হাসিনাকে ব্লাশফেমি আইন করতে বাধ্য করা হবে: হেফাজত
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরী দাবি করেছেন, বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকতে হলে এবং ক্ষমতায় যেতে হলে অবশ্যই ব্লাশফেমি আইন প্রণয়ন করতে হবে। ব্লাশফেমি আইন ছাড়া ক্ষমতায় থাকা যাবে না এবং ক্ষমতায় আসাও যাবে না।
মঙ্গলবার বিকেলে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাতকারে ব্লাশফেমি আইন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন। বিবিসির কাছে দেওয়া সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী দেশে ব্লাশফেমি আইন চালু করা হবে না বলে জানান।
১৮ দলীয় জোটের শরীক নেজামে ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মুফতি ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ আইন প্রণয়ন করতে হবে। আইন করেই প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতায় থাকতে হবে। প্রয়োজনে তাকে আইন প্রণয়নে বাধ্য করা হবে।’
নারী নীতিতে কোরআন-সুন্নাহের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব ধারা-উপধারা বাতিলের দাবি জানান হেফাজতে ইসলামের এ শীর্ষ নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি শাহবাগের আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে তীব্র বিষোদগার করে তিনি বলেন,‘সেখানে নারীরা পরপুরুষদের হাত ধরে স্লোগান দেয় আর নাচানাচি করেন। যা শালীনতা বিবর্জিত।
হেফাজতে ইসলামের ডাকা সোমবারের হরতাল ও সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা বর্ণনা তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
লিখিত বক্তব্যে আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন,‘আমাদের শান্তিপূর্ণ হরতালে চট্টগ্রামমের লালখান বাজার, পটিয়া, আনোয়ার, ফটিকছড়িসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারদলীয় ছাত্র ও যুব সংগঠনের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র হামলা করে। এতে আমাদের প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর।’
হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।
গত ৬ এপ্রিল নগরীর ওয়াসা মোড়ে হেফাজতে ইসলামের অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে সংবাদকর্মীদের উপর হামলার ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন আজিজুল হক ইসলামাবাদী। তবে তিনি হামলার জন্য অবস্থান কর্মসূচিতে অনুপ্রবেশকারীদের দায়ী করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর হাফেজ তাজুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মইনুদ্দিন রুহী, সাহিত্য ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মুফতি হারুণ ইজাহার, হাফেজ মোহাম্মদ ফয়সাল প্রমুখ।
নিউজ এখানে : Click This Link
আপনারা কেন হাসিনাকে বাধ্য করার কথা বলছেন ? আপনারা হেফাজতে ইসলাম তো হাসিনাকে নাস্তিক বলেছেন। এই সরকারকে নাস্তিক বলেছেন। তাহলে হাসিনা কেন ব্লাসফেমি আইন করতে যাবেন ? হাসিনা কি ব্লাসফেমি আইন করে আপনাদের কথিত 'নাস্তিক' হিসেবে নিজেই ফাসিতে লটকে যাবেন ?
বরং আপনারা দাবী করুন খালেদা জিয়ার কাছে । বিএনপি আপনাদের লং মার্চে সমর্থন দিয়েছিল। ২২টি পয়েন্ট থেকে খাবার ও স্যালাইন দিয়েছিল সমাবেশে। বিএনপির খাবারের ভূড়িভোজন করে আপনারা ১৩ দফা দিয়েছিলেন।
অন্য দিকে সাবেক সেনা শাসক এরশাদের দলও আপনাদের সমাবেশে গিয়ে সমর্থন জানিয়ে এসেছিল। শরবত খাইয়ে আপনাদের পরাণ ঠাণ্ডা করেছিল।
কিন্তু শনিবারের পরে সোমবার হরতাল ডাকলেন। আপনারদের হরতালে বিএনপি বা জাতীয় পার্টি সমর্থন দেয় নি। এমনকি এখন পর্যন্ত আমরা জানি না, খালেদা জিয়া বা এরশাদ আপনাদের ঘোষিত ১৩ দফায় সমর্থন দিয়েছেন কি না।
আপনারা যেই ১৩ দফা দিয়েছেন, তা ইতিমধ্যে প্রত্যাখ্যাত হতে শুরু করেছে। নারী সমাজ ইতিমধ্যে ফুসে উঠেছে। কারণ মানুষ বুঝে গেছে আপনারা দেশটাতে একটা তালিবানি শাসন কায়েম করতে চান। আপনাদের শাসন ব্যবস্থায় এক দলীয় শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। আপনারা প্রথমেই গণতন্ত্রকে ফাসি দেবেন। তারপর ভিন্ন মতাবলম্বীদের ধরে ধরে ফাসিতে লটকাবেন। আপনাদের ফাসির তালিকায় প্রথমেই থাকবে গণতন্ত্রপন্থী রাজনীতিবিদরা। আজকে যারা আপনাদের স্বাগত জানিয়ে হাততালি দিচ্ছে তারাই সবার আগে ফাসির দড়ির দেখা পাবেন। তারপর দেশের মিডিয়ার লোকজন তথা সাংবাদিকরা আপনাদের শিকারে পরিণত হবেন। ভিন্ন মতাবলম্বী সকল বুদ্ধিজীবিকেও আপনারা প্রকাশ্যে ফাসিতে লটকাবেন। লেখক, সাংবাদিক, শিল্পীসমাজ হয় ফাসিতে ঝুলবে, নয় দেশ ছেড়ে পালাবে।
অন্য দিকে আপনারা নারী শিক্ষা নিষিদ্ধ করে দেবেন। নারীদের কর্মক্ষেত্র থেকে লাথি দিয়ে বের করে দেবেন। নারীরা আপনাদের বহু বিবাহের শিকার হবে। সন্তান পয়দা করা ছাড়া নারীদের আর কোন কাজ থাকবে না।
দুঃখিত, আমরা আপনাদের শাসন ব্যবস্থাটাকে দেখে ফেলেছি। আফগানিস্তানে আপনারা এক ত্রাসের নৈরাজ্য তৈরি করেছিলেন। সেই তালিবান শাসন কেমন তা আমরা আফগানিস্তানে দেখেছি। এখানে আপনারা্ও দেখতে পারেন : Click This Link)_GoGo(ExtraTorrent)
রাজনীতিতে মাত্র ৩ বছর হয়েছে। এখনও অনেক প্যাচ বোঝেন নি। ভাবছেন, গায়ের জোরে সব করে ফেলবেন ? পারবেন না। এই দেশটা আপনাদের একলার না। ঢাকা শহরে ১ কোটি ৫০ লক্ষ লোক বাস করে। আপনাদের সমাবেশে মাত্র ৫ লাখ লোক গিয়েছিল, তাতেই যদি বুঝে যান, সবাই আপনাদের পক্ষে তাহলে ভুল করবেন।
আপনারা যদি মনে করেন, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আপনাদের আতাত সম্পর্কে আমরা জানি না, তাহলে ভুল করছেন। আমরা জানি কি না তার প্রমাণ দিলাম । দেখে নেন : Click This Link
Click This Link
Click This Link
শুরু তো করেছিলেন ঈমান বাচানোর আন্দোলন হিসেবে এখন তো একেবারে গদিতে যা্ওয়ার জন্য অস্থির হয়ে গেছেন - গদিতে যা্ওয়ার স্বপ্নে রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। জনসমর্থন থাকলে গদিতে যাবেন, সমস্যা তো নাই। যদি মনে হয়, আপনাদের যথেষ্ঠ জনসমর্থন আছে, রাজনৈতিক দল গঠন করুন। পুরো শাসনতন্ত্র বদলে ফেলতে হলে আপনাদের রাজনীতিতে আসতেই হবে। আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। জনসমর্থন পেলে আপনারা সরকার গঠন করতে পারবেন। তারপর ১৩ দফা কেন ১৩ হাজার দফা পূরণ করবেন।
তার আগে গায়ের জোরে করতে যাবেন, এই দেশের লাখ কোটি মানুষ আপনাদের ছাড়বে না। কেবল ঢাকা শহরের মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুললে পালানোর পথ পাবেন না।
আমরা তালিবান অন্ধকার যুগ চাই না। আমরা মধ্য যুগে ফিরে যেতে চাই না। বাংলাদেশ পিছন দিকে হাটতে চায় না।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০