somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মুক্তি মুন্না
আমি আমার জীবনের লক্ষ্য নিয়ে সন্দিহান ছিলাম এবং এখনো আছি। আমি পথিক হয়ে আসলে কোথায় যাচ্ছি, এর শেষ কি হবে তা আমাকে মাঝে মাঝে ভাবিয়ে তুলে। কিন্তু আমি হেঁটে চলছি অবিরত। আমি নিজেকে মেঘের সাথে তুলনা করতে পছন্দ করি, একদিন সেও বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে। আমিও ---

৭৮৬ কি বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহীম??

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক ভাই বিসমিল্লাহ....র গাণিতিক মান “৭৮৬” নিয়ে কিছু বুঝতে চেয়েছিলেন, এ নিয়ে কয়েকদিন গবেষণা করে যে পর্যন্ত উপনীত হয়েছি তা পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরলাম। বিস্তারিত পড়ার অনুরোধ এবং এ ব্যাপারে আর কিছু জানা থাকলে কমেন্টে উল্লেখ করবেন।

- কুরআনের প্রতি হরফের জন্য একটি নির্দিষ্ট মান নির্ধারণ করা হয়েছে যাকে বলা হয় ‘আবজাদ’ মান। মাদরাসা পাঠ্য পুস্তক ‘বাকুরাতুল আদব’ এর পঞ্চম পৃষ্ঠায় এবং المعجم الوسيط নামক অভিধানে উল্লেখিত নিম্ন নমুনায় আরবি অক্ষরের গাণিতিক বা ‘আবজাদ’ মানের চিত্রটি লক্ষ্য করুন।
ابجد
ابجد هوز حطى كلمن
سعفص قرشث شخذ ضظغ
ا ب ج د ه و ز ح ط ى ك ل م ن
١ ٢ ٣ ٤ ٥ ٦ ٧ ٨ ٩ ١٠ ٢٠ ٣٠ ٤٠ ٥٠
س ع ف ص ق ر ش ت ث خ
٦٠ ٧٠ ٨٠ ٩٠ ١٠٠ ٢٠٠ ٣٠٠ ٤٠٠ ٥٠٠ ٦٠٠
ذ ض ظ غ
٧٠٠ ٨٠٠ ٩٠٠ ١٠٠٠

আরবি বাক্য লেখার পদ্ধতিতে একটি অক্ষরের সাথে অন্য একটি অক্ষর মিলিয়ে লেখা হলে ঐ শব্দটি পাঠ করার সময় শব্দটির বাম পাশে হরকতবিহীন একটি আলিফ যোগ করে এক আলিফ টেনে পাঠ করতে হয়। আর অক্ষরটি বামের অক্ষরের সাথে মিলিয়ে লিখলে হরকতবিহীন আলিফকে ছোট আকারে ‘যবর’ যোগ করে অক্ষরের উপর দিলেও এক আলিফ টেনে পাঠ করতে হয়। উক্ত ছোট আলিফকে খাড়া যবর বলে। আলিফের গাণিতিক মান হচ্ছে ১। অক্ষরের উপর দেয়া ছোট আলিফের অর্থাৎ খাড়া যবরের মানও হচ্ছে ১।
আরবী অক্ষরের গণিতের মান দিয়ে কোড নম্বর লিখার পদ্ধতিটির আবিষ্কারক হচ্ছেন গ্রিসের প্রখ্যাত গণিত-বিশারদ (জ্যামিতিক) পিথাগোরাস। তিনি ছিলেন ইয়াহুদী। মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্রু। আরবি অক্ষরের মানের হিসাব কষে বিধর্মী কর্তৃক “বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম” এর যে সংখ্যা বা মান নির্ধারণ করা হয়েছে তা হলো ৭৮৬।

পিথাগোরাসের প্রবর্তিত অক্ষরের মান তথা ‘আবজাদ’ মান বসিয়ে দেখা যাক بِّسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ “বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম” এর মান কত হয়?
ب س م ا ل ل ه ا ل ر ح
৮ ২০০ ৩০ ১ ৫ ৩০ ৩০ ১ ৪০ ৬০ ২
م ن ا ل ر ح ى م
৪০ ১০ ৮ ২০০ ৩০ ১ ৫০ ৪০
অর্থাৎ
২+৬০+৪০+১+৩০+৩০+৫+১+৩০+২০০+৮+৪০+৫০+১+৩০+২০০+৮+১০+৪০=৭৮৬

পাঠকবৃন্দ! পিথাগোরাসের আবিষ্কৃত আরবি অক্ষরের গাণিতিক মান বসিয়ে “বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম” এর কোড নম্বর পাওয়া গেল ৭৮৬ । আবার আপনারা আরবিতে “হরে কৃষ্ণা” هرىكرشنا লিখে উহার আবজাদ মান প্রয়োগ করুন। দেখতে পাবেন যে, এর কোড নম্বর বা আবজাদ মান দাড়াচ্ছে ৭৮৬।
ه ر ى ك ر ش ن ا
১ ৫০ ৩০০ ২০০ ২০ ১০ ২০০ ৫ =৭৮৬
অর্থাৎ ৫+২০০+১০+২০+২০০+৩০০+৫০+১=৭৮৬

লক্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের দেশের অনেক মাদরাসা, স্কুল, কলেজ, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ক্যাশমেমো, ভাউচার, চাঁদার রসিদ, পোস্টার, সাইনবোর্ড, অফিসিয়াল প্যাড ইত্যাদি নানাবিধ দলীল বা কাগজপত্র এমনকি তাবিজের শিরোনামে ৭৮৬ কোড নম্বর লিখা হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে এটা পরিহার করা জরুরী।

কারণ রাসুল (সা.) তাঁর জীবদ্দশায় “বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম” এর সংখ্যা নির্ণয়ক কোন মান লিখে যাননি। এ ছাড়া তিনি তার সাহাবীগণ (রাঃ) এদের কাউকে লিখতে অনুমোদনও দেননি। সুতরাং “বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম” এর পরিবর্তে ৭৮৬ সংখ্যাটির ব্যবহার করা নি:সন্দেহে একটি বিদ‘আত।

অতএব সাবধান থাকা অপরিহার্য মনে করি এবং যাছাই-বাছাই না করে সংখ্যা তত্ত্বের হিসাব না জেনে দ্বীনি ব্যাপারে সংখ্যার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়, বরং আরবি শব্দ ব্যবহার করুন নতুবা নিজ ভাষায় লিখুন।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪৪
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মৃত্যু কাছে, অথবা দূরেও নয়=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



©কাজী ফাতেমা ছবি
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে বলি, আমারও সময় হবে যাবার
কি করে চলে যায় মানুষ হুটহাট, না বলে কয়ে,
মৃত্যু কী খুব কাছে নয়, অথবা খুব দূরে!
দূরে তবু ধরে নেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×