আজ সন্ধেবেলা,
টাকিলা আর মর্টিনী-তে সিক্ত হবে ওদের গলা।
যদিও তারা পাবলো পিকাসো নয় তবুও-
দু'বগলে মেয়ে নিয়ে ঢুকবে দ্বিধান্বিত আলোর ক্লাবে।
ওরা তো টাকার আর্টিস্ট; মুদ্রাদোষে নয়, ওরা মুদ্রাগুনে মুজরা শোনে।
সাদা-কালোয় চক মিলানো মার্বেলের মেঝে ওদের।
ওদের মেঝেতে পড়ে থাকে সাদা-কালো টাকা; পড়ে পড়ে হাঁপিয়ে ওঠে
তাই রাজা মশায় বলেন- চাপে আছি ভাই, আমাকে কিছু দাও
যা কিছু কালো আছে, সাদা করে নাও।
সব কিছু চাঙ্গা হবে আবার; শেয়ার বাজার, ব্যাংক লিকুইডিটি
ইনভেস্টমেন্ট, জিডিপি, এমপ্লইমেন্ট।
কি মহৌষধ এ! কি কার্য্যকর অসাধারন টোটকা!
আর হতাশা নয়!
বিয়াল্লিশ বছরের নেঁতিয়ে পড়া লিঙ্গসম অর্থনীতি খাড়াবে।
গোল টেবিলে এবার এক রাউন্ড চা বেশি হোক।
যারা খেয়েছে সব তাদের উচ্ছৃষ্টে চলবে দেশ, জাতীয় উন্নয়ন।
সি এস আর-এর সুদৃশ্য বোতলে ক'রে ঝাঁকানো হবে সামাজিক দায়।
বাজেট আসছে।
ট্যাক্স গুনতে হবে শহরের সবচে' নিঃসঙ্গ যুবককে।
কালোটাকা নেই বলে যে গন্ধ পাইনি এক্সপোর্টেড লিপ্সটিকের,
নির্জলা ভদকার; কোন মেয়ে তার ক্র্যাচ হয়নি, সে ছোঁয়নি কারো মসৃন উত্তলতা।
তথাকথিত নিয়মিত স্বমেহনে যে মানবিক অধিকার ব্যক্ত করে;
অপরিষ্কার কালো মেঝেতে শ্বেতবর্ণ বিনোদিত সংবিধান, তরল মানচিত্র।
নিঃসঙ্গ যুবক চেঁচিয়ে বলে ওঠে- "হে ঈশ্বর, আমাকে কালো বীর্য্য দাও;
এবার সমাজে কিছু বীর্য্য বিনিয়োগ করে তাকে আমি সাদা করে নেবো"।
মাননীয় অর্থমন্ত্রী, লেবার কনট্রিবিউশানটা অপারচুনিটি প্রফিটে যোগ করে নেবেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭