বর্তমানে নাটক অনেক জনপ্রিয় টিভি অনুষ্টান। বাংলা নাটকের জন্ম ও চলমান যাত্রাপথে ব্যাপক পরিবর্তন,পরিবর্ধন ঘটেছে।নাটকের ছন্নছাড়া ভাব যেমন একত্রিত হয়েছে আবার একত্রিত ভাব গুলো ছন্নছাড়া রুপে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলা নাটক তথা বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার ছোঁয়া খুব বেশিদিন ধরে লাগে নি।
বাংলা কিংবা বিশ্বসাহিত্যে নাটক সর্বাপেক্ষা প্রাচীন সাহিত্য। এই নাটককে সর্বদাই কাব্যসাহিত্যে গন্য করা হয়। পূর্বে এরকম সাহিত্যই বেশি দেখা দেখা যেত। বর্তমানে এসব কাব্য ভিত্তিক নাটক দেখা যায় না। কিন্তু মজার তথ্য হল- বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ট নাট্যকার শেক্সপীয়র তার সকল নাটক কবিতায় রচনা করেছেন।নাটক হতে পারে কাহিনী নির্ভর কিংবা শুধুমাত্র কৌতুকের জন্য। নাটকে পাঁচ ধরনের অংক বিদ্যমান। এছাড়া একটি নাটক প্লট বা আখ্যানভাগ, চরিত্র,চিন্তা, মঞ্চায়ন এসব কিছুর সমন্বয়ে গঠিত। নাটকের বিভিন্ন শ্রেনীবিন্যাস লক্ষ্য করা যায়। বাংলা নাটকের ক্ষেত্রে প্রথম ও বলা যায় কিংবদন্তী হলেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। এরপর যার নাম আসে তিনি দীন্বন্ধু মিত্র। 'নীল দর্পন' তার শ্রেষ্ট নাটক। পরবর্তি সময়ে রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা নাটকের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
এতক্ষণ বাংলা নাটকের আদিকথা বললাম। বাংলা নাটকের ভিত্তি গড়েছেন এরা। পরবর্তিতে এই ভিত্তিকে মজবুত করেছেন আরোও অনেকে।এদের মধ্যে সবার প্রথমেই আসবে হুমায়ুন আহমেদের কথা। তার নাটকের হাস্যরস,ট্রাজেডি কিংবা ধ্রুপদী সত্যি ভুলার নয়। তার সমসাময়িক আরও অনেক নাট্যকার আছে যাদের কল্যানে বাংলার নাটক আজ সমৃদ্ধ। আজকাল বাংলায় যেসব নাটক তৈরী হয় তা অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং এক কথায় অসাধারণ। নাটকে এখনকার কাহিনীগুলো যেমন অদ্ভুদ তেমনি হাস্যরসাত্নক। বেশিরভাগ নাটকেই শহরাঞ্চলের বাস্তব চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। এসব নাটক গুলো কমেডি ধাঁচের হয়।মজার এব্ভং বলতে পারেন গর্বের বিষয় অবালবৃদ্ধবণিতা সবাই এসব নাটকের মুগ্ধ দর্শক। আঞ্চলিক ভাষা কে যেভাবে নাটকে ফুটিয়ে তোলা হয় তা অসাধারণ ও মেধার পরিচয় বহন করে। মেধাবী পরিচালক ও অভিনেতার সমন্বয়ে নাটকগুলো আজ অন্যমাত্রা লাভ করেছে।