somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্যাখ্যাতীত শক্তির প্রতিবিম্ব।

২৬ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




Life is all the sweeter that we lived
All we loved more sacred for our sake

অর্থাৎ যে জীবন আমরা যাপন করছি, সুন্দর সে জীবন। যা কিছু আমরা ভালবেসেছিলাম, তারই জন্য সব পূন্যময়।
ঘর বাঁধার ইচ্ছা মানুষের সহজাত প্রবনতা। সমস্ত প্রাণীর সহজাত প্রবনতা। সংঘবদ্ধ বসবাস মানুষ কামনা করে ভিতরকার তাগিদে, অন্তঃস্থ জিনবাহিত প্রেরনায়। তইতো মানুষের জন্য স্বপ্ন রচনা করা অত্যন্ত দুরূহ কাজ। এ কাজটি কেউ ঠিকমত করতে পারে না, সাহসও পায় না। অথচ মানুষের বেঁচে থাকার অন্যতম শর্ত স্বপ্ন। মানুষের জীবনটাই হলো আধা-স্বপ্ন, আধা-বাস্তবতা। এর ওপর পা ফেলে হেঁটে যাওয়া খুবই কষ্টের কাজ।

I think of you in silence
No eyes can us weep
For deep with in our hearts
Your memory I keep.

অর্থাৎ নিরবে স্মরন করি তোমাকে, তোমার জন্য কখনোও কাঁদিনী। বুকের গভীর ঘরে- সারাক্ষন শুধু তুমি।
মানুষ ভালবাসে পরষ্পর পরষ্পরকে, ভালবেসে নিকটতম হয় একে অপরের, কোন কিছুই আড়াল করে না একে অপরের কাছে। কখনো প্রানের সঙ্গে প্রান মিশিয়ে এক থালায় ভাত খায়, একই গ্লাসে পানি খায়, তারপরও মনের বিচিত্র গতি কোন অলক্ষ্যে প্ররোচিত করে তাদের একে অন্যের কাছ থেকে দুরে থাকতে তা আমার জানার বাইরে। কখনো বিরোদ্ধভাব ফুঁসে উঠে পরস্পরকে দ্বন্দ্বযুদ্ধে অবতীর্ন করে। তখন উভয়েই জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। কারন ততক্ষন জয় পরাজয়ের সঙ্গে জড়িয়ে যায় আত্মসন্মান। আর আত্মসন্মানবোধ সম্পন্ন মানুষ গুলি সৎ হয়। কিন্তু পৃথিবীতে সৎ মানুষগুলিকে নির্মম করুন পরিনতি ভোগ করতে হয়।তাই মাঝে মাঝে অভাব অনটন মানুষকে মনুষ্যত্বহীন করে তুলে। যে মানুষ বহুদিন পৃথিবীর আলো বাতাস থেকে বঞ্চিত, পৃথিবীর আনন্দ কোলাহল, মানুষের বাস্তব কন্ঠস্বর থেকে বঞ্চিত, তার কাছে অতি সামান্য শব্দও মনে হয় অতি কোলাহল। তাই একজন মানুষের বাইরের রূপটাই তার আসল পরিচয় নয়।দৈন্যভরা জীবনের অন্তরালেও অনেক ভালো কিছু লুকিয়ে থাকতে পারে, থাকতে পারে অনেক সম্ভবনার বীজ।
মানুষ যদি আত্মিক উন্নতির চেষ্টা করে তাহলে সবকিছুই অতিদ্রুত শিখে ফেলতে পারে। একমাত্র আত্মিক উন্নতি সাধনের মাধ্যমেই মানুষ নিজকে প্রকৃত মানুষ হিসাবে পরিচয় করে তুলতে পারে। পৃথিবীর সব মানুষই আসলে নিজের জীবনের সাথে যাপন করছে লক্ষ কোটি জীবন।সে একজন মানুষ, সে নিজে যদি স্থির হয়, তাকে ঘিরে আর্বতিত জগতের প্রতি বিন্দু তারই জীবন। শুধু মত্যূ আলাদা।মৃত্যু তার একার।মৃত্যু যার যার, তার তার। একজনের মৃত্যুতে তাই থেমে যায় না অন্য কোনও জীবন। সম্পর্ক মানে তাই বিশ্বাস ও দীর্ঘস্থায়ী ন্যায়পরায়নতা।
এ পৃথিবীতে কেউ কারো নয়। এ জগত সংসারে শেষ পর্যন্ত কেউ কারো থাকে না।স্বার্থে টান পড়লে নাড়ীর বন্ধনও ধীরে ধীরে খুলতে খুলতে আলগা হয়। ভালবাসায় জড়তা আসে। স্বার্থের কাছে, অর্থের কাছে ভালবাসা পরাজিত হয়। সংসারে বা পরিবারে যে রোজগার করে সংসার তাকে কিছু বাড়তি সুবিধা দেয়, সম্ভ্রম দেয়। বাড়তি কিছু গুরুত্বও। রোজগারের পরিমান কমে এলে গুরুত্বও কমে আসে প্রচলিত নিয়মে। এক সময় সে গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে সংসারে। সংসার তাকে অবহেলা করে, তাচ্ছিল্য করে। একদিন যে ছিল সংসারের মধ্যমনি, যার সিদ্ধান্তের বাইরে কিছুই হতো না, সে হয়ে সংসার সাগরের কুলহীন, তীরহীন ভেলা। যে ভেলায় যাত্রীর সংখ্যা শুধু কমতে থাকে।এমন কি জীবনের অর্ধাঙ্গীনি প্রিয়তম স্ত্রীও সে ভেলার যাত্রী হয় না। তারপরও পৃথিবীর সর্বত্র মানুষের হাতে পায়ে অজস্ব বন্ধনের শিকল। এই শিকল থেকে কেউ মুক্ত নয়। একজন আর একজন থেকে স্বাধীন। কিন্তু কেউ সীমাহীন স্বাধীনতা ভোগ করে না। স্বার্থে টান পড়লে অধিকার ক্ষুন্ন হয়, বন্ধন আলগা হয়। কোন বন্ধনই নিত্য নয়, চিরস্থায়ী নয়।বাঁধন গড়ে উঠে, আবার তা ছিড়ে যায়।একসময় অধিকারবোধ জাগে, পরিনত হয়, এবং টুটে যায় একদিন তার আপন নিয়মে….

তাই শেষ পর্যন্ত মু্ক্তি খোজে জীবন। মুক্তি হলো শেষ কথা। শরীরের মুক্তি মৃত্যূতে আর আত্মার মুক্তি মায়াজাল ছিন্ন করার মধ্যে। আত্মমুক্ত হতে হতে স্বয়ং সে উপলদ্ধি করে সে কেউ নয়, কিছু নয়।সে এক ব্যাখ্যাতীত শক্তির প্রতিবিম্ব মাত্র। পরমাত্মার প্রতিবিম্ব সমস্ত আত্মাই তখন মিলে মিশে একাকার। মানুষের দুঃখ কষ্টের শেষ নেই, সারাজীবন শোকে, তাপে,যন্ত্রনায় জর্জরিত মানুষেরা প্রকৃত শান্তি পায় মৃত্যুর পরই।

***************************************

তাং ০১/০৪/২০১২
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×