somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিসিএস,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কিছু কথা

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


উইকিপিডিয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কিছুদিন আগেও বোল্ড করে যে লাইনটি দেয়া ছিল তার বাংলা এরূপ, ‘বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে জনপ্রশাসনের সিংহভাগের যোগান দিয়ে আসা এ বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯২১ সালে।’ এ লাইনটি দেখে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বস্তুতই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০১২ সালেও দেশের আমলাদের ৬০ শতাংশেরও বেশি যোগান দিয়ে চলছে।

ডিইউ শিক্ষক-ছাত্র তথা পরিবারের মধ্যে এ নিয়ে গর্বও রয়েছে। মজার ব্যাপার হল উইকিপিডিয়ায় সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতিমূলক প্রবন্ধটিতে পরিবর্তন আনয়ন করা হয়েছে। সেখানে উক্ত লাইনটি উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং নতুন একটি প্যারা যোগ করা হয়েছে। নতুন প্যারাটিতে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক মানদণ্ডে বিভিন্ন মিডিয়া ও সংস্থার র্যা ঙ্কিং তুলে ধরা হয়েছে। এটা ভালো দিক হলেও অবাক হতে হয় যখন র্যা ঙ্কিং মেথহোডলজি নিয়ে সাইটটিতে দীর্ঘ সমালোচনা করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সমস্যার মধ্যে এই প্রবন্ধটিতে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার নির্বাচন ও জনপ্রশাসনেই সীমাবদ্ধ থাকা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৩৩০০০। বাংলাদেশে বিসিএস সাধারণে মেধা কোটায় সর্বোচ্চ ৭০০-৮০০ নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। এতে চার বছরে ২০০০ এর বেশি নিয়োগ পাওয়া সম্ভব নয়।

যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখনো দেশের নিম্ন ও মধ্যবিত্তের প্রধান আশ্রয়স্থল তাই এর চাহিদাও অত্যধিক বেশি যার ফলে পরীক্ষিত মেধাবীরাই এখানে পড়ার সুযোগ পান। অন্যান্য সরকারি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্যের হার বেশিই হওয়ার কথা এবং এটাই স্বাভাবিক। তাই ধরে নিলে দেখতে পাই, সর্বোচ্চ সাফল্য নিয়ে প্রতিবছর বিসিএস জাতীয় চাকুরিগুলোর সর্বোচ্চ ৫০০ সংখ্যক সুযোগ পাওয়া সম্ভব এবং বিসিএসের সাফল্যের ভিত্তিতে তাই বলা যায়, জনপ্রশাসনের অন্যতম প্রধান শক্তিঘর হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং এটাও বলা যায় যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এটা একটা সাফল্যই বটে।

কিন্তু প্রশ্ন আসে ৪ বর্ষ এবং মাস্টার্সের মোট ৩৩০০০ জনের মধ্যে চার বছরে সর্বোচ্চ ২০০০ জন যাচ্ছে বিসিএসে। বাকি ৩১০০০ জন যাচ্ছে কোথায়? এর উত্তরে একটা শ্রেণিকে আবারও আলাদা করতে হবে। ধরলাম স্ব স্ব ডিসিপ্লিনে উচ্চতর শিক্ষা, গবেষণা ও সংযুক্ত ক্ষেত্রে আরও তিন হাজার। তাহলে বাকি থাকে ২৮০০০ শিক্ষার্থী। স্বভাবতই জিজ্ঞাসা আসে এই ২৮০০০ শিক্ষার্থীর গন্তব্য কোথায়? এই প্রবন্ধকার অনেক খুঁজাখুঁজির পরও এই বিষয়ে গবেষণালব্ধ তথ্য যোগাড় করতে পারেননি। তাই আনুমাণিক সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। শুধু একটা খসড়া হাইপোথিটিক্যাল হিসেব দিয়ে ধারাটি দেখিয়ে দেওয়াই প্রাবন্ধিকের উদ্দেশ্য। সে যাই হোক, এই ২৮০০০ শিক্ষার্থীর গন্তব্যের প্রশ্ন সমাধান করলেই বোধ হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থার গলদটুকুর কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া যাবে।

চাকুরির বাজারে পণ্যায়নের ক্ষেত্রে সমাজবিজ্ঞান ও কলা অনুষদের শিক্ষার্থীরাই বেশি নাজুক একথা বলা যায়। উর্দু, ফার্সি, আরবি, পালি, সংস্কৃত, ইসলামের ইতিহাস, ইসলামের শিক্ষা, ইতিহাস, দর্শন, বাংলা এই বিষয়গুলোতে প্রতিবছর ভর্তি হয় প্রায় ২০০০ শিক্ষার্থী। কিন্তু এই বিভাগগুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট পেশার সংখ্যা আনুপাতিকভাবে খুবই কম। পাশাপাশি হালের বাজারের চাকুরিদাতার প্রাথমিক দাবি পূরণ করতেও এরা সক্ষম নয়। তাছাড়া অন্যান্য চাকুরিমুখী বিভাগের পেছনের সারির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও টা সত্য। তো সব বিভাগেরই সংশ্লিষ্ট শতভাগ পেশা গড়ে উঠবে তা আর্টস ও লিবারাল আর্টসের ক্ষেত্রে সম্ভবও নয়। তাই তাদের সুযোগ থাকে নিজেদের মেধা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা কাজে লাগিয়ে অন্যত্র কাজ করার। সচেতন শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবস্থায়ই বিকল্প উপায় খুঁজতে পারেন।

কিন্তু কথা হল মানবিক বিদ্যা কোন প্রযুক্তিগত বিদ্যা নয় এবং বিভিন্ন দিক দিয়ে এটা অপেক্ষাকৃত উচ্চতর বিদ্যা বলেই স্বীকৃত এবং তাই এর উপযোগিতাও চাকুরির বাজার নির্ভর নয় বরং জগতের বৃহত্তম চিন্তা-চেতনার সাথে নিজেকে প্রতিনিয়ত সংযুক্ত রাখার আনন্দই এ বিষয়গুলোর উদ্দেশ্য। আরো একটু স্পষ্ট করে বলতে গেলে বলতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগগুলোর উদ্দ্যেশ্যই হচ্ছে সমাজকে বুদ্ধিবৃত্তিক নির্দেশনা দেওয়া। রাষ্ট্র এবং সমাজ কোন পথে যাচ্ছে ও যাবে সে বিষয়ে গবেষণা করে জাতিকে পথ দেখানো। আর এরা তাই সমাজচর্চা ও সমাজ পরিবর্তনের কারিগর। আমার এ বক্তব্যের প্রমাণ মেলবে গত ৪০ বছরে বাংলাদেশে যে কয়জন বুদ্ধিজীবীর আবির্ভাব দেখা গিয়েছে তাঁদের শিক্ষাগত ব্যাকগ্রাউন্ডের দিকে তাকালে।

প্রসঙ্গক্রমে এখানে কয়েকজনের নাম করতে পারি। প্রথম জাতীয় অধ্যাপক ‘বাংলার সক্রেটিস’ খ্যাত অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক, আহমদ ছফা রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও বাংলা সাহিত্যের গবেষক, ড. আহমদ শরীফ বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক, অধ্যাপক হুমায়ন আজাদ ভাষাবিজ্ঞানের অধ্যাপক, অধ্যাপক কবির চৌধুরী ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক, অধ্যাপক আফতাব আহমেদ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক, অধ্যাপক সেলিম আল দ্বীন নাট্যকলার অধ্যাপক, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম ইতিহাসের অধ্যাপক, হাসান আজিজুল হক দর্শনের অধ্যাপক, সৈয়দ আলী আহসান ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক।

এই লিস্টে যদি ১০০টি নাম যুক্ত করি তাহলেও দেখা যাবে রাষ্ট্রের বুদ্ধিবৃত্তিক চেতনাগত ভিত্তি তৈরি হয়ে থাকে এই সমাজবিজ্ঞান এবং মানববিজ্ঞান পড়ুয়া লোকেদের হাতেই যার উপর রাষ্ট্র দাঁড়িয়ে থাকে। কিন্তু এই উত্তরাধুনিকতার যুগে আমাদের চাহিদা হয়ে গেছে অনেক বেশি বিস্তৃত এবং প্রসারিত। ক্ষুধার্ত উদরে যেমন দর্শনচর্চা হয় না তেমনি পরিপূর্ণ উদরেও দর্শনচর্চা হয় না একথা এই প্রজন্ম বিস্মৃত। ভোগবাদী একটা নাগরিক জীবন যেন সবারই অচিন্তনীয়ভাবে কাম্য। আমাদের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটও এর জন্য অনেকটা দায়ী। তবে কখনই শতভাগ নয়। পাশাপাশি গ্রাম থেকে উঠে আসা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আগ্রহের পুরোভাগটাই এখন কত দ্রুত নিজেকে অভিজাত শহুরে মধ্যবিত্তের কাতারে দেখা যায়। এর যে ভালো দিক নাই তা বলছি নে। অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় এর চেয়ে ভালো আর কিছু হয় না মানতেই হবে কিন্তু এই আলোচনার ফোকাস জায়গা অন্যত্র। এই যে মধ্যবিত্তের প্রতি সম্মোহন এটা একটা শিক্ষার্থীর প্রথম বর্ষ থেকেই শুরু হয়ে যায়। এই সম্মোহনটা আশির্বাদ কিন্তু এই আশির্বাদ অর্জনে বেছে নেওয়া পথ এখানে শিক্ষাখাতের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এতে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে একজন শিক্ষার্থীর অজ্ঞতা ও আনুসাঙ্গিক প্রতিষ্ঠানগত এবং রাজনৈতিক পরিবেশ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু বিভাগের কোর্স পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, শিক্ষকগণ শুরু থেকেই ছাত্রদের ক্যারিয়ারমুখী করতে পাঠ্যবিষয়ের সাথে চাকুরির পরীক্ষার প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বিষয় জুড়ে দিচ্ছেন। বিশেষত কলা অনুষদের সংস্কৃত, পালি, আরবি, উর্দু, ফারসি এমনকি দর্শন বিভাগেও দেখা গেছে শিক্ষার্থীরা যাতে প্রথম বর্ষে বিভাগ ছেড়ে দিয়ে পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা না দেন সে লক্ষ্যে প্রথম সেমিস্টারেই তাদের জন্য বিসিএসমুখী বাংলা ও ইংরেজি কোর্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষকেরা ক্লাসে সব সময়ই বিসিএসে ভালো করার জন্য ওইমুখী এসাইনমেন্ট, টার্ম পেপার ও ইংরেজি পত্রিকার আর্টিক্যাল থেকে শব্দ মুখস্ত করতে উৎসাহিত করে থাকেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক অধ্যাপকের কথা বলা যায় যার বই বিসিএস পরিক্ষার্থীদের জন্য এক রকম ‘বাইবেল’ রচনা করেছেন এবং টিভিতে ‘বিসিএস পরীক্ষার হল’ নামে একটি অনুষ্ঠানও উপস্থাপনা করে থাকেন। যে শিক্ষকদের ব্যস্ত থাকার কথা ছিল বাংলা সাহিত্যের গতিধারা এবং ভাষার মানিক স্থাননির্ণায়ক গবেষণায়, সেটা না করে তাঁরা যখন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেন তাহলে আমাদের ভাণ্ডারে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি হবে কোথা থেকে? এবং দুঃখের বিষয় হলো, হচ্ছেও না।

বাংলা বিভাগের পত্রিকা এবং বাংলা একাডেমির ত্রৈমাসিক ঘেঁটে দেখা যায় ড. আহমদ শরীফ আর হুমায়ুন আজাদের পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে মৌলিক কোন গবেষণা হয়নি এবং অন্যান্য বিভাগের জার্নালগুলোও মূলত স্থবির। এর আরেকটি নজির মেলে যখন শিক্ষার্থীদের এসাইনমেন্ট সম্পাদনা করে শিক্ষকেরা বই ছাপিয়ে প্রমোশনের জন্য পয়েন্ট বাড়ান আবার কেউ কেউ মৃত অধ্যাপকের বই নকল করে ছাপিয়ে পত্রিকার শিরোনাম হন!

অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে স্বীকৃত দাবি অনুযায়ীই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন আর পিএইচডি গবেষক কিংবা পরিবর্তিত সমাজব্যবস্থার খুঁটিনাটি নিয়ে গবেষণা করে চমকে দেওয়া তত্ত্ব নিয়ে হাজির হওয়ার প্রতিষ্ঠান নয় বরং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এটা বিসিএস ক্যাডার তৈরির কারখানা বা বিসিএস কোচিং সেন্টারে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।

এ অবস্থায় ব্যক্তিগতভাবে যদি কেউ জ্ঞানচর্চায় ব্রতী হতে চান, তাহলে তাকে প্রতিনিয়ত সর্বাবস্থায় শুনতে হয় নৈরাশ্যপূর্ণ উক্তি। গড়পড়তা একজন শিক্ষার্থী যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন তখনই তাকে মুখোমুখি হতে হয় এমন কিছু অভিজ্ঞতার যা তাঁর উদ্দীপনাগুলোকে চাবুক মেরে দেয়। যেমন একজন প্রথম বর্ষের ছাত্র যদি হলে থাকতে শুরু করে তাহলে তাকে প্রথম যে কাজটি করতে হয় তা হল মিছিল-স্লোগান-গণরুমে নিয়মিত অংশগ্রহণ। হলে থাকার কাফফারা দিতে গিয়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থীকেই ক্লাস বর্জন করে মিছিলে যোগ দিতে হয়। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় এই লেখক দেখেছেন যদি কেউ ক্লাসে যাওয়ার জন্য মন খারাপ করে তখন তাকে কোন বড় ভাইকে দেখিয়ে দিয়ে বলা হয়- ‘দেখ ওই বড় ভাইয়ের রেজাল্ট ৩.৫ তারও তো এখন ক্লাস চলছে।’

শিক্ষার্থীটি তখন ধরে নেয় যে, হয়তো বা তার বড় ধরনের কোন ক্ষতি হচ্ছে না কিংবা তাঁর আর অন্য উপায় নেই। আর এইভাবে বছর খানেক কাটানোর পর যখন দেখতে পায় যে ক্লাসের মাঝখান থেকে পেছনের সাড়িতে জায়গা হয়ে গিয়েছে তখন আবার পুরো ডিসিপ্লিনারি পড়াশোনাই তার জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দেয়। তখন সে ধর্ণা দেয় কোন শুভাকাঙ্ক্ষিী বড় ভাইয়ের কাছে। আর বড় ভাইদের বেশিরভাগই সহজ পথটি দেখিয়ে দিতে ভুল করেন না। তারা সরাসরি বলে দেন, এই রেজাল্ট দিয়ে তো মিয়া আর চাকুরি পাইবা না। এখন থেকেই নীলক্ষেত থেকে বিসিএসের কিছু বই কিনে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দাও। নীলক্ষেতের নৈর্বক্তিক প্রশ্নোত্তরের বইয়ের দোকানগুলোতে ভীড় বেড়ে যায় আর সমাজ থেকে জ্ঞানের নৈর্বক্তিকতার উৎসমুখে আরেকটি পেড়েক ঠুকা হয়। এইভাবেই চলতে থাকে…

এর মধ্যেও কিছু বিভাগ ব্যতিক্রমভাবে তাদের শিক্ষার্থীদের মোটামুটি ভালোভাবেই পার করে দিচ্ছে এবং কিছু শিক্ষার্থী নিজেদের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ার-বেঞ্চির গন্ধ শুকতে শুকতে ‘ব্যতিক্রম’ হয়ে যান আর বিশ্ববিদ্যালয়টি একেবারেই তলিয়ে যায় না! কিন্তু এভাবে আর কতদিন? যে বিশ্ববিদ্যালয় এখনো ১৬০ মিলিয়ন জনসংখ্যার জীবন-যাপন আর লাখো শিক্ষার্থীর স্বপ্নের কেন্দ্রবিন্দু সে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সত্যিকার অর্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গায় ফিরিয়ে নেওয়া কি খুব একটা কঠিন ব্যাপার?


লেখক:
(বড়ভাই)
আলাউদ্দীন মোহাম্মদ, অর্থনীতির স্নাতক ও প্রাবন্ধিক
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৩:০৬

অবশেষে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। এবং প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবি জানিয়েছে সে ছোটবেলা থেকেই বদমাইশ ছিল। নিজের বাপকে পিটিয়েছে, এবং যে ওষুধের দোকানে কাজ করতো, সেখানেই ওষুধ চুরি করে ধরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×