অবশেষে সাভারে দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন ভিসি শরীফ এনামুল কবির।
উপাচার্য হিসেবে প্রায় তিন বছরেরও বেশি সময় দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, ছাত্রলীগের ‘একটি অঞ্চলভিত্তিক’ অংশকে মদদ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেন অধ্যাপক কবির।
এ ছাড়া প্রাকৃতিক সম্পদের বাণিজ্যিকীকরণ, ক্যাম্পাসে সৌন্দর্য বাড়ানোর নামে গাছ কাটা নিয়েও সমালোচনায় পড়েন তিনি।
২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই ছাত্রলীগের বিশেষ একটি অঞ্চলের (গোপালগঞ্জ) নেতা-কর্মীদের লালনের অভিযোগ ওঠে। ছাত্রলীগের বর্তমান স্থগিত কমিটির মধ্যে বিভেদ তৈরির মাধ্যমে ২০১০ সালের ৫ জুলাই অভ্যন্তরীণ কোন্দল সৃষ্টিরও অভিযোগ রয়েছে শরীফ এনামুল কবিরের বিরুদ্ধে।
তবে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে ওঠে এই বছরের শুরুতে, তার মদদপুষ্ট ছাত্রলীগ নেতাদের হামলায় সংগঠনটির অন্য অংশের কর্মী ও ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদের নিহত হওয়ার পর।
গত ৯ জানুয়ারি জুবায়ের খুন হওয়ার পর থেকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একপ্রকার অচল হয়ে পড়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম। ওই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা এবং প্রায় ২০০ শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে আন্দোলন চালাতে থাকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
ধাপে ধাপে আন্দোলন চালানোর পর আন্দোলনরত শিক্ষকদের ফোরাম ‘শিক্ষক সমাজ’ গত ১৮ এপ্রিল উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে কর্মসূচি শুরু করে।
শিক্ষকদের আন্দোলনের এক পর্যায়ে সাংস্কৃতিক জোট নেতাদের ওপর ‘উপাচার্যপন্থী ছাত্রলীগ’ হামলা চালালে শিক্ষার্থীরাও শরীফ এনামুল কবিরের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে নামে।
তীব্র আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন মিডিয়ার পাশাপাশি সর্ববৃহৎ ব্লগ সামুর সহযোগীতায় আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়
ভিসি অপসারণের দাবিতে ফুঁসে উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর!!!!
অবশেষে বৃহষ্পতিবার বঙ্গভবনে পদত্যাগ পত্র জমা দেন অধ্যাপক কবীর।
নতুন ভিসি হিসাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে নিয়োগ দেয়া হয়।