জনৈকঃ ভাই, এত বছর স্পিরিচুয়ালিটির পিছনে ঘুরে কি পেলেন? অযথা সময় নষ্ট করলেন।
কিশোরঃ ভাই, এ পথে চলি তো দেয়ার জন্য, পাওয়ার জন্য নয়। আর যখন আপনি স্রষ্টার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কাজ করবেন তখন পার্থিব সাফল্য বাই প্রডাক্ট হিসেবে আসবে।এটা নিয়ে আমরা ভাবি না।
জনৈকঃ এই সব পথে যাদেরকে ঘুরতে দেখি বছরের পর বছর, তাদের নিজেরই দেখি কোন চেঞ্জ নাই, আর স্পিরিচুয়ালি খুব কেউ আগাইছে তেমনটাও চোখে পড়ে নাই। আর যারা এসব করে না তারা দেখলাম, স্পিরিচুয়াল পাবলিকদের চেয়ে অনেক সফল।
কিশোরঃ আসলে সাফল্যের সংগা একেকজনের কাছে একেক রকম। কেউ হয়তো এভারেস্টের চূড়াকে তার সাফল্য মনে করে, কেউবা দৌড়ে ১ম হওয়া , কেউবা কোন প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পদে যাওয়া ইত্যাদি।স্পিরিচুয়াল সাক্সেস পাওয়াটা অনেক কঠিন, অনেক ত্যাগের, কারো এক জন্মে হয়, কারো বা হয় না। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ আমাদের নবীজী মোহাম্মদ (সাঃ) কে দীর্ঘ পনের বছর ধ্যান মগ্ন থাকতে হয়েছে হেরা গুহায়।আর আমরা যারা ক্ষুদ্র মানুষ, তাদের কথা ভাবেন এখন। স্পিরিচুয়ালিটি টাকে আপনি একটা গাড়ি হিসেবে কল্পনা করেন আর জেনে রাখবেন এর চাকা হলো চারটি (বডি, মাইন্ড, সৌল, এনার্জি)।এর একটি বা দুটি চাকা যদি ঠিক না থাকে বা পাংচার থাকে তবে গাড়ী কিন্তু একই জায়গায় থেমে থাকবে এখন সে যত বছরই চেস্টা করুক না। যদি বডি ও মাইন্ড ঠিক থাকে, সে পার্থিব সাফল্যের জন্য ফিট। কিন্তু স্পিরিচুয়ালভাবে অগ্রসর হতে হলে এই শরীর, মন, আত্না ও মহাজাগতিক শক্তির প্রবাহ বাকী তিন চাকা গুলোতে সমান ভাবে করতে হয়।যখন এই চারটি চাকা ঠিক হয়ে যায়, তখন আস্তে আস্তে গাড়ী সামনের দিক যায়।তাই এর সাথে অন্য কিছুর তুলনা না করাই ভালো।
জনৈকঃ ভাই, একটু কাজ আছে, পরে কথা হবে।
কিশোর হাসি মুখে বলে, ঠিক আছে ভাই। ভালো থাকবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩১