১৯৯১ সালের ঘটনা। তখন ক্লাশ থ্রিতে পড়ি। আঞ্জুমান আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়, নেত্রকোণা। একদিন ক্লাশ চলছে। এসময় আমার পাশে বসা এক সহপাঠী (নাম ভুলে গেছি) আমাকে বলছে,
সহপাঠীঃ দোস্ত, খুব চিন্তায় আছি। যদি বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় তখন আমাদের কি হবে? সবার তো যুদ্ধে যাইতে হবে।
কিশোর /শাহীনঃ দোস্ত, বিশ্বযুদ্ধ কি? ইরাকে যুদ্ধ হইতাছে ঠিক আছে, আমরা তো ইরাক থেকে অনেক দূরে। আমাদের যুদ্ধ করতে হবে কেন।
সহপাঠীঃ বিশ্বযুদ্ধে বিশ্বের সবারই যুদ্ধ করতে হয়। স্যারকে জিজ্ঞাসা করে দেখ।
আমি কিছু বলার আগেই স্যার বা ম্যাডাম আমাদের শাসালেন ক্লাশ চলা অবস্থায় যেন কথা না বলি। আমরা আবার চুপ হয়ে গেলাম। এই আলোচনা ওই বয়সে আর এগোয় নি।
প্রসংগটা মনে আসল, টং দোকানে প্রাপ্ত বয়স্ক দুজনের বিতর্ক থেকে। আমাদের নবীজী নূরের তৈরী, নাকি মাটির তৈরী এই নিয়ে তারা বিতর্কে লিপ্ত। যদিও আমাদের ধর্ম অনুযায়ী আমার জানা মতে এই সব বিতর্ক পুরোপুরি অমূলক। নবীজী কিসের তৈরী তা নিয়ে আমরা চিন্তা না করে, যেসব দিক নির্দেশনা ধর্মে দেয়া আছে, আল্লাহর ও তার নবী, রাসূল ও ফেরেশতাগনের উপর পূর্ন বিশ্বাস রেখে নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত, সতকর্ম পালন করলেই আমরা ইহলৌকিক ও পরলৌকিক সাফল্য পেতে পারি। অযথা অমূলক বিষয় নিয়ে কথা না বাড়ানোই ভালো।
এই ধরনের অমুলক চিন্তা সব বয়সের মানুষের মাঝেই কম বেশী আসে। তবে সচেতন মানুষ হিসেবে আমরা এই ধরনের অমূলক/অপ্রয়োজনীয় চিন্তা, কথা বা ভয় ভীতি থেকে দূরে থাকব।
সবার জীবন সুন্দর হোক, আনন্দময় হোক।
শুভ কামনায়
কিশোর
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮