ইঙ্গ-মার্কিনিরা তথা ইহুদী-নাসারারা খুব ভালো করেই জানে যুদ্ধ জিহাদ করে কখনোই মুসলমানদের সাথে পারা সম্ভব নয়। তাই তারা মুসলমান ছূরতের কিছু মুনাফিক তথা ধর্মব্যবসায়ী তৈরি করে মুসলমানদের ঈমান, আমল, আক্বীদা, আখলাক নষ্ট করার নীলনকশা প্রণয়নে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সেজন্যই তথাকথিত মার্কিন ইসলাম হচ্ছে- মুসলমানরা নামে মুসলমান থাকবে কিন্তু আমল হবে সম্পূর্ণ কুরআন-সুন্নাহ্্র বিপরীত। ছবি তুলবে, বেপর্দা চলবে, সুদের ব্যবসা করবে, মদ খাবে, জুয়া খেলবে ইত্যাদি। আর উক্ত বদ আমলগুলো ইসলামের লেবাসধারী ধর্মব্যবসায়ী রাজাকার তথা জামাতীদের প্রতিনিয়ত করতে দেখা যায়। সে কারণেই জামাতীদের সুদের ব্যবসা, মাদক চোরাচালান ব্যবসা, সন্ত্রাসবাদের কানেকশন, ’৭১-এর গণহত্যা, ধর্ষণ আর লুটতরাজের গোষ্ঠীগত হীন চরিত্র এদের আজো বদলায়নি। মুসলমান হত্যা, মহিলার সম্ভ্রমহরণ, মুসলমানদের সম্পদকে গণিমতের মাল বলে হারামকে হালাল করার বদ খাছলত তাদের আজও যায়নি।
পাঠক! মুসলমানদের ঈমান, আমল, আক্বীদা হরণের জন্য পরিকল্পিতভাবে জামাতীরা যেভাবে দেশে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির পাশাপাশি বিজাতীয় রীতিনীতি চালু করার নীলনকশা প্রণয়ন করছে তাতে করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যদি এখন থেকেই এর তীব্র প্রতিবাদ গড়ে তুলতে না পারে তাহলে বলা চলে ইরাক, ইরান, আফগানিস্তানের ধর্মব্যবসায়ীদের মতো জামাতীরাও এদেশকে ইহুদী-নাছারাদের হাতে তুলে দিবে। (নাঊযুবিল্লাহ)
তাই মুসলিম উম্মাহ্কে যুদ্ধাপরাধী, কুখ্যাত রাজাকার, ধর্মব্যবসায়ী জামাতীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থার মাধ্যম দিয়ে প্রমাণ করতে হবে যে, মুসলমানরা তথাকথিত মার্কিন ইসলাম এবং জামাতী মওদুদী ইসলামে বিশ্বাসী নয়; বরং মুসলমানরা নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আনীত দ্বীন ইসলামে বিশ্বাসী।
মার্কিন আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ইসলামী লেবাসে জামাতীরা আজ যে অনৈসলামিক কার্যকলাপে লিপ্ত রয়েছে তাতে করে এ কথা নিঃসন্দেহে বলা চলে- জামাতীরা মুখে মুখে ইসলামের বুলী আওড়ালেও আমলে তারা সর্বদাই ইহুদী-নাসারাদেরই জাতি ভাই। সে কারণেই মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক ব্যঙ্গ করার মতো দুঃসাহস তারা দেখাতে পেরেছে। অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় যে, যারা যুদ্ধাপরাধী, যারা মুসলমান হত্যা করেছে, যারা মুসলমান মা-বোনদের ইজ্জত সম্মান নষ্ট থেকে শুরু করে হাজারো হারাম কাজে লিপ্ত রয়েছে তাদেরকে কি করে মুসলমানরা মুসলমানদের দেশে জায়গা দিতে পারে, তারা কি করে দেশে মন্ত্রী হয়, দেশ শাসনে অধিকর্তার ভূমিকা পালন করে? মুসলমানদের বুঝা উচিত যে, বাইরের শত্রু থেকে ঘরের শত্রু বেশি ক্ষতিকর। তাই প্রত্যেক ধর্মপ্রাণ দ্বীনদার মুসলমানদের উচিত হবে- আমাদের ঘরের শত্রু রাজাকার, আলবাদর, জামাতী, দেওবন্দী, খারেজী, ওহাবী থেকে শুরু করে যত ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে‘ছূ’ ইসলামের ছদ্মাবরণে মুসলমান ছূরতে অনৈসলামিক তথা হাজারো হারামকে হালাল করছে, নির্বিচারে মুসলমান হত্যা করেছে তাদের এখনই চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া; আর তা না করা হলে মুসলমানরা চরম হীনমন্যতার পরিচয় দিবে।