অনেকেই বলে থাকে আমাদের মস্তিষ্ক কম্পিউটারের মত কাজ করে। ঘটনা পুরোটা সত্য নয় । কম্পিউটার কাজ করে বাইনারী সংকেত এর মাধ্যমে লজিক মিলিয়ে মিলিয়ে । মস্তিষ্ক কাজ করে নার্ভ রেস্পন্সেস ও প্যাটার্ন এর মাধ্যমে। জিনিসটা অতটা জটিল কিছু না। ধরুন, আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে যান, দাঁত ব্রাশ করেন, রেডি হয়ে নাস্তা করেন, তারপর রুমে তালা দিয়ে বের হয়ে যান, আপনার মস্তিষ্ক এই প্যাটার্নটি এক বার আয়ত্ত করতে পারলে ব্যসঃ আপনার আর নিজে থেকে চিন্তা করে কিছু করতে হবে না, অটোম্যাটিক চলতে থাকবে বা একটু খেয়াল করলে বুঝবেন এমনটাই হচ্ছে । মস্তিস্ক সবসময় চেষ্টা করে প্যাটার্ন তৈরি করতে যাতে আপনি নরমাল কাজ করার সময় অন্য বিষয় গুলো নিয়েও ভাবতে পারেন ।
যখন কেউ কোন সম্পর্কে থাকে তখন ঐ ছেলেটি বা মেয়েটির মস্তিষ্ক এরকম একটি প্যাটার্ন তৈরি করে ফেলে । সকালে ঘুম থেকে ডেকে দেয়া থেকে শুরু করে রাতে ফোনে জিগ্যেস করা ‘কি দিয়ে ভাত খেয়েছ?’ ইত্যাদি সব মিলে তৈরি হয় এই প্যাটার্ন । কোন কারনে যদি সম্পর্কটি ভেঙ্গে যায় তাহলে দেখা দেয় বিপত্তি । মস্তিষ্কের এই স্বাভাবিক প্যাটার্ন বাধাগ্রস্ত হয় । নতুন প্যাটার্ন তৈরি করার প্রয়োজন দেখা দেয় । মস্তিষ্ক নতুন করে প্যাটার্ন তৈরি করতে চায় না কারন এই ব্যাপারটি বেশ শ্রমসাপেক্ষ। ফলে এই সময়টাতে মানুষের মন খারাপ থাকে বা প্রচন্দ ডিপ্রেশনে চলে যায় । এক জন আরেক জনকে মিস্ করতে থাকে (কে জানি বলেছিল ‘মিস্’ করার প্রকৃত অর্থ বাংলায় নেই, ঘটনা কি আসলেই তাই? কারো সঠিক অর্থ জানা থাকলে জানাতে পারেন)। মূলতঃ এইখানে ছেলেটি বা মেয়েটি কেউ কার সঙ্গ বা ভালবাসা মিস্ করছে না মিসিং হচ্ছে মস্তিষ্কের সহজাত প্যাটার্ন।
মানুষ যতই বলুক আমরা পরিবর্তনের পক্ষে, বস্তুতঃ আমাদের মস্তিষ্ক পরিবর্তনের বিপক্ষে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:১৪