somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

অপলক
আমি সাদামাটা মানুষ। ভালবাসার কাঙ্গাল। অল্পতেই তুষ্ট। সবাই আমাকে ঠকায়, তবুও শুরুতে সবাইকে সৎ ভাবি। ভেবেই নেই, এই মানুষটা হয়ত ঠকাবেনা। তারপরেও দিনশেষে আমি আমার মত...

১২.৫ লিটার সিলিন্ডারে ৮লিটার গ্যাস, বাকিটা বাতাস আর পানি

১৪ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ২:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



একটা ম্যাজিক স্টিক দরকার। আমার তো নেই। তাই স্রোতের বিপরীতে গিয়ে লিখতে বসলাম। টপিকস হল: দেশে কি আছে , কি পাচ্ছি, কতটা ফাঁকিবাজি।



দেশে শাসক বদলেছে, শাসন ব্যবস্থা বদলায়নি:
--- যে দেশে আইন স্বচ্ছ নয়, যেটুকু আছে তার প্রকৃত প্রয়োগ নেই, অপরাধীরা ফাঁক ফোকর দিয়ে বেরিয়ে যায়, সে দেশ শতবার স্বাধীন হলেও লাভ নেই। আমার ধারনা ৩৬ জুলাই আন্দোলন খুব শীঘ্রই ভেস্তে যাবে। একটা সাদা কালো অধ্যায় হিসেবে ইতিহাসে জায়গা নেবে।


দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে, শিক্ষার মান উন্নয়ন নেই কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব প্রতিপত্তির উন্নয়ন ঘটছে:
--- একসময় ঢাবি নিয়ে গর্ব করতাম, ভর্তি হবার স্বপ্ন দেখতাম। এখন লজ্জা লাগে। প্রাচ্যের অক্সফোর্ডের উপাচার্য তার বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০টাকার নাস্তা পাওয়া যায় বলে গর্ব করেন। গ্লোবালি ১৫৯১ তম স্থান এখন। গর্বের বিষয় হত, যদি প্রথম ১০০টার তালিকায় থাকত। রবি ঠাকুর এমনি এমনি ঢাবি প্রতিষ্ঠাকালে বাঁধা দেননি। তিনি হয়ত অপাত্রে কন্যা দান ব্যাপারটা অনুমান করতে পেরেছিলেন। ঢাবির কথা বাদ দিলাম, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাপনা বর্তমানে খুবই নাজুক। একটা জাতিকে ধ্বংস করতে হলে, তার শিক্ষা ব্যবস্থাকে নষ্ট করতে হয়। লেখাপড়ার কন্টেন্ট নষ্ট করতে হয়। ১৬ বছরে হাসিনা সরকার সেটা খুব সূক্ষভাবে করে গেছে। যখন ইন্টারভিউ বোর্ডে ইন্টারভিউ নিতে বসি, এত এত ভাল সিজিপি পাওয়া গর্ধবদের দেখলে মনে হয়, হাইস্কুলে আবার ভর্তি করিয়ে দেই। স্যাররা শুধু বেতন বাড়ানোর কথা বলেন। রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর কথা বলেন। তারা যে সময়টুকু পলিটিকস নিয়ে সময় নষ্ট করেন বা প্রাইভেট পড়িয়ে নষ্ট করেন, তার পরিবর্তে নিজের দায়িত্বটুকু যদি ঠিক ভাবে পালন করতেন, আর কিছু লাগে না। তাদেরকে দোষ দিয়েই বা কি লাভ। অনেকে ঢুকেছে তদবিরে। কিছু নষ্ট শিক্ষক দায়িত্বশীলদের মন মগজ নষ্ট করে দিয়েছে। আফসোস...

এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে কম করে হলেও আরও এক যুগ লাগবে।


দেশে চাঁদাবাজরা প্রতিস্থাপিত হয়েছে, চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি:
----আগে দেখতাম, লীগের ছেলেপুলে নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করত। পুলিশও পোশাকের ক্ষমতায় চাঁদা তুলতো। এখন পুলিশের এলাকা পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু চলছে। লীগের চাঁদাবাজরা সরে গিয়ে বিএনপির ছেলেপুলেকে সুযোগ দিয়েছে। আসলে থেমে নেই চাঁদাবাজি । রক্তে মিশে গেছে। দেশের সংস্কৃতি হয়ে গেছে। যাদের যন্ত্রনায় মানুষ অতিষ্ট ছিল বা কোণ ঠাসা ছিল, কোথাও কোথাও ধরে ধরে তাদের মেরে ফেলা হচ্ছে।


দেশে টাকা প্রাচার বন্ধ হয়নি, শুধু পদ্ধতি বদলেছে, বদলেছে এ্যাকাউন্ট নাম্বারগুলো:
--- গত ১৫ বছরে গড়ে ১৬বিলিওন ডলার ফিবছর পাচার হয়েছে বাংলাদেশ থেকে । গত ১০ মাসে পাচার হয়ে প্রায় ৩লাখ ডলার। বহুলাংশে কমেছে। কিন্তু বন্ধ হয়নি। হবেও না যত দিন না সুবিধাবাদী ও সুবিধাভোগী পুজিবাদীরা অপরাধের সাথে জড়িয়ে থাকবে। তবে ৩লাখ ডলার আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য কোন সংখ্যা না। হয়ত মিডিয়া এখনও জানায়নি , তাই আমরা জানি না।


দৌলতিয়ায় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা যেতে পারেন না, তাই সারা ঢাকা শহরকেই ওনারা দৌলতিয়া বানিয়ে দিয়েছে:
---- এক কাউয়া কাদের ৬টা ব্রোথেল চালাতো। আরও কত কাউয়া, কোকিলের কোলে ঘুমাতো তার হিসাব নাই। কেউ কেউ তো আবার বিশেষ অঙ্গ নাকি বড় করে এনেছিল নিশি কন্যাদের খুশি করার জন্যে। বিশেষ এক মন্ত্রীর কল লিস্ট থেকে ৬ মাসে ১০৫টা নিশিকন্যাকে কল করতে দেখা গেছে। রবি ঠাকুর তাও ভালই ছিল, ১৬ জনের সাথে প্রেম ছিল। আহা সোনার বাংলা... উত্তরা, ধানমন্ডি, বানানী কোথায় নেই দৌলতিয়ার নারী। বিগত সরকারের বিশিষ্ট জনদের বিশেষ অর্জন। সবাই বড় বড় ইনফ্রাস্টার্কচার দেখে লীগ সরকারের, এই অর্জনকে কেউ মুখে বলেনা।


খুন খারাপি বন্ধ হয়নি, আগে রাষ্ট্রীয় পোশাক পরা ব্যক্তিরা মানুষকে তুলে নিয়ে গুম করত বা ক্রস ফায়ার করত, এখন সন্ত্রাসীরা করছে মব কালচার বা কিশোর গ্রুপের মাধ্যমে:
----এক সন্ত্রাসী আর এক সন্ত্রাসী কে মারছে। মিডিয়া মারফতে আমরা দেখছি, কারও মাথা থেতলে দিচ্ছে, কারও হাত পা ভেঙ্গে দিচ্ছে, কারও মব জাস্টিস করছে। এগুলো আগেও ছিল। ৩টা চাক্ষুস ঘটনা বলি: তখন ১৯৯০ দশকের ঘটনা। মাধুসিনেমা হলের তখন মেটানি সো ভেঙ্গেছে। সাতমাথা এরিয়ায় তখন অনেক ভীড়। হঠাৎ এক ছেলে পিঠ বরাবর খুর দিয়ে একটা পোছ দিল তার সামনের ছেলেকে। দেখলাম রক্তে ভিজে গেল, চামড়া ফেড়ে পিঠের হাড় হাড্ডি দেখা যাচ্ছে। ছেলেটা রাস্তায় পড়ে ছটফট করছে। পরে জানলাম চাঁদার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে আক্রমন। ২য় ঘটনা, রেললাইন পার হয়ে হকারস মার্কেটে যেতে হয়। দেখলাম হাত পায়ের রগ কেটে লাইনের উপর এক যুবককে ফেলে রাখা হয়েছে। ছেলেটা ছটফট করছে। শিবিরের কিছু ছেলে দূরে দা চাকু নিয়ে দেখছে। ট্রেন আসার অপেক্ষায় তারা দাড়িয়ে। ৩য় ঘটনা: সেউজগাড়িতে ধাবড়িয়ে দিনের আলোয় ক্যালা মাস্তান কে গলা কেটে শত শত মানুষের সামনে জবাই করে তার নিজের গ্রুপ। এটা অবশ্য চাক্ষুস বলা যায় না। লাশ দেখেছিলাম পুলিশ ভ্যানে। এসব খবর সেসময় টিভি তে আসতো না। বড় জোর লোকাল পত্রিকায় থাকত। এখন এসব ভাইরাল হয়। হায় হায় রব ওঠে ইন্টারনেটের কল্যানে। সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাসীদের হাতেই মরে। রাজনীতি যতদিন সেবা না হয়ে পেশা হিসেবে থাকবে, ততদিন সন্ত্রাস নির্মূল হবে না।



বাল্য বিবাহ প্রায় বন্ধ হয়ে এসেছে, কিন্তু বাল্য দেহ দান বন্ধ হয়নি বা শিশু নির্যাতন বন্ধ হয়নি:
--- নারী পুরুষ সবারই তেঁতুল দেখলে জিভে জল আসে। পুরুষ টক খেতে পারে না, তাই খায় না। উঠতি বয়সের সুন্দরীর লকলকে বাড়ন্ত শরীর দেখলে ছেলে বুড়ো সব পুরুষের শরীরে রসায়ন ঘটে, এটা প্রাকৃতিক। আগে বাবা মা তার আদরের কন্যার উপর কুনজর লাগার আগেই বিয়ে দিয়ে দিত। এখন মেয়েরাই কোচিং, কলেজ বা টিউশনিতে বা মর্ডান হাল ফ্যাসনে গা ভাসাতে গিয়ে নিজেকে উজার করে দিচ্ছে। কোন কোন পুরুষ বা নারী ভাল থাকে। কারন ব্যাপারটা হল, সুযোগ পায় না, তাই ভাল। এদিকে বাঙ্গালী বধুরা সতীনের ঘর করতে চায় না। নিজে মনোপজে চলে গেছে, তবু বিয়ে করতে দেয় না। যৌন ক্ষুধা তো আর হাতের রিমোট না। বাটন টিপলে টিভি অফ !!! তখন ঐ শ্রেনীর পুরুষরা যায় অন্যের সঙ্গ পেতে, নয়ত নাতি পুতি টাইপের শিশুদের নির্যাতন করতে। সমস্যাটা কোথায় ভাবুন একবার? বহু বিবাহ আসলে পুরুষের দরকার। যার একাধিক স্ত্রী থাকে এবং নিয়মিত সহবাস হয়, তাদের প্রোস্টেট ক্যান্সার কম হয়, কিডনি ভাল থাকে, বিপিএইচ হয় না, পুরুষ বেশি উৎপাদনমুখী হওয়ায় সুস্থ্য সবল থাকে।


দেশে ভোট আছে কিন্তু সেখানে ধাপ্পাবাজি:
---- মধ্যরাতের ভোট বা নদীতে ভেসে আসা ব্যালট বাক্স এসব পুরান কথা। গানিতিক ধাপ্পাবাজি আমাদের ভোটিং সিস্টেমে লুকিয়ে আছে, সেটাও সবাই জানি। যদি সমতা(equality) এবং নায্যতা (equity) ভোট ব্যবস্থায় প্রতিফলিত না হয়, তবে সংসদে সাংসদদের জগাখিচুড়ি ভবিষ্যতেও থাকবে। ফলে আগের মতই দেশের মানুষের কথা সাংসদরা বলবেন না, সাংসদরা নিজেদের কথা বলবেন। সব কিছুর পরিকল্পনা আর বাস্তবায়ন চলবে সাংসদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে। যেমনটা হয়ে এসেছে।


দেশে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা আছে কিন্তু প্রতিভাগুলো কে কাজে লাগানো হয় না:
--- বিসিএস ক্যাডাররা যত না তথ্য উপাত্ত মুখস্ত করে, ফাজিল বা কামিল পাশ করা স্ট্যুডেন্টরা তার চেয়ে কোন অংশেই কম তথ্য উপাত্ত মুখস্ত করেন না। শুধু সেক্টর আলাদা। বিসিএস ক্যাডাররা যদি এক একটা রত্ন হয়, তাদের ব্রেনের যে ক্যাপাসিটি আছে, সেটা ফাজিল বা কামিল স্ট্যুডেন্টদেরও আছে। আমরা তাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় কোন সময়োপযোগি সমন্বয় ঘটাই না। ঘটতে দেই না। তাদের কে মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিম খানা পরিচালনা, জানাজা আর দোয়া খায়েরে আটকিয়ে রেখেছি। আমরা তাদেরকে সাংসদ বানাতে বা বিসিএস ক্যাডার বানাতে স্বপ্ন দেখাই না। নীতি নির্ধারকরাও চান না। এক দিক দিয়ে ভাল এজন্যে যে, টুপি বাহিনী রাষ্ট্র পরিচালনায় ঢুকে পড়লে, তথাকথিত সন্ত্রাসী দেশের তালিকায় দেশ জড়িয়ে পড়বে খুব সহজে পশ্চিমাদের গ্যারাকলে পড়ে। কাজেই টুপি বাহিনী আখেরাত নিয়ে থাক, আমরা সাধারন মানুষ পশ্চিমাদের গুলি খেতে চাই না।



দেশে উদ্যোক্তা আছে কিন্তু সহযোগিতা নেই:
--- কেউ একজন কিছু করতে চাচ্ছে, সমাজ তাকে সাপোর্ট করবে না। ব্যাংক তাকে ঋণ দেবে না। আত্মীয় স্বজনদের অলস টাকা পরে আছে, তাও ধার দেবে না। জেন্ডার ইস্যু, সার্টিফিকেট ইস্যু, ফিনানসিয়াল ইস্যু...আরও নানা ইস্যু। রাষ্ট্র তাকে পড়ার সুযোগ দিয়েছে, ট্রেনিং দিয়েছে কিন্তু ক্ষেত্র তৈরী করে দেয়নি। সেই ক্ষেত্র যদি নিজে তৈরী করে এগিয়ে যায়, তবে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, পুলিশ, কমিশনার, চেয়ারম্যান ইত্যাদি ইত্যাদি হাজার রকমের সমস্যা রাতের ঘুম হারাম করে দেয়। যাবে টা কই? বেকার আগেও ছিল, এখনও আছে। আগে বাবার হোটেলে খাওয়া সহজ ছিল, এখন দিন কে দিন কঠিন হচ্ছে। নতুনদের নতুন কিছু করতে পথ করে দেয়া আমাদের সবার দায়িত্ব।


দেশে ব্যাংক আছে কিন্তু টাকা নেই:
--- দেশের ৬ ব্যাংক দেউলিয়া, ৩টা লিস্টেড। সম্বনয় ঘটানো হচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ধার দিচ্ছে। তবুও হচ্ছে না। পায়খানা কষা ছিল, এখন রক্ত যায় অবস্থা। ১২.৫ লিটার সিলিন্ডারে ৮লিটার গ্যাস, বাকিটা বাতাস আর পানি। ব্যাংকে আমার টাকা গেল কৈ? আমাকে কেন চেক নিয়ে ঘুরতে হবে। আমার টাকা আমার। ব্যাংক খেয়ে ফেলার কে? ১৯৯৬ সালেও কিছু ব্যাংক দেউলিয়া হয়েছিল। হাসিনার আমলের মত ঠোসা/ফাঁকা হয়নি কখনও।



দেশে পরিশ্রমী মানুষ আছে, কাজে লাগানোর সুযোগ নেই:
--- বিদেশে কিন্তু বাংলাদেশী শ্রমিকের কদর আছে। কারন এরা যথেষ্ট পরিশ্রমী এবং বেশির ভাগ সৎ। তাহলে দেশে কেন তারা ছিন্তায় করবে? তারা কেন হতাশাগ্রস্থ হবে? রাষ্ট্র কেন ওদের জন্য শ্রমবাজার নিশ্চিত করবে না? এখানকার যুবকরা কেন সমূদ্র পথে ইতালী যাবে, ইউরুপের রিফিউজি ক্যম্পে দিন কাটাবে? শিক্ষিত প্রশিক্ষিত জনসম্পদ দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ। ওদের কাজে না লাগালে, সমাজের বিশৃঙ্খলা কখনই কমবে না। মাদক কখনই বন্ধ হবে না। হতাশাগ্রস্থরা বেশি মাদক সেবন করে। যেখানে চাহিদা থাকে সেখানে যোদান দাতাও থাকে। আইন করে মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয়। কাজের ক্ষেত্র তৈরী হলে মাদক চোরাচালান অটোমেটিক ৮০% কমে যাবে।



দেশে পাসপোর্ট আছে, ভ্যালু নেই:
---- পাসপোর্ট এবং এনআইডি হল আমার নাগরিক অধিকার। সেটা না হয় বাদ দিলাম। সেই দুটো জিনিস সংগ্রহ করতে টায়ারের অক্ষয় সেন্ডেলও ক্ষয় হয়ে যায়। আমি আমার এনআইডি, গাড়ির স্মার্টকার্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স হারনোর পর ঘুষ সমেত ২৮হাজার টাকা খরচ করেছি নতুন কপির জন্যে। তাও সব মিলিয়ে ১৩ মাস সময় লেগেছে? কিন্তু কেন এত জটিলতা? কেন এত মন্থর গতি? মালএশিয়া কি করে ৪৫মিনিটে করে দেয়, সিঙ্গাপুর কি করে ৩০ মিনিটে দেয়? আমার দেশ কনে পারে না?
পাসপোর্টের মান বাড়াতে কি করতে হবে সেটা রাষ্ট্রের ব্যাপার। এমন একটা অবস্থা যে, বাংলাদেশী পাসপোর্ট দেখলে এমবাসিতে গুরত্ব দেয় না, কথা শুনতে চায় না, ভাবেই না আমি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী। বিভিন্ন দেশের এমবাসিতে পাসপোর্ট দেখে ভেবেই নেয় এরা সবাই লেবার, ঘামের ঘন্ধ ভুরভুর করে, থার্ড ওয়ার্ল্ডের OC(অনিয়ন কাটার) DC (ডিস ক্লিনার)। এই ইমেজ সঙ্কটের জন্যে দায়ী কে? আমার দেশের ভাই বোনেরা কি মাইক্রোসফটে নেই? নাসাতে নেই? ইউনেস্কোতে নেই? আমেরিকান আর্মফোর্সে নেই? অক্সফোর্ডে কেউ নেই? গুগলে জব করে না? তাহলে সমস্যাটা কার? অবশ্যই সরকারের...



লাখ লাখ টিকটকার আছে, কিন্তু ক্ষুদে বিজ্ঞানী নেই:
---- দেশে এখন এমন অবস্থা যে, এমন একটা উপজেলা পাওয়া যাবে না, যেখানে একজন টিকটকার, ফেসবুক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর, ইমোতে কাজ করা বা ইউটিবার নেই। ১০% হয়ত ক্রিয়েটিভ কন্টেন্ট বানাচ্ছে, বাকি সব দেহ পদর্শনী, বকবকানি বা রংঢং করে দেশের ইন্টারনেট এনগেজ করে রাখছে, যতক্ষন জেগে আছে মোবাইল হাতে, মানে বিদ্যুৎ অপচয় করছে। একটা মোবাইল যদি সারাদিনে ১০টাকার বিদ্যুৎ খায়, তাহলে ১০ লাখ পাখিরা ১ কোটি টাকার অপচয় করে। মাসে কত, বছরে কত? বাঙ্গালির মনে এত সুখ যে, পাড়ার টুনি ভাবি বা উগান্ডার চান্দু, সবার মনে শুধু বিনোদন আর বিনোদন !!! কেন রে বাবা, তোরা চাইনিজ জাপানিজ বাচ্চাদের মত কিছু মাথা খাটানোর কন্টেন্ট বানা। আর কিছু না পারলে ওদেরটা কপি পেস্ট কর... গাইতে গাইতে একদিন তো গায়েন হবি।



আগে দেশের রাজনীতিবিদরা নিজের সম্পদ হারিয়ে দেশ গড়ত, এখন দেশ বেঁচে সম্পদ গড়ে:
--- এটার ব্যাপারে আর কি বলব? হাজার হাজার উদাহরন এই লেখা যারা পড়বেন, কম বেশি তাদের সবার জানা আছে। প্রকৃত দেশ প্রেমিকরা এখন আর ভাত পায় না। তাই বলে পিৎজা খায় তা না। কেউ কেউ আফসোস নিয়ে মরে, কেউ কেউ এক বুক যন্ত্রনা নিয়ে চুপ মেরে থাকে। আমরা তাদের কথা বলতে দেই না। তাদেরকে সামনের কাতারে দাঁড়াতে দেই না। আগে এক কাপ চা আর একটা বন রুটিতে ভোট বিক্রি হত, এখন ৫০০টাকায় হয়। হাজার টাকায় হয়। আগে যোগ্য লোককে যোগ্যতা প্রমানের সুযোগ দেয়া হত, এখন অযোগ্য লোককে অযোগ্য আসনে বসানো হয়। তেল মারা আর প্রফিট শেয়ার করাই এখনকার যোগ্যতা।


লিখতে লিখতে হয়রান হয়ে গেলাম... মনের কথা গুলো কথাকলি হয়ে বেঁচে থাক আমার ব্লগে।

অগ্রিম ধন্যবাদ সবাইকে।



সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ২:৫১
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ধর্ম অবমাননার ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:২৯


ঢাকায় এসে প্রথম যে স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম, সেটা ছিল মিরপুরের একটা নামকরা প্রতিষ্ঠান। লটারির যুগ তখনো আসেনি, এডমিশন টেস্ট দিয়ে ঢুকতে হতো। ছোট্ট বয়সে বুঝিনি যে স্কুলের টিচাররা কোন মতাদর্শের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ওরা দেশের শত্রু; শত্রু দেশের মানুষেরও...

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৮

ওরা দেশের শত্রু; শত্রু দেশের মানুষেরও...

অন্তর্জাল থেকে নেওয়া সূর্যোদয়ের ছবিটি এআই দ্বারা উন্নত করা হয়েছে।

ইসলামের পবিত্র আলো ওদের চোখে যেন চিরন্তন গাত্রদাহের কারণ। এই মাটি আর মানুষের উন্নয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তারেক রহমানের হঠাৎ ‘জামায়াত-বিরোধী’ উচ্চারণ: রাজনীতির মাঠে নতুন সংকেত, নাকি পুরোনো সমস্যার মুখোশ?

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৯

তারেক রহমানের হঠাৎ ‘জামায়াত-বিরোধী’ উচ্চারণ: রাজনীতির মাঠে নতুন সংকেত, নাকি পুরোনো সমস্যার মুখোশ?

বিএনপি রাজনীতিতে এক অদ্ভুত মোড়—অনেক বছর পর হঠাৎ করেই তারেক রহমান সরাসরি জামায়াতকে ঘিরে কিছু সমালোচনামূলক কথা বললেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

এমন থাপ্পড় খাবি!

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩



ঘটনাঃ ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দামের পতনের সময়।
চৈত্র মাস। সারাদিন প্রচন্ড গরম। জামাই তার বউকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছে। সুন্দর গ্রামের রাস্তা। পড়ন্ত বিকেল। বউটা সুন্দর করে সেজেছে। গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

এডমিন সাহেব আমাকে নিয়ে অনেক বক্তব্য দিতেন এক সময়।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০৯



আমার "চাঁদগাজী" নিকটাকে উনি কি জন্য ব্যান করেছিলেন, সেটা উনি জানেন; আসল ব্যাপার কখনো আমি বুঝতে পারিনি; আমার ধারণা, তিনি হয়তো নিজের দুর্বলতাগুলো নিয়ে ভয়ে ভয়ে থাকতেন; মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×