তেছি তেছো প্রচলনের উদ্ভাবক ফারুকী ভাইকে সালাম।
ফারুকী ভাইয়ের তেছি তেছো প্রচলনটা কি নাটকের জন্য আপত্তিকর? এটা নিয়ে হয়তো অনেক কথাবার্তা হয়েছে। মনে হয়না তেমন আপত্তিকর! কেনোনা আমরাতো এভাবেই অনেকে কথা বলি। হা হা হা । ফারুকী ভাইতো সে ব্যাপারটাই তুলে ধরলেন। হা হা হা।
ওনার স্টাইল এখন অনেকেই ফলো করছেন। অনেকেই লাভবান হয়েছেন। অনেকেই না পারলেও এখন জোর করে গায়ের শক্তি দিয়ে তেছিতেছো স্টাইলে কথা বলার অথবা অভিনয় করার চেষ্টা করেন।
নাটকে তেছিতেছোকে আমি কখনই সমর্থন করতাম না। আমি সমর্থন করতাম না এই ভেবে যে আমরা যেখানে আগে শুদ্ধ করে কথা বলার চেষ্টা করতাম, নাটকে সেই তেছি তেছো স্টাইলটার প্রচলন করার কারনে হয়তো আমরা শুদ্ধ করে বলার চেষ্টাটা করবো না অথবা কম করবো এবং অনেকেই এই তেছিতেছো স্টাইলের চর্চাটা সবজায়গাতেই ইচ্ছে করেই অথবা ভুল করেই করবো। নাটকের তেছিতেছো প্রচলনটা সামাজিক জীবনে কিছুটা হলেও প্রভাব ইতোমধ্যেই ফেলেছে। কিন্তু যেহেতু দর্শক তেছিতেছো স্টাইলটাকে ভালোভাবেই গ্রহণ করছেন, সুতরাং এখানে আপত্তির তেমন কিছুই নেই!! তাছাড়া তেছি তেছো স্টাইলটা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনয়কে অনেক সহজ করে দিয়েছে। ঘুম থেকে উঠেই রিহার্সেল ছাড়া দৌড় দেয়া যায়, সময়ও কম লাগে। এক শট বারবার নিতে হয় না! কোনোরকম হলেই হয়। তবে যেসব অভিনেতা অভিনেত্রি শুদ্ধ ভাষার চর্চাটা বাসাতেও করেন তাদের জন্য অভিনয়টা একটু কঠিনই হয়ে গেলো মনে হয়!
তেছিতোছো স্টাইলের নাটকগুলোতো বেশ জনপ্রিয় হলো। কিন্তু তেছি তেছো স্টাইলে এখনো টকশো, খবর, উপস্থাপনা অথবা লাইভ প্রোগামগুলো থেকে দর্শককে কেনো বঞ্চিত করছেন আমাদের নির্মাতাগন। নাকি ওনাদের মনে সন্দেহ আছে যে তেছি তেছো স্টাইলের সংবাদ অথবা টকশো জনপ্রিয়তা পাবে না? গন্দেহ থাকলে নির্মাতাদেরকে বলি, “ব্যাবসায় লাভ এবং লস দুটোই থাকে, তাছাড়া ব্যাবসায়ীরাতো জানেনই No Risk No Gain”
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৪৬