কিছু অগতানুগতিক চিন্তাধারার শুরু করার একটু নাতীদীর্ঘ প্রয়াস
মনে করেন কাল আমরা বাংলাদেশে সবাই বাংলাদেশে বাসের টিকিট কাটার কাটার সময় লাইন ধরে দাঁড়াবো, কেঊ কাঊকে ডিঙিয়ে আগে যাওয়ার চেষ্টা করবনা, বাসে ঊঠে চাপাচাপি করবনা। আরও ধরেন আপনি কোন সরকারি অফিসে কাজ করতে গেছেন, আপনাকে কোনখানে ধরাধরি করতে হবেনা, দশ জায়গায় দশ জনকে ঘুষ দেওয়া লাগবেনা, এককথায় কোনপ্রকার ঘুষ দেওয়া লাগবেনা, আরও চিন্তা করেন আপনার চাকরি বাকরি এগুলাতে কোন স্বজন প্রীতি হবেনা, অমুকের নাতি, তমুকের ঝাটী বিবেচনা না করে স্বরাসরি সব যোগ্য প্রার্থীগুলোকে নেয়া হবে সব জায়গায়, আরও একটি বেশি চিন্তা করি যে সব বাপ মায়েরা তাদের বাচ্চাকাচ্চাদের জন্মানোর সাথে সাথে লেবেল দিয়ে দিবেনা যে ভবিষ্যতে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হবে,যে যার খুশিমত যা খুশি হতে পারবে আর বাবা মায়েরা ওতেই খুশি হবে, স্কুল কলেজের পোলাপাইন প্রাইভেট অথবা কোচিং সেন্টারের বদলে স্কুলে গিয়ে পড়ালেখা করবে, যা শেখার স্কুলেই শিখবে, স্যারেরা ছাত্রদেরকে জোর করে প্রাইভেট পড়ানোর জন্যে ক্লাসে ঝাড়ি দেবেননা, অথবা বিমাতাসুলভ আচরণ করবেননা। আমরা সবাই একেকটা নিজেকে হনু আর সাত সাম্রাজ্যের অধিপতি মনে করবনা, অন্যের আদর্শকে সম্মান দিতে শিখব, তেমনি রাজনৈতিক দিনগুলো একজন আরেকজনকে সম্মান দিয়ে চলবে। আরো চিন্তা করি মেয়েরা সবখানে নারীদের অসহায়ত্ব বেশি সুযোগ সুবিধা নিবেনা, এমনকি ক্লাসে সুন্দরী ছাত্রের পুতু পুতু কথায় শিক্ষকেরা তাক বেশি মার্ক বা বেশি সুযোগ সুবিধা দিবেনা,আবার বয়লার টাপের পোলাপাইন যারা সারাজীবন বই মুখস্ত করে লিইখা ফার্স্ট হয় তারা ফার্স্ট হবেনা, আবার তারা নিজেদেরকে যুবরাজ সেলিমও মনে করবেনা, আর আমরা সাধারণ মানুষ অন্যের গু খাওয়া দেখে কোনো কিছু চিন্তা না করে গু খাওয়া শুরু করবনা(সরি ফর স্ল্যাং), আর হ্যা ব্লগাররা যাই দেখে তাই দেখে অর্থহীন সমালোচনায় মেতে উঠবেনা, সবাই লিখবে, ভাল ভাল কথা লিখবে, আইজকা আমি মুড়ি খাই টাইপের ব্লগ কেঊ লিখবেনা, আর হ্যা , ও আরেক অনেক কিছু মাথায় আসছে, মাথা কিলবিল করছে, ঊঠি যাই মাথায় পানি দিয়ে আসি, তয় হ্যা সেদিন সূর্য পূর্বেও ঊঠবেনা, পশ্চিমেও ঊঠবেনা, মনে হয় অন্য কোনদিকে ঊঠবে, অগতানুগতিক চিন্তাধারার প্রথম পর্ব এই পর্যন্তি থাক ঃ)।