---এমন ড্যাব ড্যাব করে কি দেখিস?
---তোকে দেখি।
---কেনো আগে দেখিস নি?
---দেখেছি কিন্তু মন ভরেনা।
---তা তোর মনের বালতি কিভাবে পূর্ন হবে?
---এই যে তোকে এইভাবে ড্যাব ড্যাব করে সারাজীবন দেখলে তবেই ভরবে।
---উহুম আমি দেখতে দিবো না।এই যে মুখ ঢাকলাম।
---দেখতে না দিলে জোর করে দেখব।
---তাই নাকি?
---হুম তাই।
---এত জিদ করিস কেনো আমার সাথে?এত জিদ করলে মানুষ খারাপ বলবে।
---আমার বউ এর সাথে আমি জিদ করব মানুষ খারাপ বলবে কেনো?
---জানি না যাহ।
---জানিস টা কি?
---তোকে ভালোবাসতে জানি।
---তাহলে প্রমান দে।
---কিরকম প্রমান? আমি সব প্রমান দিতে পারব।
---ঠিক আছে আগামী সারাটাজীবন আমি এভাবেই তোর দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকব তুই কিচ্ছু বলতে পারবি না।
---বলব ১০০ বার বলব।বকা দিবো।মাইর দিবো।
---স্বামীকে মাইর দিবি? মানুষ কি বলবে?
---আমার বরকে আমি মাইর দিবো।মানুষ কি বলবে?
---ওহ এখন আমাকে নকল করা হচ্ছে তাই না?
---বুঝার জন্য ধন্যবাদ।
---আচ্ছা জানিস আমি মাঝে মাঝে কনফিউশনে পড়ে যাই।
---কেমন কনফিউশন?
---তুই বেশী সুন্দর না আকাশের চাঁদটা?
---থাক আর পাম মারিস না তো।
---পাম কই মারছি? আজীব তো আমার বউকে তো আমার সব থেকে বেশী সুন্দরী লাগবেই।
---কেনো লাগবে? আমার থেকেও অনেক সুন্দরী আছে।
---থাকতে পারে।কিন্তু আমার কাছে আমার বউ সব থেকে সুন্দর।
---উফ তুমি যে কি না।বিয়ের ১২ বছর পরেও তোমার রোমান্টিক কথা কমে না।
---আমি কি?
---তুমি একটা পাগল।
---হুম তোর জন্য পাগল।
গল্পটা পড়ে হয়ত অনেকেই নাক সিটকাবেন।বলবেন এরকম বাস্তব জীবনে হয়না বরং এর উল্টোটা হয়।বিয়ের আগের উচ্ছল ভালোবাসার ঢেউ বিয়ের পরে স্তিমিত হয়ে যায়।হয়ত হৃদয়ের গোপন কোনো জায়গায় তালাচাবি দেওয়া থাকে আবেগঘন সেই মূহুর্তগুলো।যার তালা তো পাওয়া যায় কিন্তু চাবিটা সময়ের অতলে কোথায় যেন হারিয়ে যায়।
(সন্ধ্যার নীলারোণ্য)