মহাথির মোহাম্মাদ হতে হবে তা বলছি না, অন্তত স্বজন প্রীতি বাদ দিয়ে আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করলেই যথেষ্ট হত।
একটা খড়ের গোদায় আগুন ধরানোর জন্যে একটা ম্যাচের কাঠিই যথেষ্ট। একটা অল্পতে টুষ্ট হাসিখুশি জন গোষ্ঠীকে নষ্ট করতে তেলের দাম / সারের দাম বাড়ানই যথেষ্ট।
একটা পদ্মা সেতু, একটা মেট্রোরেল, কিছু এলোমেলো ওভারব্রীজ, কল্পিত হাইরিচ জিডিপি, কিছু গৃহহীন প্রকল্প এসব বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে সুখি করে না। মৌলিক অধিকার আর আইনের সুশাসন মানুষকে সুখী করে। আড়াই হাজার বাংলাদেশীর সুইস ব্যাঙ্ক একাউন্ট প্রমান করে না আমার এখন ভাল আছি।
আমি চাইনা ১৯৭৬ এর মন্বন্তর ফিরে আসুক। কি হবে বেগম পাড়ায় একটা বাড়ি বানিয়ে? আমি বা আপনার ভাই যদি থাকি খুপরি ঘরে না খেয়ে, বেগম পাড়ায় আপনার কি শান্তিতে ঘুম আসবে? নাকি আমেরিকায় বিশাল কোন অভিজাত ভিলাতে? অবশ্য এই সেন্স যদি থাকতো তাহলে তো এসব বলতেই হত না।
আসলে কি জানেন, একই পরিবারের কোন ভাই যদি মুচি হয়, আর তারই সহোদর ব্যারিষ্টার ভাইয়ের জুতা যদি মুচি ভাইকে কালি করতে হয়, তখন কিন্তু সন্মান থাকে না। ধরুন আপনার আলীশান বিল্ডিংঙের চারপাশ বস্তি দিয়ে ঘেরা। ময়লার স্তুপ, দূষণ... ভাললাগবে খুব?
উঠতে হলে সবাইকে নিয়েই উপরে উঠতে হয়। শান্তিতে থাকতে হলে সবাই কে নিয়ে শান্তিতে থাকার কথা মাথায় নিতে হয়।
আমার বাবা কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা। অথচ মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম ওঠাননি। কেন জানেন? যে তালিকায় রাজাকারের নাম, সেখানে তিনি নিজের নাম দেখতে চান না।
হয়ত সামনে এমনও সময় আসবে, আমি বাংলাদেশি বাঙ্গালি এই পরিচয় দিতে নিজে সংকোচ করব... কারন দুর্নীতি।
এখনও সময় আছে দুর্নীতি নিয়ে কাজ করার। দুর্নীতি তো থামান যাবে না। কমিয়ে আনতে হবে। কত বড় বাজেট হচ্ছে, সংসদে সেটা আলোচনা না করে, কত % দুর্নীতি কমানো হবে, কোন কোন সেক্টর কে আগে ধরা হবে, সেটা করা দরকার।
অবশ্য কিভাবে সম্ভব? গাইকা, নাইকা, মাদক ব্যবসায়ী দিয়ে গুরুত্বপূর্ন জায়গাগুলো ভরা, এসব দিয়ে বিনোদন চলে, আমোদ প্রমোদ চলে। কিন্তু পেটে ভাত না থাকে ওসব চলে না।
অনেক তো হলো... এবার কি থামা যায় না?