দেশে আওয়ামীলীগ , বিএনপি, জাপা এরকম আরও ১০০টা দল থাকতে পারে আর স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে আপনি যে কোন দলকেই সমর্থন করতে পারেন কিন্তু শিকড় একটাই, আর তা হল মুক্তিযুদ্ধ। একক প্রচেষ্টায় মুক্তিযুদ্ধ হয়নি এটা জানা কথা, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সূচনা নিয়ে বলতে গেলে নায়ক হিসেবে যার নাম বলতে হয় তিনি শেখ মুজিবর রহমান, বাংলার বন্ধু, বঙ্গবন্ধু। ভরাট কণ্ঠে , তর্জনী উঁচিয়ে ৭ মার্চের সেই শরীর কাঁপানো ভাষণ -
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয়য়য়য়য় বাঙলাআআআ ...
অথচ ৯ মাস পাকিস্তানে বন্দী থাকার পরেও যে নায়ককে পাকিস্তান সরকার কিছু করার সাহস পায়নি, তিনি নিহত হয়েছিলেন তারই সোনার বাংলার সোনার ছেলেদের হাতে। ১৯৭৫ এর সেই অন্ধকার ১৫ আগস্ট। মাঝরাতের কিছুপরে বেঙ্গল ল্যান্সারস আর বাংলাদেশ আর্টিলারী ডিভিশনের সেনারা ঢাকার প্রধান ক্যান্টনমেন্ট থেকে ধীরগতিতে এগিয়ে যেতে শুরু করে শহরের পরিত্যাক্ত ও অর্ধনির্মিত ২য় বিমানবন্দরের দিকে। পুরো বাহিনীটি একটি লাইনে মূল রানওয়ে দিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে। কর্ণেল ফারুক, যিনি একটি ট্যাঙ্কে চড়ে অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তিনি স্পষ্টভাবে তার বাহিনীকে জানিয়ে দেন যে তারা মুজিবের এই শাসনকালের সমাপ্তি ডেকে আনতে রওনা হয়েছে। এরপর ফারুক - রশীদদের পুরো বাহিনীটি এগিয়ে যায় তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে। মাত্র তিন ঘন্টায় তারা মুজিব এবং তাঁর পরিবারের অন্তত চল্লিশ সদস্যকে হত্যা করে। আজ ১৫ আগস্ট, ২০১৫। ৪০ বছর পর এসে ১৬ ডিসেম্বরকে 'স্বাধীনতা' দিবস হিসেবে জানা ইয়ো ডুড প্রজন্ম কিংবা ৭৫ এর ১৫ আগস্টের বদলে ৭১ এর ১৫ আগস্ট উল্লেখ করে ফেসবুক পোস্টানো প্রজন্ম মুজিবকে কতখানি ধারণ করতে পারে জানিনা কিন্তু আমার ভীষণ লজ্জা করে, ক্ষোভ হয় কারণ আমরা সেই জাতি যারা জানি আমাদের সামনে নিয়ে যাওয়া মানুষকে কি করে পিছন থেকে মারতে হয়।
হে বঙ্গবন্ধু গভীর ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা ...
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০