দিগন্ত টিভির দিগন্ত সংলাপে এবার আলোচনার বিষয়বস্তু ছিলো বাজেটে কালো টাকা সাদা করার প্রস্তাব। এই বিষয়ে আলোচনা করতে স্টুডিওতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব মোহাম্মদ আসাফউদ্দৌলা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ধীরাজ কুমার নাথ। উপস্থাপক ছিলেন যথারীতি ড: রেজোয়ান সিদ্দিকী।
উপস্থাপক প্রথমে আসাফউদ্দৌলাকে প্রশ্ন করেন, বর্তমান সরকারের কালো টাকা সাদা করার জন্য তিন বছর পর্যন্ত সময় দিয়েছেন অথচ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিলো যে কালো টাকাওয়ালাদের কোনো ক্ষমা নেই। এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কি? উত্তরে আসাফউদ্দৌলা বলেন, এই ব্যাপারে মন্ত্রীমহোদয়ের আক্ষেপটি আমাকে খুব অবাক করেছে। উনি বলেছেন এটা নৈতিকতা বিরোধী। এটার মধ্যে নৈতিকতার প্রশ্ন আসে না। এটা বাস্তবতা। বাস্তবতা হচ্ছে অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করেন আমাদের ৩০% কালো টাকা আছে। উনি যদি মনে করেন যে এটা অবৈধ তাহলে রাজনীতির কাছে উনি নতি স্বীকার না করলেই পারতেন। উনার নৈতিকতাবোধ যদি এতোই প্রবল হয় তাহলে you should resign. You should not accept this.
এরপর ধীরাজ কুমার নাথ বলেন, এর আগে বাংলাদেশে ৮ বারের মত কালো টাকা সাদা করার মত সুযোগ দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু তা দেওয়া হয়েছিল স্বল্পসময়ের জন্য অর্থাৎ ১ বছরের জন্য। কিন্তু এইবার সরকার তিন বছরের জন্য সময় দেওয়াতে জনগণের মনে একটা সন্দেহ দেখা দিয়েছে। আসাফউদ্দৌলা বলেন, এই বাজেটে স্বপ্ন ও সাধ্যের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। ট্যাক্স কালেকশানের টার্গেট ধরা হয়েছে ৮০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু আমি জানি ৬০ হাজারের বেশী উঠবে না। এই গ্যাপগুলি পূরণের জন্য পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের উপর আপনি ট্যাক্স বাড়াবেন। ভ্যাট বাড়াবেন। আপনি মদের উপর ৫ হাজার পার্সেন্ট ট্যাক্স ধরেন না কেনো। সিগারেটের উপর ২০ হাজার পার্সেন্ট ট্যাক্স ধরেন না কেনো। বিলাসবহুল জিনিসের উপর ট্যাক্স ধরেন না কেনো। আপনি ফিক্স ডিপোজিটের উপর ট্যাক্স ধরেছেন। আপনি সেভিং সার্টিফিকেট বিক্রী করার সময় বলেছেন no tax. আর এখন মিথ্যা কথা বলে তার উপর ট্যাক্স ধরেছেন ১.৫ পার্সেন্ট। আমার ইচ্ছা হচ্ছে এইটা নিয়ে রীট করতে। আপনি পৃথিবীর highest কর্পোরেট ট্যাক্স এবার ধরেছেন ৪৫%। যদি এইভাবে কর্পোরেট ট্যাক্স আদায় করা হয় তাহলে কর্পোরেট কালচারের টেকনোলজিটা directly affected হয়ে যাবে।
এরপর জৈনক দর্শক প্রশ্ন করেন, কালো টাকা সাদা করার এই সুযোগটা দেওয়ার কারণ কি? এর সবচেয়ে বড় বেনিফিশিয়ারী কে? জবাবে আসাফউদ্দৌলা বলেন,আমার উত্তর হলো যারা এই দেশের আইন প্রণেতা তারাই এই কালো টাকার টাকার মালিক সবচেয়ে বেশী। সেই কারণেই এই আইন প্রণিত হবে, সেই কারণেই এই বাজেট তৈরী হবে, সেই কারণেই আমাদের অর্থনীতিতে ২ লক্ষ হাজার কোটি কালো টাকা থাকবে। কেননা এই কালো টাকার মালিক তারাই। এই কালো টাকার মালিক সাধারণ লোক নয়। এই বাজেট তারাই করেন, এই পার্লামেন্টে তারাই বসেন, এই আইন তারাই পাশ করেন। এই কালোবাজারী আর এই কালোটাকার খেলা রাজনীতির বাইরে থেকে কয়জনই বা করতে পারছে? পুরো বাজেটটাই যেন সাজানো হয়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদেরকে আক্রমণ করার জন্য। বাচ্চাদের দুধের উপর ৪৫% ট্যাক্স ধরা হয়েছে। এটা কি ধরনের জনবান্ধব ট্যাক্স হলো। আমাদের মত রিটায়ার্ড লোকদের সেভিং সার্টিফিকেটের উপরেও আপনি ট্যাক্স ধরেছেন। সেই জন্য আমি বলি মধ্যবিত্তরাই পদে পদে বাংলাদেশের মধ্যবিত্তদেরকে জন্ম নিতে দেয়নি। তাই আমাদের দেশে একটা strongly intelligent middle class গড়ে উঠতে পারেনি। কিছু নিম্নবিত্ত রয়ে গেলো আর কিছু কালো টাকার দৌরাত্মে আকাশচুম্বি ঐশ্বর্যের মালিক হয়ে গেলেন। মাঝখানে বিরাট ফাঁকা।
সাবেক উপদেষ্টা ধীরাজ নাথ বলেন, বাজেট উচ্চাভিলাসী কিনা সেই বিতর্কে আমি যেতে চাই না। আমি বলতে চাই এর বাস্তবায়ন কিভাবে হবে। জনপ্রশাসনকে বিশাল বাজেট বহন করার মত ক্ষমতায়ন করার কোনো দিক নির্দেশনা এর মধ্যে নেই। বিশাল বাজেটের এই অর্থায়নকে ব্যাপ্তি ঘটানোর মত দক্ষতা করপ্রশাসনের আছে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কর ব্যবস্থাপনা কিন্তু খুব ভালো কাজ করেছে। টার্গেটের থেকে বেশী তারা আয় করেছে।
সাবেক উপদেষ্টার এই কথায় বাঁধা দিয়ে আসাফউদ্দৌলা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য এটা হয় নাই। এটা হয়েছে ঐ যে কি সব ফোর্স জয়েন্ট টাস্কফোর্স এরা মানুষকে ভয় দেখিয়ে রাত তিনটার সময় বাসা ঘিরে বাসা থেকে ধরে নিয়ে এমন সব কান্ড করেছে যে সেই ভয়ভীতির কারণেই রেভিনিউ ইনকামটা এতো বেশী হয়েছিলো। দেখেন income tax না দেওয়ার জন্য জেলে ঢুকানোর মত ঘটনা বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর আর কোনো দেশে ঘটে নাই। ধরেন আমি income tax দেই না বা কোনো tax– ই দেই না সেইজন্য আপনি আমার বাড়ি ক্রোক করে নিতে পারেন, আমার ব্যাংক একাউন্ট সিজ করে দিতে পারেন But you can not send me to the jail. দেখেন আমি বলি যে আমাদের সমাজে দুই ধরনের কালো টাকা আছে। একটা হচ্ছে ধূসর কৃষ্ণ কালো টাকা আর একটা ঘোর কৃষ্ণ কালো টাকা। ধূসর কৃষ্ণ টাকা হচ্ছে সেই কালো টাকা যা কামাই করা হয়েছে ঠিকভাবে কিন্তু tax দেওয়া হয় নাই। আর ঘোর কৃষ্ণ কালো টাকা হচ্ছে কালোবাজারী বা চোরাকারবারী করে যে টাকা উপার্জিত হয় সেই টাকা। এইসব নিয়ে পার্লামেন্টে আলোচনা, বিতর্ক ও বিশ্লেষণ হওয়া উচিত।
বিরতির পর উপস্থাপক রেজোয়ান সিদ্দিকী টিপাইমুখ নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। তিনি আসাফউদ্দৌলাতে প্রশ্ন করেন, এতো প্রতিবাদ সমাবেশের পরও নৌপরিবহন মন্ত্রী বলেছেন, ফারাক্কায় যে ক্ষতি হয়েছে টিপাইমুখ বাঁধে সে ক্ষতি হবে না। এ ব্যাপারে আপনার মতামত কি? আসাফউদ্দৌলা উত্তর দেন, দেখেন অজ্ঞ লোকদের এইসব কথাবার্তার কোনো উত্তর আমি একদম দিতে চাই না। আমি এই বিষয়টা বুঝি বলে আমার ধারণা আমি এই বিষয়ে কথা বলতে পারি। একটা গাধাও যদি ৯ বছর একটা সাবজেক্ট নিয়ে কাজ করে তাহলে সেও একটা গাধা থেকে একটা গরুতে পরিণত হতে পারে, আমি সেইরকম গরু। পানি সম্পদ নিয়ে আমি নয় বছর কাজ করেছি। কাজেই এইসমস্ত অর্বাচীনের কথার কোনো উত্তর হয়না। ওরাতো ভারতীয় হাইকমিশনারের কথার প্রতিধ্বনি করছেন। আমিতো বলেছি যে উনি আমার কাছে এলে আমি ড্রইং করে শিখিয়ে দিবো ড্যাম ও ব্যারেজের মধ্যে পার্থক্যটা কি। রিসেন্টলি আমি সিলেটে মুক্ত আলোচনার বিশাল একটা সভায় গিয়েছিলাম। সেখানে সকলের একটাই প্রশ্ন – এই পানিটা আমি ভিক্ষা চাইছি নাকি এইটা আমার অধিকার। আন্তর্জাতিক একাধিক নদী আইনে বলা আছে যে up stream – কোনো construction করা যাবে না down stream এর অনুমোদন, সম্মতি ও আলোচনা ছাড়া। ১৯৯৬ সালে যে গঙ্গা পানি চুক্তিটি এই সরকার করেছিলো তার মধ্যেও পরিষ্কার একটা ধারা আছে যে আগামিতে বাংলাদেশের সম্মতি না নিয়ে অন্যান্য নদীর ব্যাপারে কোনো রকম structure ভারত তৈরী করতে পারবেনা। মজার ব্যাপার হলো সোনিয়া গান্ধি ইলেকশানে জেতার পর আমি উনাকে একটা চিঠি লিখে বলেছিলাম যে আশা করি টিপাইমুখ এবং ভারতের আন্ত:নদী সংযোগ প্রকল্প – এই দুইটি প্রকল্প আপনি করবেন না। উনি আমার চিঠির উত্তর দিলেন। অসংখ্য ধন্যবাদ জানালেন কিন্তু ঐ দুইটি ব্যাপারে কোনো উত্তর দিলেন না। শুধু উনার অনেক ধন্যবাদ রিসিভ করলাম। টিপাইমুখে বাঁধ দিয়ে তারা বরাক নদীর পানিটা আটকিয়ে রাখবেন যেই পানিটা দিয়ে আমাদের সমস্ত সিলেটে অঞ্চল ও মেঘনা অববাহিকার পানি প্রবাহিত হয়। কাজেই এটা আর এখন প্রবাহিত হবে না। তো পানি ছাড়া আপনার যদি এতো মরার ইচ্ছা হয় আপনি মরেন না কেনো। আমারতো কিছু বলার নেই। সিলেটের সেই মিটিং – এ দলমত নির্বিশেষে সমস্ত লোক উপস্থিত ছিলো শুধু ছিলেন না জকিগঞ্জের এমপি। কারণ তিনি সরকারী দলের লোক। তার মানে কি সরকারী দল ভাবছেনা যে পানির দরকার আছে। সরকার কি ভাবছেনা যে আমার লক্ষ লক্ষ একর জমি শুকিয়ে যাবে। আমার উৎকন্ঠা কি সরকারের উৎকন্ঠা নয়? বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন ক্ষতি হলে দেখা যাবে। আরে তুই কি বুঝিস। তোর যা কাজ বাণিজ্য, তুই তাই দেখ। অর্থমন্ত্রীও একই ধরণের কথা বলছেন। কথা হলো, আমিতো এখানে বাংলাদেশের এজেন্ট। আমি পাকিস্তানের এজেন্ট না, ইন্ডিয়ার এজেন্টও না। আমার দেশের পানি একজন বন্ধ করে দিচ্ছে, আমাকে একজন শুকিয়ে মেরে ফেলতে চাইছে তাকে আমি বন্ধু বলে ডাকবো না। I am sorry. বন্ধু কখনো পানি বন্ধ করে দেয় না। বন্ধুকে বন্ধুর মত আচরণ করতে হবে। আমার অধিকারকে অধিকার হিসেবে দিতে হবে, ভিক্ষা হিসেবে নয়।
সাবেক উপদেষ্টা বলেন, এটা বুঝতে তো খুব একটা জ্ঞানচর্চা করার দরকার পড়েনা। ওখানে একটা বাঁধ দিলে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হবো, আমাদের নদীগুলো মরে যাবে, পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। জনগণের অভিমত হচ্ছে এটা বন্ধুত্বের লক্ষণ নয়। বন্ধুত্বতো মুখে হয়না, বন্ধুত্ব হয় কাজে। আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই কিন্তু কারো কাছে নতজানু হতে চাইনা।
আসাফউদ্দৌলা বলেন, আমি ছোট, নগণ্য ও দূর্বল বলেই কি আমার উপর আপনার অত্যাচারটা এতো বেশী ও চীরস্থায়ী হবে। আমার কথা হলো, টিপাইমুখ বাঁধ বানাবার জন্য কেউ আওয়ামীলীগকে ভোট দেয় নাই। আপনি এটা সংসদে আলোচনা করুন। এটা জাতির বাঁচামরার বিষয়। এটা নিয়ে যদি পার্লামেন্টে আলাপ করা না যায় তাহলে আপনি পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দিন। এটা রাষ্ট্রীয় ইস্যু। এটা দেশের জন্য। এটা কোনো particular party – র ইস্যু নয়। দেশের মানুষের কাছে এর judgment ছেড়ে দিন। আপনি নিজে দলীয়ভাবে তা দিবেন না। জাতীয় জীবনের বিপন্ন অস্থিত্ব নিয়ে সংসদে আলোচনা করাটা যদি নিষিদ্ধ হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ না। আপনি ট্রানজিট ইস্যুগুলি নিয়েও সংসদে আলোচনা করুন। আপনি মুখে বলছেন সংসদই হচ্ছে কেন্দ্রবিন্দু। আসলে এটা তো কোনো বিন্দুই না। রাষ্ট্রের প্রয়োজনে আবশ্যক কোনো কিছুই এখানে আলোচনা হয় না। সিলেটের মানুষ বলুক টিপাইমুখী বাঁধ হলে তাদের কি ক্ষতি হবে না হবে। ভারতীয় হাইকমিশনার বা ভারতীয় বিশেষজ্ঞের মত গাধা ও আহম্মকদের সাথে এইগুলি আলোচনা করে কোনো লাভ নাই। আমি ভারতীয় হাইকমিশনারকে Seriously বলতে চাই we should not do politics and you should not do politics with Tipaimukh. আমার অনুমতি ছাড়া আপনি আমার উজানে কেন বাঁধ দিয়েছেন? আপনি কি আমাকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেন না? আপনি বলছেন পার্লামেন্টারী কমিটি ও বিশেষজ্ঞ কমিটি সেখানে যেতে পারে। আপনি কি সেখানে সবাইকে পিকনিক খাওয়াবেন? পদ্মার দৃষ্টান্ত, তিস্তার দৃষ্টান্তের পর আমার জীবন বিপন্ন হয়ে গেছে। কাজেই আপনি টিপাইমুখ নিয়ে সাবধানে কথা বলবেন। এই ঘুমন্ত সুপ্ত বাঙ্গালী জাতিকে আপনি কিন্তু টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে জাগ্রত করবেন আবার। আপনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমার একটা বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন রয়েছে because of your past performance. বাংলাদেশের বন্ধুত্ব চাইলে বন্ধুত্বের নিদর্শন দেখান। ।আমি এই সরকার, ভারত সরকার এবং এখানকার যত দালাল আছে তাদের সবার জন্য বলছি, This is a warning. এটা নিয়ে রাজনীতি করবেন না। এটা একটা simple issue. You have stopped my water – flow without my permission. জনাব আসাফউদ্দৌলা সাহেব অনেকদিন যাবৎই টকশো করে আসছেন এবং তাঁর টকশোর একটা বিশাল দর্শক গোষ্ঠি আছে। ইদানিং তিনি নিজের temper ঠিক রাখতে পারছেন না। তাই মন্ত্রীদেরকে �তুই তুকারি� সম্বোধন করছেন। এতে উনার ব্যক্তিগত ইমেজ যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি অনুষ্ঠানের মানও ক্ষুন্ন হচ্ছে। সবশেষে আসাফউদ্দৌলা সাহেবকে ধন্যবাদ জানাই টিপাইমুখ নিয়ে সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লেখার জন্য। তবে মজার ব্যাপার হলো ফারাক্কা নিয়ে ইন্দিরা গান্ধী যেমন একদিন উনার প্রশ্নের কোনো উত্তর দেন নাই তেমনি টিপাইমুখ নিয়ে সোনিয়াগান্ধীও উনার চিঠির কোনো উত্তর দিলেন না। নিজ স্বার্থবিরোধী কোনো প্রশ্নের উত্তর ইন্ডিয়া কোনোদিনও দিবে না এটাই স্বাভাবিক।
নাজনীন ইলিয়াস এর লেখা থেকে......