ক্যাম্পাসের কাছাকাছিই আখের রস বিক্রি হচ্ছে । প্রখর রোদে তেষ্টাও পেয়েছিল ভীষণ । টাকার থলে বের করে দেখি বিশ টাকার কিছু বেশী আছে । বন্ধুরে বললাম, ‘চল একটাই নিই, শেয়ার করে খাওয়া যাক।’
হঠাৎ দেখি আমাদের ডিপার্টমেন্টেরই একজন তরুণ শিক্ষক আসছেন । আমাদের যখন অতিক্রম করছেন, ডাক দিয়ে আমি স্যারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম ।
‘স্যার আখের রস খেয়ে যান।’
মিষ্টি হেসে স্যার জবাব দিলেন, “এখনো লাঞ্চ করিনি। খাবোনা।”
স্যারের কাছে তো আমরা কোন প্রতিদান চাইতাম না । কখনোই না ।
সামনে পরীক্ষা । প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় ভাইভার সময় আমাদের চোখে পড়া মাত্র স্যারের চোখে একবারের জন্য হলেও নিশ্চই ভেসে উঠতো ‘রস ভর্তি গ্লাস!’ ।
প্রশ্নের জবাব দিতে না পারলে এক্সটারনালকে বলতেও পারতেন, “স্যার এরা দুইজন মানুষ হিসেবে খারাপ না। আমাকে একদিন জোর করে আখের রস খাইয়েছিল।”
স্যার যেহেতু শেষ পর্যন্ত খাননি, তাই ভাবছি হিতে বিপরীত না হয়ে যায় ।
‘তোমরা আমাকে আখের রস খাইয়ে ইমপ্রেস করতে চেয়েছিলে। দাড়াও দেখাচ্ছি...’
নাহ কী অশুভ চিন্তা করছি...।
যাকগে, শেষমেশ বন্ধু তার পকেট খোলাতে আর শেয়ার করতে হয়নি । দুইজনে দুই গ্লাস খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে হাটা দিলাম...
পরীক্ষা গোল্লায় যাক । আমাদের কোন চিন্তা নেই, কখনো ছিলও না! 8)