বিষয়ঃ বাংলাদেশের রাজনীতি
আমাদের দেশে দুটি রাজনৈতিক বড় নেত্রী আছে। একটা হল শেখ হাসিনা আরেকটা হল বেগম খালেদা জিয়া। শেখ হাসিনার দলের নাম হল আওয়ামিলীগ আর বেগম খালেদা জিয়ার দলের নাম হল বি এন পি বা বাংলাদেশ জাতীয়তা বাদী দল।
এ দুই নেত্রীর আচরণ প্রায় একই। এক নেত্রীর সাথে আরেক নেত্রীর সম্পর্ক যেন সতীনের মত। কেউ কারো মুখটা পর্যন্ত দেখতে পারে না। সেদিন জাতীয় সংহতি দিবসে ওরা দোজনে একি মঞ্চে বসে থাকা সত্তেও একজন আরেক জনের সাথে কথা বলেনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাকতালীয় ভাবে দোজনেই একই জবাব দিয়েছে।
জনগনের নামে এরা রাজনীতি করলেও জনগনের ক্ষতির কথা এরা কেউ চিন্তা করেনা। নিজের কথাকে জনগনের কথা বলে চালিয়ে দেয় আর সামান্য কারনে হরতাল বা আন্দোলন ডাকে।
আর এরা মিথ্যা কথা বলে বেশি। ১০০টা কথার মধ্যে ৬০টা কথা ই বলবে মিথ্যা। গতবার যখন আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় ছিল, তখন এরা ক্ষমতা ছারার আগে সংষদ এ বলেছিল আমরা বিরোধি দলে গেলেও হরতাল করবো না। কিন্তু বিরোধি দলে গিয়ে আবার সেই হরতাল শুরু করলো।
ক্ষমতায় যাওয়ার আগে যে দলটি দেশের বিদ্যুত সমস্যা দেখে বলেছিল আমরা ক্ষমতায় গেলে বিদ্যুত সমস্যার সমাধান করবো। কিন্তু ক্ষমতায় এসে দূর্নিতিতে আক্রান্ত হয়ে গেল এরা। এই বিদ্যুত খাত থেকে কোটি কোটি টাকা আত্বশ্বাত করেছে। ফলে বিদ্যুত খাতে কোন উন্নয়ন হলনা বরং অবস্থা আরো খারাপ হল।
উভয় নেত্রীই বলে তারা দেশের শান্তি চায়। কিন্তু কথার সাথে এদের কাজের মিল নেই। কেউ ক্ষমতায় গিয়ে সন্ত্রাসী বানায়, সাথে বানায় সন্ত্রাসী বাহিনি। আবার কেউ করে দূর্নিতি।
বাংলাদেশের জনগন এই দুই দল ছারা অন্য কোন দল খুজছে। যে দলের প্রধান থাকবে পুরূষ। কারণ এই দুই মহিলার সতীনের মনোভাব কখনো যাবে না। সারা জীবন এভাবে চুলো চুলি করবে এরা। তবে এল ডি পি বা আধা পাগল এরশাদের জাতীয় পার্টিকেও আমার মনে হয় মানুষ চায়না।
নির্বাচনের দিন ভোট না দিতে পারলেও টিভিতে নির্বাচনের খবর দেখবো। দেখবো কে জয়ী হয়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


