আজ সকালে দেখলাম হটাত এক ব্যাক্তি মোবাইল কোর্টে আটক । কাছে গিয়ে শুনলাম যে , সে প্রকাসশে সিগারেট খাচ্ছিলও বলে তাকে ধরেছে । তারপর ১০০ টাকা জরিমানা দিয়ে ছাড়া পেলো । পরে সে বলছে যে আমিতো নিষিদ্ধ জিনিষ খাচ্ছিনা তার আবার জরিমানা কিসের । যাকগে সে কথা , মুল কথা হোলও সরকার যদি আসলেই সিগারেটকে বিষ পান মনে করেন বা সাস্থের জন্য ক্ষতিকারক মনে করেন তাহলে সিগারেট উৎপাদন বন্দ ঘোষণা করছেন না কেনও । যদি প্রশ্ন উঠে যে সিগারেট বা বিড়ি উদপাদন কোম্পানিতে বিশাল কর্মসংস্থান জড়িত বা ট্যাক্স দিচ্ছে সরকারকে তাই এটা বন্দ করা অসুবিধা বা করা ঠিক হবেনা । অথচ গাঁজা উৎপাদন নিষিদ্ধ করার কারনেই তার উৎপাদন বন্ধ হয়েছে বোধ হয় । সেখানে কিন্তু শুধু খাওয়ার জন্যই আইন করা হয়নি । পলিথিন কারখানা বন্দ করা হয়েছিলো কিন্তু তার ব্যাবহার কিন্তু এখনও বাজারে আছেই বা উৎপাদন বোধ হয় চলছেই । এখানে আমাদের প্রশ্ন যে জিনিস আমাদের জীবন নাশ করে তার ট্যাক্স বা আয়ের উৎসর দিকে নজর না দেওয়াই ভালো । অন্যদিকে বলা যায় নেশা আইন দিয়ে খুব একটা বন্দ করা যায় বলে মনে হয় না । তাই যুগে যুগে নেশা জাতীয় জিনিষ বন্দ করলেও তার নেশা কিন্তু বন্দ হয়নি বরং বেড়েছে কালোবাজারি আর বেড়েছে সেই নেশা জাতীয় জিনিষের মূল্য আর লাভবান হয়েছে কালবাজারির ব্যাবসায়িরা । তবুও বাড়ছেই নেশার জগত যেমন চরস , গাঁজা , হেরোইন , সিগারেট , বিড়ি , ইনজেকশন জাতীয় নেশা , ফেঞ্চিডিল সহ নানা নেশার জগত আবার শুনেছি বাজারে কাশির সিরাপ খেয়েও নেশা করছে অনেকে কারন কাশির কোনও কোনও সিরাপে নাকি বেশী এলকোহল মিশানো থাকে তাই এক বোতল খেলেই নাকি নেশা হয়ে যায় . সেই সিরাপ কিন্তু নিষিদ্ধ হয়নি আবার ঐ তামাক দিয়েই তৈরি হয় জর্দা বা আলাপাতা যা খাওয়াও বোধ হয় নেশা বা সাস্থের জন্য ক্তাষতিকর তাহলে আমরা সমাজে নারী / পুরুষ কম বেশী বোধ হয় সবাই নেশাগ্রস্থ অন্যদিকে বহুপুরাতন যানবাহনের কালো ধোঁওয়াও বোধ হয় সাস্থের জন্য ক্ষতিকর তাও কিন্তু পথে পথে চলছেই । সব কথার শেষ কথা এই সিগারেট খাওয়ার কারনে সব চাইতে বেশী জরিমানা দিতে হবে গরীব মানুসগুলিকেই কারন তারাই মাঠে / ঘাঁটে পথে বেশী সিগারেট খায় বোধ হয় । আর সরকার হবে অপ্রিয় বলে মনে হয় । একদিন আমি সচিবালয়ে এক অতিরিক্ত সচিবের রুমে ঢুকেছিলাম এক কাজে আর দেখতে পেলাম তারা কয়েক বন্ধু মিলে সিগারেট খাচ্ছে এবং ধুঁয়ায় আচ্ছাদিত হয়ে রয়েছে কক্ষটি তখন জরিমানা ছিল ৫০ টাকা । তাই যদি বর্তমান সরকার মনে করে যে বি এন পি সরকার আইন করেছিলো মাত্র ৫০ টাকার জরিমানা আর আমরা করলাম ১০০ টাকার তাতে বোধ আমাদের জনপ্রিয়তা বাড়বে তাহলে এটা হবে ভুল ধারণা বা ভুল পথে এগুনো বলে মনে করি । যে কাজটি করা উচিত ছিলও বলে মনে করি তা হোলও সরকার একসময় গণশিক্ষার নামে গ্রামে গ্রামে স্কুল করেছিলো সেই আদলে ঘরে ঘরে গিয়ে এই সিগারেট বা নেশা ছাড়ার জন্য প্রচার করলে কাজে লাগতো বলে মনে হয় বিড়ি / সিগারেট প্রকাসসে খাই আর ঘরে খাই একই কথাই বলে মনে হয় কারন ঘরেও আছে আমার মা / বোন / বউ / ছেলে সন্তান তারাও বোধ হয় সমাজেরই একজন তাছাড়া সেই বিড়ি / সিগারেটের ধোঁওয়াও বাজারে মিসছে বাতাসে নিচ্চয় তাই আমরা মনে করতে পারি সরকার সাধুকে বলছে জেগে থাকো বা সাবধান , আর চোরকে বলছে চুরি করো ।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৪