
জনৈক ব্লগার আমাকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন বিষয়ে মাঝেমাঝেই উপহাস করে মিলাদের প্রসঙ্গটি টেনে আনতেন। মূলতঃ তার কথা মনে করেই এই পোস্ট!
সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক—হ্যাঁ, সেই রীতিমতো মহাকাব্যিক মানুষটি, যিনি একসময় সংবিধানের পৃষ্ঠায় গরম বাতাস ছাড়িয়া “অপব্যাখ্যা”র আগুন জ্বালাইয়াছিলেন—তিনি নাকি গতকাল ডিবির লুঙ্গির কোঁচড়ে ধরা পড়িয়াছেন!
আহা, হায় হায়! এই কি তবে আপনার প্রাপ্য, হক সাহেব? আপনি তো ছিলেন ফ্যাসিবাদ নামক জলজ ফুলটির প্রধান মালিঃ সময়মতো সার দিয়াছেন, পানি দিয়াছেন, এমনকি প্রয়োজনে গণতন্ত্র নামক আগাছাও পরিষ্কার করিয়া তবেই ক্ষান্ত হইয়াছিলেন!!!
তাই আমি ভাবিতেছি—এমন মহৎপ্রাণ, দুঃসাহসী, এবং "সংবিধানের দরজায় তালা মারা"র মূল কারিগরের জন্য আমাদের কিছু করা উচিত! উহার কল্যাণে অন্ততঃ একটা মিলাদ না দিলে কি চলে?
তবে মিলাদ বলুন আর যা-ই বলুন, সবকিছু অবশ্যই নির্ভর করছে ব্লগে আমাদের প্রিয় আওয়ামী ল্যাসপেন্সারদের সদয় সম্মতির উপর। উহারা যদি “হক সাহেব নির্দোষ! ডিম দিয়ো না, দুধ দাও!” জাতীয় আওয়াজ তোলেন, তাহলে আমি ঝুঁকি নিয়ে হলেও ব্লগে একটা মিলাদের আয়োজন করিতে প্রস্তুত।
আমাদের এই মিলাদের মূল উদ্দেশ্য হইতে পারে—
ডিম থেরাপি যেন দিনে তিনটার বেশি না দেওয়া হয় এবং ডিম যেন অতিরিক্ত গরম না থাকে
রিমান্ডে যেন তাকে "সংবিধান কীভাবে হত্যা করা যায়"–এই বিষয়ে আত্মসমালোচনা ও গবেষনার সুযোগ দেওয়া হয়
এবং সবচেয়ে বড় কথা, "বিচারপতিদের দলীয় ল্যাসপেন্সারে পরিণত হওয়ার গোপন কৌশল" ব্যাখ্যা করা সুযোগ যেন তাকে অবশ্যই দেওয়া হয়,
তবে একান্ত অনুরোধ—প্রথমে আওয়াজ তুলুন! কেবল তখনই মিলাদের বিষয়টি ঠিক করা যাইতে পারে!
ইহার জন্য শুধু একটা সম্মিলিত আওয়াজ চাই— “ডিম কমাও, ব্যাখ্যা থামাও—মিলাদ দাও!”
কারা কারা মিলাদের পক্ষে- হাত তুলুন, মতামত দিন কমেন্টে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:১৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




