আমাদের পাশের গ্রামের মোঃ মোগল মিয়া প্রবাসে(দুবাই) থাকতেন। তখন মোবাইলের প্রচলন শুরু হয়েছে মাত্র। তো একদিন মুগল মিয়া তার বাড়িতে কল করলেন।কিন্তু রং নাম্বার ডায়াল করার কারণে কল চলে গেল একই গ্রামের এক তালাকপ্রাপ্তা মহিলা মরিয়মের মোবাইলে। ব্যস, শুরু হয়ে গেল কাহিনী...
... মুগলের আগ্রহ না থাকলেও মরিয়ম বেগম জোরপূর্বক ইটিশ পিটিশ চালিয়ে যেতে লাগলেন।তাও ফোনে। আর আলাপের বিশেষ বিশেষ অংশগুলো মোবাইলে রেকর্ড করে রাখতে লাগলেন।
অতঃপর একদিন মরিয়ম বেগম মুগল মিয়াকে জানিয়ে দিলেন, “ইউ আর গোয়িং টু ম্যারী মি এজ সুন এজ ইউ কাম বাংলাদেশ!” মুগল মিয়া Shocked! তিনি অসহায় সুরে বললেন, “আমি তোমাকে কেন বিয়ে করতে যাব! আমাদের মাঝে তো সেরকম কোন সম্পর্ক নেই!” মরিয়মের সোজা সাপ্টা উত্তর, “আমারে তোর বিয়া করা লাগবেনা রে মুগলা, বিয়া তো আমি তোরে করব!”
...মুগল মিয়া দেশে আসলেন। আর মরিয়ম বেগম তার বিশেষ কারিশমার বলে গ্রামের দুষ্টু প্রকৃতির প্রভাবশালী লোকদের হাত করে ফেললেন। এবং তাদেরকে নিয়ে যথারীতি মুগলের বাড়িতে হামলা করলেন। দাবি একটাই,মুগল তারে বিয়া করা লাগবে। তা না হলে দাঁ দিয়ে মুগলের কল্লা ফেলে দেয়া হবে অথবা নিজের কল্লা কেটে মরিয়ম আত্মহত্যা করবেন। ইজ্জত হারানোর ভয়ে মুগল মিয়া মরিয়মকে বিয়ে করতে রাজি হলেন।
...উভয়ে কবুল বলার পর বিয়ের আসরেই মরিয়ম বেগম মুগলকে দম্ভভরে জিজ্ঞেস করলেন, “কিরে মুগলা, বলছিলাম না তোরে বিয়া করেই ছাড়ব?” মুগল মিয়ার চোখ থেকে দু’ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল।