বাংলাদেশে ২০০৬ সালে প্রণীত লেবার কোডটি এখন পর্যন্ত সবক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যদিও ২০১৩ সালে এতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে ।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এটা আসলে কাদের জন্য প্রযোজ্য ? এটা কি শুধুই লেবার মানে শ্রমিকদের জন্য প্রযোজ্য নাকি ম্যানেজার, পরিচালকদের (director) জন্যও প্রযোজ্য ? হ্যাঁ এক কথায় বলতে গলে শুধু শ্রমিকদের জন্য। এবার একটা উদাহরণে আসা যাক- জনাব ফাহিম মোস্তাকিম দেশের নাম করা একটা গার্মেন্টস প্রতিস্টানে এ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। তাকে কি শ্রমিক বলা যাবে?
হঠাৎ একদিন তাকে অন্যায়ভাবে চাকুরীচ্যুত করা হল এ ক্ষেত্রে তিনি কি লেবার কোডের সুবিধা পাবেন?
সরকারি চাকুরীরতরা এ ক্ষেত্রে রিট writ করার সুবিধা পেয়ে থাকেন। প্রাইভেট কোম্পানির ম্যানেজার, পরিচালকরা কি রিট করতে পারেন নাকি?
এসব হাজারো প্রশ্নের সামাধান লেবার কোডে রয়েছে। তবে এর প্রয়োগ বাংলদেশে নেই বললেই চলে শুধু কিছু ক্ষত্রে যেমন যারা গার্মেন্টসে সরাসরি শ্রমিক হিসেবে কাজ করে তাদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ নিয়ে উচ্চবাচ্য হয়, তবুও তা হয় বিদেশি বিনিয়োগ কারীরদের চেষ্টায়। তারপরেও বাথরুমে সন্তান প্রসবের কাহানি আমাদের নজরে আসে।
প্রথমেই আমাদের জানতে হবে এই লেবার কোডটি কাদের জন্য প্রযোজ্য। এ ক্ষেত্রে সহজ হবে কাদের জন্য প্রযোজ্য নয় সেটা আগে জানলে-
(ক) সরকার বা সরকারের অধীনস্থ কোন অফিস; (খ) সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস; (গ) সমরাস্ত্র কারখানা), এমন কোন শ্রমিক যাহার নিয়োগ এবং চাকুরির শর্তাবলী সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬২, ৭৯, ১১৩ বা ১৩৩ এর অধীন প্রণীত আইন বা বিধি দ্বারা পরিচালিত হয়, তবে দ্বাদশ, ত্রয়োদশ এবং চতুর্দশ অধ্যায় প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত কোন শ্রমিক এই নিষেধের অন্তভূর্ক্ত হইবেন না, যথাঃ-
(ঘ) রেল বিভাগ; (ঙ) ডাক, তার ও টেলিফোন বিভাগ; (চ) সড়ক ও জনপথ বিভাগ; (ছ) গণপূর্ত বিভাগ; (জ) গণস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ; (ঝ) বাংলাদেশ সরকারী মুদ্রণালয়। এক কথায় যারা সরকারী শ্রমিক ।
প্রাইভেট প্রতিস্টানের যারা মুনাফ করে না সেই সব প্রতিষ্টানের শ্রমিক গণও লেবার কোডের অধীন নয় । তবে কোন অবস্থাতেই কোডে বর্ণিত সুবিধা সমূহের চেয়ে কম সুবিথা পাবেন না। বাকি সকলেই মূলত লেবার কোডে বর্ণীত শ্রমিক। এ ক্ষেত্রে শ্রমিকের সংজ্ঞা জানাটা প্রয়োজন.................
(চলবে...........)
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৪৫