রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন :
নিশ্চয়ই মানুষের দেহে এক টুকরা গোশত আছে,
যখন তা পবিত্র হয় তখন সমস্ত দেহই পবিত্র
হয়ে যায়, আর যখন তা অপবিত্র হয়ে যায় তখন
সমস্ত দেহই অপবিত্র হয়ে যায়, আর জেনে রাখ
তা হল ক্বলব। (বুখারী ও মুসলিম)
ক্বলবের কালিমা দূর করার সুন্নতসম্মত পদ্ধতি হল-
০ আল্লাহর জিকির : আল্লাহর জিকির দ্বারা ক্বলবের মরিচা বা কালিমা দুর হয়ে যায় এবং কলব পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন হয়ে যায়। আল্লাহ তা'য়ালা বলেন :
তারা এমন লোক, যারা ঈমান আনে এবং আল্লাহর যিকরে তাদের অন্তর প্রশান্ত হয়। হুঁশিয়ার! আল্লাহর স্মরণেই অন্তর প্রশান্ত হয়। (সুরা রাদ : ২৮)
জিকির কয়েক প্রকার, যথা-
(১)জিকরে আমালী- আল্লাহর স্মরণে নেক আমল
করা।
(২) জিকরে লিসানী- আল্লাহর স্মরণে কুরআন তিলাওয়াত, তাসবীহ-তাহমীদ-তাহলীল-তাকবীর পাঠ, দুরূদ পাঠ, মাসনুন দোয়ার আমল, আল্লাহর কাছে প্রার্থনা ইত্যাদি।
(৩) জিকরে ক্বলবী- দাড়ানো, বসা, শায়িত সর্বাবস্থায়
আল্লাহকে হাজির নাজির জানা।
(৪)জিকরে মালী- আল্লাহর মহব্বতের আশায়
আল্লাহ প্রদত্ত মহব্বতের ধন-সম্পদ থেকে আল্লাহর
পথে দান করা।
০ তওবা ও ইস্তিগফার : হযরত আবু হুরাইরা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যখন কোন মু’মিন বান্দা গুনাহ করে তখন তার ক্বলবের
মধ্যে একটি দাগ পড়ে যায়। অতঃপর যদি সে তওবাহ ও ইস্তিগফার করে তাহলে তার কলব পরিষ্কার হয়ে যায়।
(তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)
০ দান-সদাকাহ : দুনিয়া ও দুনিয়ার সম্পদের
মহব্বতের রোগ থেকে ক্বলবকে চিকিৎসা করে সেখানে আল্লাহ তা'য়ালার মহব্বত জারী করার জন্য বেশী বেশী দান-সদাকাহ করার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। আল্লাহ তা'য়ালা বলেনঃ তোমরা কখনোই পুণ্য ও
কল্যাণ লাভ করবে না যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের প্রিয়বস্তু (আল্লাহর পথে) ব্যয় করবে। আর তোমরা যা কিছু ব্যয় কর, সে ব্যয় সম্পর্কে আল্লাহ নিশ্চয় অবহিত
রয়েছেন। (সূরা আলে- ইমরান : ৯২)
০ ক্বলব সংশোধনের দোয়া : কলব সংশোধনের
জন্য এবং সংশোধিত কলবের উপর টিকে থাকার জন্য আল্লাহর কাছে সর্বদা প্রার্থনা করতে হবে। যেমন-
দ্বীনের পথে হিদায়াতের উপর টিকে থাকার জন্য আল্লাহর শেখানো দোয়া :
ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻟَﺎ ﺗُﺰِﻍ ﻗُﻠُﻮﺑَﻨَﺎ ﺑَﻌْﺪَ ﺇِﺫْ ﻫَﺪَﻳْﺘَﻨَﺎ ﻭَﻫَﺐ ﻟَﻨَﺎ ﻣِﻦ ﻟَّﺪُﻧﻚَ ﺭَﺣْﻤَﺔً ﺇِﻧَّﻚَ
ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﻮَﻫَّﺎﺏُ
- হে আমাদের প্রতিপালক! হিদায়াত প্রদান করার পর আপনি আমাদের অন্তঃকরণকে বক্র করবেন না এবং আপনার নিকট থেকে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান করুন! নিশ্চয়ই আপনি সবকিছুর দাতা।
(সূরা আলে ইমরান :আয়াত- ৮)
সংশোধিত ক্বলবের অবস্থা : সংশোধিত কলব
আয়নার মত পরিস্কার হয়ে আল্লাহর পক্ষ
থেকে ইলহাম প্রাপ্ত হয়। আল্লাহর নুর সেখানে প্রতিফলিত হয়।
(ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ও সংক্ষেপিত)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন :
নিশ্চয়ই মানুষের দেহে এক টুকরা গোশত আছে,
যখন তা পবিত্র হয় তখন সমস্ত দেহই পবিত্র
হয়ে যায়, আর যখন তা অপবিত্র হয়ে যায় তখন
সমস্ত দেহই অপবিত্র হয়ে যায়, আর জেনে রাখ
তা হল ক্বলব। (বুখারী ও মুসলিম)
ক্বলবের কালিমা দূর করার সুন্নতসম্মত পদ্ধতি হল-
০ আল্লাহর জিকির : আল্লাহর জিকির দ্বারা ক্বলবের মরিচা বা কালিমা দুর হয়ে যায় এবং কলব পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন হয়ে যায়। আল্লাহ তা'য়ালা বলেন :
তারা এমন লোক, যারা ঈমান আনে এবং আল্লাহর যিকরে তাদের অন্তর প্রশান্ত হয়। হুঁশিয়ার! আল্লাহর স্মরণেই অন্তর প্রশান্ত হয়। (সুরা রাদ : ২৮)
জিকির কয়েক প্রকার, যথা-
(১)জিকরে আমালী- আল্লাহর স্মরণে নেক আমল
করা।
(২) জিকরে লিসানী- আল্লাহর স্মরণে কুরআন তিলাওয়াত, তাসবীহ-তাহমীদ-তাহলীল-তাকবীর পাঠ, দুরূদ পাঠ, মাসনুন দোয়ার আমল, আল্লাহর কাছে প্রার্থনা ইত্যাদি।
(৩) জিকরে ক্বলবী- দাড়ানো, বসা, শায়িত সর্বাবস্থায়
আল্লাহকে হাজির নাজির জানা।
(৪)জিকরে মালী- আল্লাহর মহব্বতের আশায়
আল্লাহ প্রদত্ত মহব্বতের ধন-সম্পদ থেকে আল্লাহর
পথে দান করা।
০ তওবা ও ইস্তিগফার : হযরত আবু হুরাইরা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যখন কোন মু’মিন বান্দা গুনাহ করে তখন তার ক্বলবের
মধ্যে একটি দাগ পড়ে যায়। অতঃপর যদি সে তওবাহ ও ইস্তিগফার করে তাহলে তার কলব পরিষ্কার হয়ে যায়।
(তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)
০ দান-সদাকাহ : দুনিয়া ও দুনিয়ার সম্পদের
মহব্বতের রোগ থেকে ক্বলবকে চিকিৎসা করে সেখানে আল্লাহ তা'য়ালার মহব্বত জারী করার জন্য বেশী বেশী দান-সদাকাহ করার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। আল্লাহ তা'য়ালা বলেনঃ তোমরা কখনোই পুণ্য ও
কল্যাণ লাভ করবে না যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের প্রিয়বস্তু (আল্লাহর পথে) ব্যয় করবে। আর তোমরা যা কিছু ব্যয় কর, সে ব্যয় সম্পর্কে আল্লাহ নিশ্চয় অবহিত
রয়েছেন। (সূরা আলে- ইমরান : ৯২)
০ ক্বলব সংশোধনের দোয়া : কলব সংশোধনের
জন্য এবং সংশোধিত কলবের উপর টিকে থাকার জন্য আল্লাহর কাছে সর্বদা প্রার্থনা করতে হবে। যেমন-
দ্বীনের পথে হিদায়াতের উপর টিকে থাকার জন্য আল্লাহর শেখানো দোয়া :
ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻟَﺎ ﺗُﺰِﻍ ﻗُﻠُﻮﺑَﻨَﺎ ﺑَﻌْﺪَ ﺇِﺫْ ﻫَﺪَﻳْﺘَﻨَﺎ ﻭَﻫَﺐ ﻟَﻨَﺎ ﻣِﻦ ﻟَّﺪُﻧﻚَ ﺭَﺣْﻤَﺔً ﺇِﻧَّﻚَ
ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﻮَﻫَّﺎﺏُ
- হে আমাদের প্রতিপালক! হিদায়াত প্রদান করার পর আপনি আমাদের অন্তঃকরণকে বক্র করবেন না এবং আপনার নিকট থেকে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান করুন! নিশ্চয়ই আপনি সবকিছুর দাতা।
(সূরা আলে ইমরান :আয়াত- ৮)
সংশোধিত ক্বলবের অবস্থা : সংশোধিত কলব
আয়নার মত পরিস্কার হয়ে আল্লাহর পক্ষ
থেকে ইলহাম প্রাপ্ত হয়। আল্লাহর নুর সেখানে প্রতিফলিত হয়।
(ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ও সংক্ষেপিত)