়া বিহামদিহী আস্তাগফিরুহ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




