somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সহকারী শিক্ষকদের দৃঢ় ঐক্য প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সোনার বাংলা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবদান সবচেয়ে বেশী। পিতা-মাতা শিশুর জন্মদান করে থাকেন এবং একটি শিশুকে মানুষের মত মানুষ করে তুলেন শিক্ষক। বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আজ সবচেয়ে অবহেলিত। শিক্ষকগণ নিজেদের ন্যায্য দাবি আদায়ে হয়েছেন প্রতারণার স্বীকার। আপনারা সকলেই জানেন বিগত কয়েক বছরে শিক্ষকগণকে বিভিন্ন আশার বাণী শুনানো হয়েছে। সর্বশেষ জানা গেল সহকারী শিক্ষকের স্কেল প্রশিক্ষণ বিহীন ৪৯০০/-, প্রশিক্ষপ্রাপ্ত- ৫২০০/-, প্রধান শিক্ষকের স্কেল প্রশিক্ষণ বিহীন ৫৯০০/- (২য় শ্রেণি), প্রশিক্ষপ্রাপ্ত- ৬৪০০/-(২য় শ্রেণি)। যা হাস্যকর এবং অযৌক্তিকও বটে।

উক্ত ঘোষণা অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকের বেতন স্কেলের ব্যবধান ১২০০/-। অথচ ১৯৮৫ হতে ২০০৫ ইং পর্যন্ত প্রশিক্ষণ বিহীন প্রধান শিক্ষক ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকের বেতন স্কেল ছিল এক এবং প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকের বেতন স্কেলের ব্যবধান ছিল ৭৫/- থেকে ১৫০/-। ২০০৬ ইং এ স্কেলের ব্যবধান বেড়ে হয় ৪০০/- এবং ২০০৯ এ ব্যবধান দাঁড়ায় ৬০০/-। এতে সহকারী শিক্ষকগণের পিছিয়ে পড়ার চিত্রই ফুটে উঠে। এছাড়া পিএসসি কর্তৃক প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি প্রদানের বিষয়টিও সহকারী শিক্ষকদে পদোন্নতিতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে।

প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া আদায়ে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষকগণ প্রতিনিয়ত যে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তা অবশ্যই প্রসংশনীয়। কিন্তু তাঁদের শ্রম শিক্ষকদের আশা ও স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে পারেনি বরং শিক্ষকরা হয়েছে প্রতারিত। এক কথায় বলা যায় তাঁরা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। আপনারা সকলেই জানেন আমাদের প্রথম দাবি ছিল প্রধান শিক্ষকদের ২য় শ্রেণি ৮০০০/- স্কেল এবং সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষকের ১ ধাপ নিচে অর্থাৎ ৬৪০০/- স্কেল প্রদান। কিন্তু হলোটা কি ? যা হয়েছে তা ঘোড়ার ডিম।

এমতাবস্থায় শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সহকারী শিক্ষকদের দৃঢ় ঐক্য প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি হয়ে দাড়িয়েছে। সহকারী শিক্ষকদের ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য সারা দেশে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, বিভাগ পর্যায়ে কমিটি গঠিত হয়েছে এবং হচ্ছে। আমরা সবাই মিলে আজ সিদ্ধান্ত নিতে চাই ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাব। * বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, * ১০০ ভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি দিতে হবে। * ক্লাস রুটিনে দু'টি ক্লাসের পর ১টি ক্লাসে সমপরিমান সময় বিরতি থাকতে হবে। * ছুটির তালিকায় বর্ণিত ছুটির দিনগুলোতে শিক্ষকদের ছুটি নিশ্চিত করতে হবে। * প্রাথমিক শিক্ষার সকল ক্ষেত্রকে দূনীতিমুক্ত করতে হবে।

আমরা অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আগামীর প্রতিটি মুহুর্তকে সাফল্য অজনের জন্য ব্যবহার করি। দৃঢ় ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ হই, ইনশাআল্লাহ সফল আমরা হবোই।

০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×