সন্মুখে মহাকাল এবং মুখোমুখি আমি,
কোন সুদূরের তীরভাঙ্গা ঢেউ এ ভাসিয়েছো খেয়া তুমি?
ইচ্ছে করে উড়ে যাই, ধেয়ে যাই ঐ নীল জলে
অজানা এবং অসীমের ঐ কলরোলে
কোথায় ভিড়াও ডিঙ্গা, কোথায়ই বা ফের ভেসে যাও?
ওগো সুদূরের ছেলে, এ প্রতীক্ষিতা যামিনীরে যাও বলে যাও।
রাতের আঁধারিয়া গানে কান পেতে নেবো শুনে সেই কথকথা
বিভাজিত রাত্রিতে, অশ্রু ও আবেগীতে ধুয়ে যাক ব্যাথা অজানিতা।
স্নিগ্ধ ভোর ধীর লয়ে নিয়ে আসে রাগ আশাবরী,
কোথায় বাঁজাও তুমি মন্দ্রসপ্তক, বহুকাল গত হয়েছে যে প্রগাঢ় বিভাবরী।
সন্ধ্যা আসে, হাওয়ায় ভাসে বনগোলাপের সুবাসিত শিহরণ
বিরহীনি আমি হেঁটে চলি একা, অতন্দ্র বৈরাগীর তরে অনুক্ষন!
জানি না সে আরও কতকাল? কত অনন্ত প্রহর কেটে যাঁবে তার-
লুকিয়ে জ্যোস্নার ছায়া, বিরহীনী একা একা, ছড়িয়ে ধোয়াশার এই ধুম্রজাল!
সুগঠিত সুকঠিন সেই মুখচ্ছবি অবিরাম ধুঁপছায়া খেলে যায় জলে,
অদেখা সে তনুমন, ঝড় তোলে অনুরণ, হৃদয়ের আরশীতে তার কথা বলে।
অবশেষে...
যার প্রেমালিপ্সু সুগভীর চোখ আর হৃদয়ে পূর্ণ ভালোবাসা
পাবো কি তার দেখা, কোনো কাল ও মহাকালের সন্ধিক্ষনে?
হবে কি কথা সাথে তার?
কোনো এক ভোর কিংবা অংশু ডোবা সাঁঝের মায়ায়
উজাড় করে দেবো তারে এ জীবনে পাওয়া যত শোক তাপ
আর তারপর-
সমুদ্রে, শৃঙ্গে, গুহায় কিংবা অরণ্যে....
শুদ্ধ হবো পরম সান্নিধ্যে তার ....
পরমাস্পর্শের অনলে দগ্ধ হবো, হবো ধুসর ভস্মীভুত স্বর্ণলতা!!
কথাকথিভাইয়ার মেয়ে কাব্য দেখে চ্যালেঞ্জ করে ছেলে কাব্য লিখিতে গিয়া হইয়া গেলো ছেলে মেয়ে বা মেয়ে ছেলে কিছু একটা কাব্য!
আর কাব্যখানি আমার মলাসইলমুইনা ভাইয়ার চরণে নিবেদিত হইলো। দুজনের জন্যই ভালোবাসা।