জীবনে অনেক পরীক্ষা দিয়েছি, পাস করেছি, ফেলও। সেসব অবশ্য এমন এক বয়সের কথা যখন পরীক্ষাকে দ্বার পেরোনোর একমাত্র উপায় মনে হতো। এখন এমন এক বয়সে উপনীত হয়েছি যে, কেউ এখন দ্বার রোধ করে আছে এবং তার কাছে পরীক্ষা দিয়ে রেখা টপকাতে হবে ভাবতেই খারাপ লাগে। এরকম অবস্থায় ওই পরীক্ষকের পরীক্ষা নিতে ইচ্ছে করে আমার।
সন্দেহ নেই পরীক্ষকের হাতে কিছু অস্ত্র থাকে--- স্বরচিত নিয়মনীতি, তার রুচি ও ভালোমন্দ বোধ ইত্যাদি। এসবের প্রত্যেকটা নিয়েই কথা বলবার সুযোগ আছে। আমরা এমন অনেক নীতির কথা জানি যা মানুষের স্বাধীনেচ্ছা বিঘ্নিত করার জন্যই তৈরি, এমন কথিত উচ্চ রুচির কথা জানি যাতে যে কারো অরুচি দেখা দিতে পারে। আর ভালোমন্দ বোধ তো জনে জনে ভিন্ন। গণতন্ত্রে সে বোধের চর্চার সুযোগ আছে। আছে যেমন দ্বাররক্ষির, তেমনি আমারও।
তো, ঘটনাক্রমে আমার বোধমালার ভালোমন্দ বিচারের জন্য যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত, যাদের কাছে আমার রুচিরও পরীক্ষা দিতে হচ্ছে, তারা যদি ক্ষমতার দম্ভে অবিচার করে এবং করে যেতেই থাকে, সেক্ষেত্রে আমার করণীয় কী? তখন কি আমি নিয়ম ভাঙব না? তাদের রুচি ও ভালোমন্দ বোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলব না?