somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নিবর্হণ নির্ঘোষ
আমি এক প্রব্রজ্যা , আয়ু ভ্রমণ শেষে আমাকে পরম সত্যের কাছে ভ্রমণবৃত্তান্ত পেশ করতেই হবে । তাই এই দুর্দশায় পর্যদুস্ত পৃথিবীতে আমি ভ্রমণ করি আমার অহম দিয়ে । পরম সত্যের সৃষ্টি আমি , আমি তাই পরম সত্যের সৃষ্ট সত্য !!

তিথি এবং আমার পশ্চিমের জানালা

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তিথি নামটা কেন তার মা রেখেছিল তা সে জানে না । শুধু জানে ভূমিষ্ঠ হবার পর প্রথম যখন তাকে তার মা কোলে নিয়েছিল তখনই তিনি পাশে দাঁড়িয়ে থাকা স্বামীকে উদ্দেশ্য করে বলেছিল তার নাম হবে তিথি । তার মা কেন চট করে তার নাম তিথি রেখেছিল সেই নিয়ে পরে তিথি অনেক প্রশ্ন করেছিল কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিতে পারেনি । পরে তিথি বুঝে নিয়েছিল , তিথি নামটা একদম উদ্দেশ্যহীনভাবে চট করে তার সাথে জুড়ে গিয়েছিল । আর এই উদ্দেশ্যহীন জুড়ে যাবার জন্যই হয়তো আর কেউ তাকে এই নামে ডাকেই না !



তিথি’র পৃথিবীটা নেহাত বড় নয় । সোজাসাপ্টা বললে আর দশটা ঘরকন্যার যেমন ঘরোয়া এক পৃথিবী থাকে তিথিরও তাই । সব কিছুকে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখবার এক অনিন্দ্য প্রয়াস নিয়ে সে বেঁচে থাকে । জীবনের সবকিছুকে মায়ায় বাঁধতে চাওয়ার একটা নেশা তার আছে । আর এই নেশার বিপরীতে সে তার আশেপাশের সবাইকে নিয়ে এক কল্পনার জগত ফেঁদে বসে । সেই জগতে সে তার আশেপাশের বাস্তব চরিত্রগুলোকে বুনে চলে নিজের মত করে । আর ভাবে সে যতটা মায়া তার আশেপাশের মানুষদের ছড়িয়ে দিচ্ছে তাতে করে আর কিছু না হোক অন্তত একটু প্রশংসাও যদি বা তাঁদের চোখ মুখে সে দেখতে পায় !


কিন্তু দিনশেষে দেখা যায় তার মায়া কেউ বুঝতে পারেনি । দৈনন্দিন ব্যস্ততা আর নিজের প্রতি আবিষ্ট থাকা মানুষগুলো তার মায়াকেও মনে করে খুব নিছক কিছু কিংবা ব্যস্ততার তুলনায় পাত্তা দেবার মত কিছু নয় ! কল্পনায় চিত্রিত মানুষগুলোকে যেমন ভেবেছিল বাস্তবে যখন তেমন দেখতে পায় না তখন এক নিকষ বিষাদ তাকে পেয়ে বসে । বিষাদে বিষন্ন হয়ে সে ভাবে , দোষটা কার তার নিজের নাকি তার মায়ার ? নাকি এইসব ব্যস্ত মানুষদের যারা নিজেকে নিয়ে এতটাই ডুবে থাকে যে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর আবেগকে দলিত মথিত করে চলে । ভাবনারা গন্তব্যে পৌঁছায় না আর তিথিও বিষাদ সাগরে কুল পায় না ।


আমার রুমের পশ্চিমের জানালায় তিথিদের বারান্দা , একটা সরু রাস্তা, রাস্তার পাশে এক কোণে তিথিদের বাসা থেকে কিছুটা দুরে একটা জাম গাছ সহ ছোটখাটো একটা দৃশ্য সব সময় এঁটে থাকতো । কী গ্রীষ্ম কী বর্ষা অথবা হেমন্ত-পৌষ সময়ের সাথে দৃশ্যের রং বদলালেও দৃশ্যের রূপের কোন পরিবর্তন হত না , আর পরিবর্তন দেখা যেত না বারান্দায় দাঁড়ানো তিথির মুখের বিষাদের ছাপটি !


বিকেলে যখন আমি জানালার ধারে এসে নিজেকে ভুলবার চেষ্টা করতাম । তখন চোখে পড়ত তিথি বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে । বিকেলে বারান্দার গরাদ ধরে শূণ্য দৃষ্টিতে দূরের দালানগুলোর গায়ে রোদের খেলা দেখা ছিল তার এক মাত্র কাজ । কখনও কখনও যদি খুব বেশি ঠাওরালে দেখতে পেতাম তার কপোল বেয়ে ক্ষীণ জলধারা বেয়ে পড়ছে ! বুঝতাম অভিমান আর বিষাদে মেয়েটি হয়তো কোনদিন বিমূঢ় হয়ে যাবে । অথবা প্রাচীন ক্ষয়া মূর্তির মত ধীরে ধীরে ঝড়ে যাবে এই ধরা থেকে ।


সেদিন ছিল বর্ষাকাল, ঝুম বৃষ্টি নেমেছে পুরো শহর জুড়ে । টানা বৃষ্টির কারণে এ গলি ও গলিকে মনে হচ্ছে ছোট খাটো কোন খাল । সেদিন তেমনই এক খালের মধ্য দিয়ে পানি কেটে মাথায় ছাতা নিয়ে আমি এগিয়ে যাচ্ছিলাম আমার আস্তানার পানে । গলির রাস্তাতে পানি হাঁটু ছাড়িয়ে একেবারে কোমর ছুঁবে বলে মনে হচ্ছে । খুব দ্রুত আস্তানায় না ফিরলে আপদের হাত থেকে রেহাই মিলবে না । তাই যতটা সম্ভব নিজের পাদুটোকে দ্রুত চালালাম ।


পানি কেটে কেটে যখন তিথিদের বাসার সামনে এসে পৌঁছালাম দেখলাম রোগা ত্যালঢ্যাঙা চেহারার, লম্বা, কোঁকড়া চুলের এক যুবক তিথিদের চারতলা দালানের নিচে দাঁড়িয়ে আছে । গেটের ওপরে যে কার্নিশ থাকে তার নিচে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি থেকে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে সে । কিন্তু চেষ্টায় কোনভাবে সফল হতে পারছে না সে । এদিকে ঠান্ডা বৃষ্টির কারণে কেঁপে কেঁপে উঠছে তার শরীর । যুবককে আমি চিনি , কামাল নামেই চিনি । এলাকাতেই থাকে । পরিবার বলতে তার কিচ্ছু নেই । এতিমখানাতেই মানুষ হয়েছে । এলাকার একটি বাসার চিলেকোঠাতে সে থাকে একটা ছাপোষা চাকরি আর কোনমতে তদবির করে চালিয়ে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা নিয়েই সে বেঁচে আছে । খুব একটা মানুষের সাথে কথা বলে না । মানুষও তাকে খুব একটা পাত্তা দেয় না । তাকেও বলা চলে অবহেলিত ।


তার এমন অবস্থা দেখে ভাবলাম আমার ছাতার নিচে তাকে জায়গা দিই বেচারা কতক্ষণ এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভিজবে , বৃষ্টি তো ক্রমেই চরমপন্থি হয়ে উঠছে ।


তাই আরও দ্রুত পা চালাতে যাচ্ছিলাম দেখলাম গেট খুলে তিখি বেরিয়ে এসেছে । হাতে তার একটি তোয়ালে , তার নীল রঙের চাদর আর একটি ছাতা । আমি থমকে গেলাম তিথিকে দেখে । এইসময় এই বেহাল পরিবেশে সে কেন বেরিয়ে এল ? তিথি তো এমন সময় খুব একটা বেরোয় না । ব্যাপারটা বোঝার জন্য কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে থেকে আমি লক্ষ্য রাখছিলাম ।


দেখি ছাতা মেলে তিথি কামালের কাছে এগিয়ে গেল । তাকে ছাতার নিচে রেখে হেসে বলল , “ এভাবে কেউ বৃষ্টিতে ভেজে ? নিউমোনিয়া হয়ে যাবে না ! আপনি দেখছি ঠান্ডায় খুব কাঁপছেন । নিন তোয়ালে দিয়ে আগে মাথাটা মুছে নিন তো । এরপর এই চাদরটা গায়ে জড়িয়ে নিন ।”


কামাল অপলক দৃষ্টিতে তিথির দিকে তাকিয়ে থাকে । জন্মের পর থেকে এতিম খানায় মানুষ হওয়া কামালের সাথে এভাবে বোধহয় তিথিই প্রথম কথা বলল । এতটা মায়া আর এতটা আন্তরিকতা নিয়ে তিথির এই ব্যবহারে কামাল স্তব্ধ হয়ে যায় । কোন কথা তার মুখ দিয়ে বেরোয় না কোন প্রতিক্রিয়ার ছাপ তার চেহারায় দেখা যায় না কেবল ড্যাবড্যাবে চোখে তাকিয়ে থাকে তিথির দিকে ।


তিথি তাগাদা দেয় , “কই নিন মাথাটা মুছে নিন তাড়াতাড়ি । বৃষ্টি তো আরও বাড়বে এভাবে আর কতক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভিজবেন ?”


তিথির তাগাদাতে কামালের হাত সচল হয় সুবোধ বালকের মত তোয়ালে নিয়ে মাথাটা মুছে নেয় । মোছা শেষে তোয়ালেটা এগিয়ে দেয় সে । তিথি হাসিমুখে চাদরটা বাড়িয়ে দেয় । কামাল সেটাও সুবোধ বালকের মত গায়ে জড়িয়ে নেয় । কোন কথা বলে না । চাদর জড়িয়ে নিলে তিথি এবার ছাতাটা বাড়িয়ে দিয়ে বলে , “ নিন ছাতাটা নিয়ে বাড়ি যান । সংকোচ করবেন না আপনি তো এই এলাকাতেই থাকেন , আপনাকে আমি চিনি জানি না হয়তো তাতে কী ! আপনি সময় করে নাহয় এসব ফেরত দিয়ে যাবেন ! ”


কামাল ছাতাটা হাত বাড়িয়ে নেয় । ছাতা অর্পন শেষে তিথি তার স্বভাবসুলভ হাসি দিয়ে ঘুরে গেট গলিয়ে অদৃশ্য হয়ে যায় দৃশ্যপট থেকে । আর হতভম্ব করে দিয়ে যায় কামালকে আর আমাকে দিয়ে যায় একটা প্রশান্তি , যাক মেয়েটার মায়াটা আজও বেঁচে আছে তবে !!



সেদিন আমি আর কামাল গলির পানি কেটে যে যার আবাসে ফিরে যাই !


তার কিছুদিন পরের ঘটনা । সেই একই রাস্তা দিয়ে আমি ফিরছি । সেদিন আকাশে মেঘ ছিল না , বৃষ্টিও ছিল না আর গলিটাও কোন ছোটখাটো খাল ছিল না । শুকনো ধুলো ভরা গলির পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে আমি যখন তিথির বাসার সামনে আসলাম , ঠিক সেই জাম গাছটার নিচে আমি কামালকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম । বিকেলের কিছুটা সহ্যশীল কিন্তু তপ্ত আবহাওয়াতেও সে তিথির দেয়া চাদর গায়ে জড়িয়ে আছে । কি হলো তার ? চাদরটা খুলতে মন চাইছে না নাকি সে অসুস্থ ! হাঁটতে হাঁটতে না থেমে যখন তাকে অতিক্রম করতে যাচ্ছিলাম , এক ঝলক তার দিকে তাকালাম । দেখলাম জ্বরের কারণে তার চোখ লাল হয়ে আছে । দেখে মনে হচ্ছে জ্বর ভালোই আছে তবুও এই জাম গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছে কেন সে ? জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হলেও আমি জিজ্ঞেস করিনি । সোজা হেঁটে চলে আসলাম । নাগরিক জীবনে সবকিছুতে মাথা ঘামাতে নেই, বলা কওয়া নেই এমন মানুষের ক্ষেত্রে তো মাথাটাই তাক করতে নেই । এলাকার আর দশটা নির্লিপ্ত মানুষের মত আমি হেঁটে চলে আসলাম !


এর কিছুদিন পর আমি আমার নিত্তনৈমিত্তিক বৈকালিক নিজেকে খুঁজবার প্রয়াসে জানালার সামনে দাঁড়ালাম । বিকেলটা স্নিগ্ধ হলেও , চারপাশে মানুষের উচ্ছাস আড্ডার কলরব থাকলেও , রোদের বর্ণিল কারুকাজ থাকলেও একদম বিবর্ণ আর একঘেয়েঁ দৃশ্যপট ঝুলে থাকে তিথিদের বারান্দায় । কিন্তু সেদিন দেখলাম শুধু তিথিদের বারান্দা নয় । তিথিদের বাসা থেকে কিছুটা সামনে যে জাম গাছ তার নিচের দৃশ্যটাও অনেকটা তিথির মত নিয়মিত একটা দৃশ্য জন্ম নিচ্ছে ।


গাছের নিচে সেদিনও কামালকে দেখলাম তিথির চাদর গায়ে দাঁড়িয়ে আছে । আর সেদিনও সে তাকিয়ে আছে তিথিদের বারান্দার দিকে !


এরপর থেকে প্রতিদিন আমার জানালার ওধারে দৃশ্যের বর্ণের ও প্রায় সবটুকু চিত্রের পরিবর্তন থাকলেও এই দুটি দৃশ্যের কোন পরিবর্তন আমি দেখতাম না । এভাবে এক সপ্তাহ চলল । একদিন বিকেলে আমি এই নিয়ে ভাবনায় পড়লাম । কেন কামাল প্রতিদিন তিথিদের বাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে ? আমার তো চোখে পড়েছে তিথির পড়েনি ? অবশ্য ওর মত মূর্তমান স্থবির মেয়ের পক্ষে চারদিকে নজর দেয়াটা তেমন সম্ভবের না বটে । তবুও একদিনও কী চোখে পড়েনি তার ? নাকি বিষাদের কারণে বিষিয়ে যাওয়া মন আর কোন দিকে ভ্রুক্ষেপ করে না !


তিথিরটা না হয় বাদ দিলাম , কামালের ব্যাপারটা কী ? ও কী তিথির প্রতি দুর্বল ?
হওয়াটা অস্বাভাবিক না , হতেই পারে ।
তাই কী সে দাঁড়িয়ে থাকে এমন পাথরের মত নিরেট ধৈর্য নিয়ে ?
হতেও পারে ।
কিন্তু তার এই প্রেমে পড়ার কারণ কী ? তিথির মায়া ?
এটাও হতে পারে !
মায়ার প্রতি প্রেম কার না থাকে তাই বলে প্রতিদিন এভাবে দাঁড়িয়ে থাকবে ? আচ্ছা সে কী আবার মায়া পেতে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে ?
এটাও হতে পারে ।
তবে কী সে তিথির মায়াতে আসক্ত হয়ে গেছে ?
হতেও পারে !
আচ্ছা , এটাকে কী মায়ার বিপরীতে সাড়া দেয়া বলা যায় না ?


এটাকে হতে পারে বলা যায় না এটা হবেই হবে বলা যায় । হ্যাঁ তাই ! কামাল তিথির মায়াতে সাড়া দিয়েছে , সব ফেলে সে তিথির মায়াকে স্বীকৃতি দিতেই সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে ।


ভাবনাটা মাথায় আসতেই আমার অস্থিরতা বেড়ে গেল । নাহ্ , এই মেয়েটি শেষমেশ তার মায়ার স্বীকৃতি পেয়েছে । আর তাকে বিষাদে ডুবে থাকতে হবে না । আর তাকে ভাবতে হবে না দোষটা কার! হ্যাঁ এটা ঠিক যে তার কল্পনায় চিত্রিত মানুষগুলোর মত কামাল নয় ! কিন্তু তাতে কী, মায়ার বিপরীতে মায়ার প্রতি প্রশংসা তো সে পাচ্ছে । সেই প্রশংসার রং যেমনই হোক এর গন্ধ তো আলাদা নয় ! বরঞ্চ এর গন্ধ অন্যান্য প্রশংসার গন্ধের মত । একই আবদেন মিশে আছে এই প্রশংসায় !




আমার ইচ্ছে করছে চিৎকার করে বলতে যে তিথির খুব কাছেই আছে তার কাঙ্খিত বিষয়টি । কিন্তু বলতে পারছি না কেন যেন । কোথায় যেন আটকে আছি আমি । তাই অনুরোধ করছি আপনাকে , একবার চিৎকার করে বলবেন তাকে ! বলবেন ? যে “ তিথি একবার ঘাড় কাত করে নিচের দিকে তাকাও দেখতে পাবে তোমার কাঙ্খিত বস্তু স্থির হয়ে আছে এক যুবকের অবহেলিত চোখে ! ”


বলুন না দয়া করে । তাতে বিকেলকে অন্তত একটি মেয়ের কান্না আর বিষাদ মুখ দেখতে হবে না ! কী ? বলবেন তো ?
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০৪
১৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পরিণতি - ৩য় পর্ব (একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস)

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮



( পরিণতি ৬১ পর্বে'র একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস ।)

তিন


আচানক ঘুম ভেঙ্গে গেলো ।

চোখ খুলে প্রথমে বুঝতে পারলাম না কোথায় আছি । আবছা আলোয় মশারির বাহিরে চারপাশটা অপরিচিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইফতার পার্টি মানে খাবারের বিপুল অপচয়

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩



গতকাল সরকারি ছুটির দিন ছিলো।
সারাদিন রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাকাই ছিলো। ভাবলাম, আজ আরাম করে মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যাবে। হায় কপাল! মেট্রো স্টেশনে গিয়ে দেখি গজব ভীড়! এত ভিড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×