বিএনপির সাইফুর-হাফিজ গ্রুপকে সংলাপে ডাকার বিষয়ে সিইসির বক্তব্য ও নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমি একমত নই। আমি মনে করি বিএনপির উভয় অংশকে সংলাপে ডাকা উচিত। বিএনপির দলাদলিতে নির্বাচন কমিশনের জড়ানো মোটেও ঠিক নয়। এখানে বিএনপির গঠনতন্ত্র (বাজাদলের এই বিষয়টির কথা মনে হলেই হাসি পায়!! এর নাম গঠনতন্ত্র!!) বসে বসে পড়ে সময় নস্ট করা নির্বাচন কমিশনের নির্বুদ্ধিতা ছাড়া আর কিছু না।
আর নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নিয়ে আমাদের অভিজ্ঞ ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের মন্তব্য টিভি চ্যানেলে শুনে হাসবো, না কাঁদবো ভাবছিলাম। বয়স হলে মানুষ বিচার-বুদ্ধি হারিয়ে ফেলে শুনেছি। উনি বলছিলেন, নির্বাচন কমিশন বিএনপির সমস্যা সমাধানে সাব জেলে গিয়ে খালেদার সঙ্গে কথা বললেই পারতেন। হাস্যকর যুক্তি। কেন যাবে কমিশন কারাগারে? খালেদা কারাগারে বসে দল চালাবেন এটা চান ব্যারিস্টার হক? কমিশন তাহলে এখন বিএনপি-আ.লীগের সমস্যা সমাধানে কারাগারে ঘুরে ঘুরে খালেদা-হাসিনার মতামত নেবে?
খালেদা কারাগারে যাওয়ার আগে মান্নান ভুইয়াকে দল থেকে বহিস্কার করে দেলোয়ার খেলোয়াড়কে দায়িত্ব দিয়ে গেছেন? এই দেলোয়ার নিজে সংসদ সচিবালয়ের এক মহিলা কর্মচারির সঙ্গে লটরপটর করে ধরা খেয়েছেন। আলুর দোষ আর কি! আর তার দুই পোলা পবন আর ডাবলু (খালেদার দু্ই পোলা তারেক-কোকোর মতো) চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী। তো এমন মহান চরিত্রের নেতাকে খালেদা মহাসচিব বানাবেন এতে আমাদের আপত্তির কিছু নেই!!
তবে জবর খেলা দেখালেন সইফুর। আমাদের সাবেক অর্থমন্ত্রী!! কালো টাকা সাদা করেছেন মহান এই নেতা! তার এক পোলা কারাগারে। আরেকটা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। মেয়ে আর মেয়ের জামাইও একই জিনিষ। তো ছক্কা সইফুর এবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের গদি দখল করেছেন!! খেলা চলতাছে ভাই।
এইসব মালের পিছনে নির্বাচন কমিশন কেন যে ঘুরে? আবার এই শালারাই আমাদের নেতা হবে?? দেশ চালাবে???
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:৪৪