- আপনার বুকে তো কফ বেঁধেছে। রাতে ঘুমানোর আগে গরম দুধ খাবেন।
- আচ্ছা বিনি।
- বের হয়ে আপনাকে দুধ কিনে দিব। গরুর দুধ!
- বাংলাদেশে দুধ মানেই গরুর দুধ বিনি। অন্য দুধ কোথায় পাবেন?
- ছাগলের দুধ?
- বাজারে তো পাওয়া যায় না; গেলেও দুষ্প্রাপ্য।
- মহিষের দুধ?
- মহিষের দইয়ের চাহিদা বেশি। তাই যা কিছুটা পাওয়া যায় সেটা তো দই পাতিয়ে ফেলে।
- ঘোড়ার দুধ?
- ছাগল আর মহিষের দুধই পাওয়া যায় না; সেখানে আবার ঘোড়ার দুধ!
- হাতির দুধ?
- হাতির দুধ তো হালাল না বিনি।
- কেন?
- হাতির মাংস কি হালাল?
- না।
- যে পশুর মাংস হালাল না, সে পশুর দুধও হালাল না। গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া, উট, হরিণ, এসব পশুর মাংসও হালাল, দুধও হালাল।
- কুমিরের দুধ?
- কুমির, ঘড়িয়াল, গুইসাপ সরীসৃপ প্রাণী। সরীসৃপ প্রাণীর দুধ হয় না। ম্যামাল বা স্তন্যপায়ী প্রাণীদের দুধ হয়। আপনি এসব জানেন না?
- আমি কি ডাক্তার নাকি?
- বিনি, ডাক্তাররা মেডিসিন আর সার্জারি বা পথ্যবিদ্যা আর শল্যবিদ্যা পড়ে। এসব তো ডাক্তারদের পাঠ্য না। এসব পড়ে জুওলজিস্টরা। এসব তো নাইন-টেনের বায়োলজি বইয়েই ছিল।
- আচ্ছা, বানরের দুধ? এরা তো সবসময় গাছে গাছে ঝুলতে থাকে। বানরের দুধ হয় না?
- বানর স্তন্যপায়ী। এদেরও দুধ হয়।
- এদের দুধ খায় না?
- বিলক্ষণ খায়। বানরের বাচ্চারা তো দিব্যি খাচ্ছে।
- খেতে কেমন?
- আমি তো জানি না। আপনার বান্ধবীদের জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন।
- আচ্ছা, সমুদ্রের নিচের কোনোটার দুধ হয় না?
- নীল তিমি তো স্তন্যপায়ী বলে পড়েছি। স্তন্যপায়ী হলে তো ওদের দুধ হওয়ার কথা।
- ওদের দুধ পাওয়া যায় না?
- পাওয়া যায়। কিন্তু শুধু ওদের শাবকরা খায়।
- বাজারে পাওয়া যায় না?
- আচ্ছা বিনি, একবার ভেবে দেখেন তো, সমুদ্রের নিচে এতবড় একটা প্রাণীর দুধ দোহন করতে যাবে কে?
- ধরে এনে, বেঁধে রেখে করা যায় না?
- বিনি, এটা তো গরু-ছাগল না যে ধরে এনে....। আপনি না বের হবেন বলছিলেন। চলেন বের হই, নাহয় দেরি হয়ে যাবে।
মাথাব্যথা করছে। কেন জানি না! গরম দুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়া দরকার। বাসায় এসে দুধ গরম করার জন্য রান্নাঘরে গিয়ে খেয়াল করলাম, আরে! আমাকে তো দুধই কিনে দেয়নি।
সূর্য নামার সাথে সাথে রাতের গভীরতা বাড়ছে, সাথে বাড়ছে মাথাব্যথা, আর তার সাথে পাল্লা দিয়ে শীতের তীব্রতাও বাড়ছে। অ্যাজমা অ্যাটাক আসার আগেই কম্বলের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৩৩