somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার কথা-১

০১ লা মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্যাপক মন খারাপ। দেশের যে কি অবস্থা... মাথায় কিছুই ঢুকে না। দেশ স্বাধীন হয়েছে আজ ৪২ বছর হতে চললো। কত সরকারই তো এলো গেলো। শেখ মুজিব’স সরকার, জিয়া’স সরকার, এরশাদ’স সরকার, হাসিনা’স সরকার, খালেদা’স সরকার... আশ্চর্য লাগে, দেশের এই টিউমার যুদ্ধপরাধীগুলার বিচার দেওয়ার কথা কারো মনেই থাকলো না। এইটা নিয়ে কারো মাথাব্যাথাও ছিলো না। হঠাৎ করেই এতো বছর পরে মনে পরে গেলো “আরে, এই হারামীগুলারে তো এখনো বিচার করা হয়নায়”।

গতকাল এক হারামীর বিচারের রায় দিছে। রায় ফাঁসি শুনেই পোলাপান খুশিতে গদগদ। মিষ্টির দোকানী আরো বেশি খুশি। থামেন ভাই। রায় আর্যকর হইসে? যেই হারামী স্বাধীনতার ৪২ বছর পরেও এখনো বাঁইচ্চা আছে, অই হারামীর রায় কবে কার্যকর হইবো- কোন গ্যারান্টি নাই। তাই বলি কি, এখনি মিষ্টি খায়েন না। **কির পোলাটার লাশ দেইখা তারপরে পেট ভইরা মিষ্টি খায়েন। দরকার হইলে ভাতের বদলে মিষ্টি খায়েন তিন বেলা। :D :p আমি এই হারামীগো বিচার চাইনাই কখোনই, ডাইরেক্ট ফাঁসিতে ঝুলায়া দেয়া হোক।

মাঠপর্যায়ে আওয়ামীলীগ বিএনপিকে ভয় পায় না। কি রাজনীতিক কার্যক্রমে লোক আনয়ন, কি হরতাল-অবরোধ, সকল বিরোধীদলীও কার্যক্রমই সুসংবদ্ধভাবে প্রতিহত করে থাকে ঘরের পালা কুত্তালীগের পোলাপানরা। তাদের জন্যে এইটা কোন ব্যাপারই না। মাগার অক্ষন বিএনপি আর হরতাল দেয়না; হরতাল দেয় জামায়াত-শিবির। লউ ঠ্যালা। এইবার তো কুত্তালীগেও কুলাইতে পারে না। পিটায়া-কোপায়া এমন অবস্থা করসে যে, পুলিশও জামায়াত-শিবিরের কার্যক্রমের ডিউটিতে যাইতে ভয় পায় এখন। আমার এক পরিচিত পুলিশ এর ডিউটি ছিলো পল্টনে। ২০০ টাকা ঘুষ দিলো এবং “স্যার, আমি ফোন দিলেই আপনি কিন্তু চলে আসবেন। উপরের লোক এসে লিস্ট দেখে মাঝে মাঝে চেক করে, সবাই আছে কিনা”- এটা শুনে সেই পুলিশ বাসায় চলে আসলো। কে চায় মাইর খাইতে?

সেদিন পেপার পড়ছিলাম। হেডিং দেখলাম “শাহবাগের আন্দোলন তথা গোটা দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে নজর রাখছে ভারত”। অনুভূতিশুন্য হয়ে গেলাম। মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। ওহ, বলতে ভুলেই গেছি, আমি “আমার দেশ” কিংবা “নয়া দিগন্ত”তে এই খবর পড়িনাই। (বলে দিলাম, তা না হলে কেউ কেউ বলতে পারেন যে আমি ছাগু-গো খবরের কাগজে এইটা দেখছি)।

বাসার নিচে এলাকার এক বড় ভাই এর দোকান। সেইখানে গেলাম আড্ডা দিতে। টিভিতে শাহবাগের আন্দোলন কভার করে নিউজ দেখাচ্ছে। সেটা দেখে ভাই জিজ্ঞাসা করলো “যাওনাই?”।
“না ভাই”।
“কয়দিন গেছিলা?”।
হাতের তিনটা আঙ্গুল দেখায়া দিলাম। ভাই দেখি হিসাব কইরা কয় “১২০০?”।
“মানে কি?”
“আরে মিয়া, ১২০০ টাকা পাইছো না?”
“ভাই, হুনা কথা নিয়া আমার লগে মজা লইয়েন না। আপনে তো এইটা হুনসেন। আন্দোলনে যান, যায়া যদি ১০০ টাকাও আনতে পারেন, আপ্নেরে ভরপেট খাওয়ামু।”
“শোনা কথা না মিয়া। তুমি তো হুদাই গেছো অইনে। আমগো আলামিন গ্যাছে লীগের মাধ্যমে। ৩০০ নিয়া আসছে।“
চুপ হয়ে গেলাম। বলার নাই কিছু। এইটা সত্য বলসে। রাস্তায় কেউ ক্যানভাস করলে আপনা আপনি সেটার আসেপাশে মজা দেখার জন্য লোকজন জুটে যায়। নিরীহ পথচারীরা কোন টাকা পয়সা পায় না। কিন্তু যিনি ক্যানভাস করেন, তার সাথের লোকজন দিন শেষে নির্দিষ্ট পরিমানে টাকা পায় ঠিকই। শাহবাগের আন্দোলনের জন্য বিদেশ থেকে সাহায্য(!) আসছে অবশ্যই। (অবশ্য আমি এতো জোর দিয়ে বলছি কেন?)। কোন প্রমান নাই।

শাহবাগের আন্দোলনে নাকি আওয়ামীলীগের কোনই সমর্থন নেই। হাসতে হাসতে বাঁচি না। সর্বক্ষন সেখানে ছাত্রলীগ সভাপতিকে দেখা যায়। দলের একটা হোতা থাকলেই তো হয়, একশোজন লাগে নাকি? কেউ কেউ বলে, “এইজন্যেই তো লীগের কোন নেতারে আমরা মাইক ধরতে দেই না”। যথার্থই বলেছেন। আচ্ছা, আপনারা কেউ আমাকে আওয়ামী জোটের বাকি ১৩ দলের নাম দিতে পারবেন? বড়ই বাধিত থাকিব। তারপর সেই লিস্টের দলগুলো কোন নেতা-পাতিনেতারা গণজাগরন মঞ্চে উঠেছেন কিনা, সেটা যাচাই করে দেখবেন।
আচ্ছা, মেনে নিলাম লীগের সম্পৃক্ততা নেই একদমই। মঞ্চ থেকে তো যুদ্ধপরাধী-রাজাকারদের বিচারই চাওয়া হচ্ছে। বেশ ভালো। আমিও এই **কির পোলাগো বিচার চাই। সবগুলার বিচার চাই। মঞ্চ থেকে তো নাম ধরে ধরে রাজাকারদের বিচার চাওয়া হচ্ছে। আপনি তো তরুন আন্দোলনকারী। একবার মঞ্চে উঠে মাইক নিয়ে লীগের কাপরের তলে লুকিয়ে থাকা কোন রাজাকারের নাম চিৎকার করে বলে ফাঁসি চান। গ্যারান্টি দিচ্ছি, শ্লোগান শেষ করতে পারবেন না, তার আগেই মাইক হাতছাড়া হয়ে যাবে। যত বিচার চাওয়া হচ্ছে, সবাই জামায়াত কিংবা বিএনপি এর। অর্থাৎ আক্রোশটা বিরোধীদলের রাজাকারের উপরে। নিজের লুঙ্গির নিচে যে রাজাকারগুলা লুকিয়ে আছে, সেটা দেখেন না কেন? অবশ্য নিজের লুঙ্গি উঁচা করে কে দেখে ভেতরে কে/কি আছে? :D আগ্রহ অপরের লুঙ্গির নিচেই, সেটা যদি বিরোধীদলীয় হয় তাহলে তো আর কথাই নেই।

শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে আরেকটা কথা শোনলাম। পোলাপান নাকি বাবা(ইয়াবা) খেয়ে টাল হয়ে থাকে, গাঞ্জার আসর তো আছেই। এইটা নিয়ে আর কি বলবো? কোন জনসমাবেশে যেয়ে আপনি যদি গাঞ্জা খান, আপনেরে থামাবে কে? তাছাড়া ব্যাপারটা তো ছোট না। এত মানুষের মাঝে কে বাবা খাচ্ছে না কে ডান্ডি শুকতেছে, সেটা দেখা তো সম্ভব না। তবে কথা সত্য। সেদিন দেখলাম এক লোকের চোখ খুলতেই কষ্ট হচ্ছে কিন্তু বলেই যাচ্ছে “আমরা রাজাকারের ফাঁসি চাই। বাংলাদেশের মানুষের ফাঁসি হবেই”। :D :p ;) আর কত লুল দেখবো?

গত ২১শে ফেব্রুয়ারীতে শহীদ মিনার ভাঙ্গা হল, পতাকা পোড়ানো হল। এইটা যে জামায়াত-শিবিরের কান্ড, সেটায় কার কার সন্দেহ আছে হাত তুলেন। বাংলাদেশে থেকে কিভাবে বাংলাদেশের অবমাননা করে, সেটা ভাবলেই তো মেজাজে আগুন জ্বলে যায়। সেদিন ফেইসবুকে জামায়াতের গ্রুপে একজনকে দেখলাম পোষ্ট দিসে যে, সে আসলে বাংলায় পোস্ট করতে চায়নি কিছু। তার খুবই ইচ্ছা করছিলো উর্দুতে লিখতে। কিন্তু তার ভাইয়েরা সেই উর্দূ বুঝতে পারবে না বলে বাংলায় পোস্ট করেছে। আহারে উর্দূপ্রীতি। মন চায় লাথথি মাইরা এইগুলানরে ফাকিস্তানে পাঠায়া দেই। আবালগুলার কেন এরকম ফাকিস্তানপ্রীতি, সেটাই মাথায় ঢুকে না। ইসলামেই তো বলা আছে যে স্বদেশ সর্বাপেক্ষা বড়। মহানবী (সাঃ) ও মদিনায় হিজরতের সময় মক্কার দিকে চেয়ে চোখ মুছেছিলেন।

আরেক বিতর্ক “রাজিব ওরফে থাবা বাবা বিতর্ক”। বুঝলাম না, কেন অস্বীকার করা হচ্ছে যে রাজিব নাস্তিক ছিলো। মুসলিম যারাই ওর লেখা পরছেন, তারাই আক্রোশে ফেটে পরছে। ইসলাম অবমাননা করে লিখার অধিকার তাকে কে দিয়েছিলো? যাই হোক, এই লোক কে নিয়ে নতুন করে কিছুই বলার নেই। নাস্তিক মানেই সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাসী। ব্যাস, তুমি অবিশ্বাস করবে, ভালো কথা। কিন্তু বাংলাদেশি নাস্তিকতা মানেই সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাস এবং ইসলামকে অবমাননা করে হাবিজাবি লিখা। অন্যান্য ধর্মের প্রতি এদের বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। ব্লগে এরকম ইসলাম অবমাননাকারী পোস্টের অভাব নেই। শুধু এক থাবা’র লেখা দেখেই যদি চান্দি গরম হয়, সব নাস্তিকের ব্লগের লিখা দেখলে তো এইগুলানরে কোপাইতে মন চাইবো।

ফিরে আসি শাহবাগ প্রসঙ্গে। নানা রকম কথা হচ্ছে এমনকি আওয়ামীলীগের ভেতরেই। “সরকারের ভেতরের একটি গ্রুপ মনে করে, আন্দোলনের ফসল আওয়ামী লীগের ঘরেই যাবে। কিন্তু আন্দোলন কতদিন অব্যাহত থাকবে, তা নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারছেন না”। রাজনীতিবিদরা মনে করছেন, এই আন্দোলন দেশের অর্থনীতিতে অনেক প্রভাব ফেলবে। এটা নিশ্চয়ই কারো অজানা নয় যে, অর্থনীতির ক্ষেত্রে কিছু পরিবেশ প্রভাব ফেলে। রাজনৈতিক পরিবেশ তার একটা। এটা যত অস্থিতিশীল, অর্থনীতির জন্যে তা ততই উদ্বেগজনক। “এই আন্দোলন যদি যুক্তিযুক্ত হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী কেন দ্রুত এর নিষ্পত্তি করছেন না? কেন এই আন্দোলনকে আরো দীর্ঘায়িত করার সুযোগ দিচ্ছেন? এর মাঝে কি রাজনৈতিক কোন স্বার্থ বিদ্যমান?”। “এই সময়টা রপ্তানীর সময়। কিন্তু এতো হরতালের মাঝে কাঁচামাল আমদানিতেই দেরি হয়ে যাচ্ছে প্রায়ই।“।

এখন পর্যন্ত আমার সমীকরনে এসেছিলো যে, বাকি সবার ফাঁসি হবে। একজনের রায়ে তাই আসলো। বাকিগুলানের রায় দেখার অপেক্ষা। তবে নাটক কিংবা অন্য কোন অনুষ্ঠান টেলিভিশনে দেখতে বসলে যেমন শুনি “অনুষ্ঠানের বাকি অংশ সংবাদের/বিজ্ঞাপনের পর”, তেমনি এখানে যেন না শুনতে হয় “বিচারের বাকি অংশ নির্বাচনের পর”!

পরিশেষে বলতে বাধ্য হচ্ছি, শেখ হাসিনা অতিব ধূর্ত এক জীব। সুকৌশলে তিনি জনতাকে লীগের সাথে একাত্ব করিয়েছেন। দেখা যাক, কি হয়। অন্তত আমি মৃত্যুর পূর্বে সব রাজাকার এর ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়া দেখতে পারবো তো?? আশা তো করতেই পারি, কি বলেন আপনারা??
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×