গত কয়েকদিন ধরে একটা এক্সপেরিমেন্ট করে দেখতে চাচ্ছিলাম যে যেসব বন্ধুকে আমি আপন মনে করি নিজে খোঁজখবর না নিয়ে দেখি তারা খোঁজখবর নেয় কিনা। দেখলাম কেঊ নেয়নি।সবাই নিজের নিজের জীবন নিয়ে ব্যস্ত। আসলে বলা যাবেনা ব্যস্ত, তার হয়তোবা আমাকে মনে করেনা বন্ধু,অথবা হয়তোবা যখন হোটেলে চাইনিজ খাওয়াতে পারি তখনই আমি তাদের বন্ধু। খুব একা লাগছে।বড্ড একা লাগছে। আব্বা বেঁচে থাকাতে অন্তত আব্বার সাথে সুখ দুঃখের দুই একটা কথা শেয়ার করতে পারতাম। এখন আর সে লোকটিও নেই। আত্মীয় স্বজনদের ফোন করে আসলে শুধু আমার ফোনের পিছনে ফ্লেক্সইলোডই যায়, এর বেশি কিছু হয়না। আর মাঝে মাঝে মনে হয় অর্থলোভী কিছু হায়েনার সাথে কথোকথন করছি। বস্তুত হঠাৎ করে মনটা আজ খুব বেশি খারাপ হয়ে গেল।কাঁদছি, আর কাঁদছি। নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছে। অফিসে প্রতিটা কলিগ আমার হাসিমুখ দেখে মনে করে আমার মনে কোণ দুঃখ নেই, আর কিভাবে যেন আমি বুকভরা দুঃখ নিয়েও লোকদেখানো হাসি দেখাতে পারে। দেখাতে পারি বিশাল সুখের সাগরে হাবুডুবু দিচ্ছি আমি। পরে আবার টয়লেটে গিয়ে নীরবে কাঁদি। পুরুষ মানুষ হয়েও আমার চোখ থেকে এত পানি পড়ে কেন জানিনা। অন্তরে দুঃখের লোনাসাগর তৈরি হলে মনে হয় এরকম হয়। ঐযে আগেই বললাম আমার তথাকথিত বন্ধুরা আমাকে এতই ভালোবাসে যে ঢাকায় তারা কেঊ আশ্রয় দেয়নি তাদের সাথে।শেষে এসে আশ্রয় নিয়েছি এক দুইইঞ্ছি বাথরুম সমান চিলেকোঠায়,পাশেই থাকে এক জাদরেল মহিলা তার দুই বাঁচ্চাসহ। অনেকদিন ধরে একটা রুম খুঁজছি ভাল,চার পাঁচ হাজারের মধ্যে, কিন্তু পাচ্ছিনা,বাড়িওলারা ভাল রুম ব্যাচেলরদের দিতে চায়না, দিতে চায় শুধু পায়খানার সমান রুম অথবা ভাঙাচোরা রান্নাঘর। তাই রয়ে গেলাম সেই পায়খানা সমান ছোট্ট রুমে।আজকে আরো বেশি মেজাজ গরম হল সেই জাদরেল মহিলার পিচ্চি ছেলে ঠিক আমার রুমের সামেন পায়খানা করে দিয়ে গেছে, মনে করছে এইটাই পায়খানা। আর সেই মহিলা দিব্বি নিয়ে গেছে তাকে, পায়খানা যে পরিষ্কার করবে তার নাম নেই। কি আর করব। কোন সভ্য সমাজের মানুষ এরকম মানুষকে জানোয়ার মনে করতে পারে জানতাম না। মেজাজও গরম হল, মনও খারাপ হল। মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম,এখানে আর না। কিন্তু যাব কই? থাকব কই? আজ মাসের দশ তারিখ, আর আমিতো পাচ্ছিনা, আমার মনের মত একটা রুম। কি আর করা। কিন্তু এসব কথা ব্লগে লিখছি কেন? আসলে আমারত প্রিয়তাম বা ভালবাসার কেঊ নেই যার সাথে মনের সব দুঃখে শেয়ার করব, আর ফেইসবুকে লিখলে কলিগরা দেখলে তুলকালাম কাণ্ড হয়ে যাবে, তাই ভাবলাম ব্লগেই লিখে মনটা একটু হালকা করি। নিজেকে খুবি একাকী আর নিঃস্ব মনে হচ্ছে।
আলোচিত ব্লগ
দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা
সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১
নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়
সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।
হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন
আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই
সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন