somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নতুন নকিব
আলহামদুলিল্লাহ! যা চেয়েছিলাম, তার চেয়েও বেশি দয়া করেছেন আমার পরম প্রিয় রব। যা পাইনি, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই—কারণ জানি, তিনি দেন শুধু কল্যাণই। সিজদাবনত শুকরিয়া।nnপ্রত্যাশার একটি ঘর এখনও কি ফাঁকা পড়ে আছে কি না, জানি না। তবে এটুকু জানি—

অসহায় এক মা কুকুর ও মানুষের হারিয়ে-যাওয়া মমতার গল্প

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অসহায় এক মা কুকুর ও মানুষের হারিয়ে-যাওয়া মমতার গল্প

পথে হাঁটতে হাঁটতে যখন কোনো অভুক্ত কুকুর দেখি,
মনে হয়—এই পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায় প্রাণীটাই যেন আমার সামনে দাঁড়িয়ে
আজও ঠিক তেমনি এক ক্ষুধার্ত মা কুকুর
চুপচাপ এসে আমার সামনে দাঁড়াল।
কোনো শব্দ নেই, কোনো অভিযোগ নেই…
শুধু ক্ষুধায় কাঁপতে থাকা দু’চোখের নীরব অনুরোধ-
“বাঁচতে চাই… একটু খাবার দাও।”

খাবার বাড়িয়ে দিতেই
সে এমন তৃপ্তি নিয়ে খেতে লাগল
যেন দীর্ঘদিনের এক যন্ত্রণাকে মুক্তি দিলো।
তার প্রতিটি কামড়ে
আমার হৃদয়ের ভেতরেও যেন একধরনের ব্যথা আর শান্তি
যুগপৎ একসাথেই বাজছিল।

সে যখন খাচ্ছিল,
আমার চোখের সামনে ভেসে উঠল
তার ছোট্ট ছানাগুলোর ছবি-
যারা হয়তো এই মুহূর্তে তার জন্যই অপেক্ষায় আছে,
ক্ষুধায় কাঁদছে,
মায়ের কাছে ফিরে জড়িয়ে ধরে
নিরাপত্তার উষ্ণতা খুঁজছে।

ভাবতে ভালো লাগছিল-
এই সামান্য খাবার হয়তো তাদের জীবনও বাঁচাবে,
একটি মা কুকুর আবার ছুটে যাবে
নিজের বাচ্চাদের বাঁচানোর আনন্দ নিয়ে।

কিন্তু এই আনন্দের মাঝেই
হঠাৎ মনটা কেমন করে উঠল-
কারণ প্রশ্নটা বারবার ফিরে আসে-
মানুষ কীভাবে এত নির্মম হতে পারে?

কুকুর ছানাদের প্রতি এত ঘৃণা কেন?
কেন সেই ছোট্ট, নিরপরাধ প্রাণগুলোকে
বস্তাবন্দি করে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়?
কেন তাদের তাড়িয়ে মারতে আমরা একবারও ভাবি না-
তর তর করে দৌড়ানো সেই ছোট্ট প্রাণগুলোও
মায়ের পেটে ছিল,
মায়ের বুক খুঁজেছে,
মায়ের ভালোবাসায় বাঁচতে চেয়েছে!

হায়!
আমরা কোন পৃথিবীতে বাস করছি?
এক টুকরো মমতা,
একফোঁটা দয়া,
এতটুকু মানবতা
এমন করে ফুরিয়ে গেল কীভাবে?

প্রাণ তো প্রাণই-
ওদেরও ব্যথা আছে,
ওদেরও ক্ষুধা আছে,
ওদেরও বাঁচার অধিকার আছে।

আমরা কি সত্যিই ভুলে যাচ্ছি
যে মমতাই মানুষ হওয়ার প্রথম শর্ত?
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৬
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×