মজা পাইতেছি না কোন কিছুতেই । একবার মাথায় শুভ বুদ্ধির উদয় হইলে, মস্তিষ্ক, আমাক কহিল, ‘ওহে বলদ মন, তোমার চালনাকারী কে?
আমি, নাকি তুমি নিজেই?’
আমি বলিলাম, ‘তুমিই, কিন্তু বলদ বলিলে কেন?’
‘তো আর কি বলিবো... যে যা-ই হোক, একখানা বুদ্ধি দেই শোন, এইবার বিবাহ করিয়া লও ।’
আমি সানন্দে রাজী হইলাম । কিন্তু বিবাহ করিলে লাভের বিপরীতে ক্ষতিও কম হইবে না । এখন যেমন অদৃশ্য ডানা মেলিয়া উড়িতে পারি, বিবাহ করিলে বউ বলিয়া বসিতে পারে, ‘আমাকেও লইয়া চল ’ ।
লইয়া যাইতে আমার সমস্যা তো ছিল না... নাহ্, একখানা সমস্যা অবশ্য আছে, আমি উড়িলে কেহ আকাশ পানে তাকাইবার সম্ভাবনা ক্ষীণ,
নব বধু উড়িলে অনেকেরই আকাশ প্রীতি বাড়িয়া যাইবে । এই অবস্থার সম্মুখীন হইতে না চাহিলে, বউয়ের সহিত ঘরেই সময় দিতে হইবে বেশি । অযথা নিজের স্বাধীনতা নিজেই খর্ব করিয়া কি কোন ফায়দা আছে? বোধকরি নাই ।
তাই সিদ্ধান্ত লইলাম, যতদিন সম্ভব কষ্ট করিয়া ধৈর্য ধরিবো । শেষমেশ আর ...না পারিলে বিবাহ করিতেই হইবে । অতঃপর মন মস্তিষ্কেরও অবাধ্য হইলো ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৯