somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

“সাংবাদিকতাকে আমি প্রতি মুহূর্তে উপভোগ করি” -মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল

১৬ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

“সাংবাদিকতাকে আমি প্রতি মুহূর্তে উপভোগ করি”

একান্ত সাক্ষাৎকারে বৈশাখী টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক এবং প্রধান নির্বাহী মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল

সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী:
মো: মাহবুবুল হক ওসমানী
২৮ আগস্ট, ২০১০।


প্রোফাইল

পুরো নাম: মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল
বাবার নাম: মরহুম ডা. আমজাদ হোসেন তালুকদার
মায়ের নাম: বেগম রওশন আরা
জন্ম তারিখ: ৩০ নভেম্বর ১৯৫৯
জন্মস্থান: নলিতাবাড়ি, শেরপুর
বর্তমান ঠিকানা: ১১/জে, ইস্টার্ন হাউজিং, সিদ্দেশ্বরী, ১০২-১০৪, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২৯৫, বাংলাদেশ।
স্থায়ী ঠিকানা: গ্রাম: আমবাগান, পোস্ট: নলিতাবাড়ি, জেলা: শেরপুর, বাংলাদেশ
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি - ১৯৭৫ (ঢাকা বোর্ড), এইএইচএসসি - ১৯৭৮ (ঢাকা বোর্ড), স্নাতক-১৯৮১ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), স্নাতকোত্তর -১৯৮২ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), আইন বিষয়ে স্নাতক -১৯৮৪ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমা -১৯৮৪ (বার্লিন, জার্মানি)

গতি-ডাক: [email protected]

কর্ম জীবন

পত্রিকার বা চ্যানেলের নাম
সাল
অবস্থান
কাজ
বৈশাখী টেলিভিশন
ফেব্রুয়ারি, ২০১০ থেকে এখন পর্যন্ত
প্রধান সম্পাদক এবং প্রধান নির্বাহী
সংবাদ ব্যবস্থাপনা
এটিএন বাংলা
২০০৩-২০১০
হেড, নিউজ এবং কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স
সংবাদ ব্যবস্থাপনা
একুশে টেলিভিশন
২০০১-২০০৩
চিফ নিউজ এডিটর
সংবাদ ব্যবস্থাপনা
দৈনিক যুগান্তর
১৯৯৯-২০০১
নিউজ এডিটর
সংবাদ ব্যবস্থাপনা
দৈনিক সংবাদ
১৯৮৬-১৯৯৯
নিউজ এডিটর
সংবাদ ব্যবস্থাপনা
দৈনিক জাহান
১৯৭৬-১৯৮৬
নিউজ এডিটর
সংবাদ ব্যবস্থাপনা

এছাড়া, ২০০৪ সাল থেকে দৈনিক সংবাদের এক্সিকিউটিভ এডিটর হিসেবে কাজ করছেন ।
পেশাদার কর্ম জীবনের পাশাপাশি যে যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন বা করেছেন :

সদস্য, নির্বাহী বোর্ড – ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইন্সটিটিউট, আইপিআই (২০০৯-২০১৩)
সিনেটর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট, ২০০৯-২০১২ (সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জয়ী)
সদস্য, বোর্ড অব গভরনর্স – বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ২০০৯।
সদস্য, বোর্ড অব ডিরেক্টরস - প্রেস ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ , পিআইবি , (১৯৯৭-২০০১, ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত)
এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর : মিডিয়া ওয়াচ – বাংলাদেশ ভিত্তিক গণমাধ্যমের এবং পর্যবেক্ষণ সংস্থা
সদস্য – ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন, বাংলাদেশ -২০০৮
আজীবন সদস্য – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা
সদস্য -ইস্ট ওয়েস্ট সেন্টার অ্যালামনাই, হাওয়াই, যুক্তরাষ্ট্র
সদস্য – জাতীয় প্রেস ক্লাব
সদস্য – সাংবাদিকদের জন্য ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নে জাতীয় পর্যবেক্ষণ কমিটি।
সদস্য -পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ এবং বিতরণে জাতীয় পর্যবেক্ষণ কমিটি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়
সাবেক সভাপতি -বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্ট -বিএফইউজে
সাবেক সাধারণ সম্পাদক -বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্ট -বিএফইউজে
সাবেক সদস্য -ফরেইন প্রোগ্রাম প্রিভিউ কমিটি অব বাংলাদেশ টেলিভিশন -বিটিভি
সাবেক কোষাধ্যক্ষ -ফরেইন প্রোগ্রাম প্রিভিউ কমিটি অব বাংলাদেশ টেলিভিশন -বিটিভি

বিদেশ ভ্রমন : ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র (ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক, বোস্টন, ক্যালিফোর্নিয়া, আইওয়া, আরিজোনা, ফ্লোরিডা) দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে, ফ্রান্স, জার্মানি, মালয়েশিয়া, বেলজিয়াম, পেরু, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, জর্ডান, কাতার, সৌদি আরব, সার্বিয়া, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, ইথিওপিয়া এবং ডেনমার্ক।


চিকিৎসক বাবার মতো বড় হয়ে চিকিৎসক হবেন এমনটাই স্বপ্ন ছিল দূরন্ত সে ছেলেটির। কিন্তু বাবার সে ইচ্ছাকে ফাকিঁ হয়ে গেলেন পুরো দস্তুর সাংবাদিক। রাজনীতিবিদ হওয়ার বাসনাও মনের মাঝে উকিঁ দিয়েছিল বার কয়েক। চোখে সরু চশমা। আর তার ফাঁক গলে বিশ্বকে ভিন্ন চোখে পর্যবেক্ষণ করার মত মুন্সিয়ানার কাজটি করছেন সাংবাদিকতায় এসে। এ যেন স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের সেই বিখ্যাত চরিত্র শার্লক হোমসের মত। যেমনটা শার্লক তার সহযোগী ওয়াটসনকে বলতেন: “You see but you don't observed” অনেকটা শার্লকের মতই সমাজ, রাষ্ট্র ব্যবস্থা আর ঘটনার অন্তরালের সংবাদ পর্যবেক্ষণের অদম্য শক্তি তার। গণমাধ্যমের ভেতরে থেকে গণমাধ্যমকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। পোষাকে পরিপাটি সদা হাস্যোজ্জল মুখের এই মানুষটিই হলেন সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল। সাংবাদিকতায় এসে যে কজন মানুষ সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হয়েছেন কিংবা সাংবাদিকতাকে একটা শিল্প বা পেশাদারিত্বের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন তিনি তাদের মধ্যে একজন। অনেক ব্যস্ততার মাঝেও এখনো বজায় সেই দায়িত্ব। অধিকার আদায়ে তাই সাম্প্রতিক সময়েও রাজপথে দেখা যায় তাকেঁ।
যেমন:
এটিএন বাংলার সিনিয়র ক্যামেরাম্যান মিঠুর ঘাতকদের বিচারের দাবিতে গত ১০ মে ২০১০, জাতীয় প্রেসক্লাব সম্মুখে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলা পরিবার। ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই’—এ স্লোগান সংবলিত ফেস্টুন ও ব্যানার বহন করে মানববন্ধনে অংশ নেন সাংবাদিকরা।
সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল এই মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বলেন: সাংবাদিক মিঠুর হত্যার দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র চুপচাপ বসে থাকলে অপরাধীরা আরও উত্সাহিত হবে। মিঠুর হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা এবং সাংবাদিকদের ওপর জুলুম-নির্যাতন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি সরকারের প্রতি দাবি জানান। (সূত্র: দৈনিক আমার দেশ, ১১ মে ২০১০)

বেসরকারি টিভি চ্যানেল রক্ষায় প্রচলিত আইনের ব্যাপক সংস্কারের দাবি উঠেছে। চ্যানেল ওয়ান খুলে দেয়ার দাবিতে ৮ মে , ২০১০ শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত প্রতিকী সমাবেশে অংশগ্রহণকারি বিশিষ্টজনরা এ দাবি তোলেন।
এখানে মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, গণমাধ্যমের এ সংকটে শুধু সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হলেই চলবে না, মালিকদেরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। (সূত্র: শীর্ষ নিউজ ডটকম, ঢাকা, ৮ মে, ২০১০)

সম্প্রচার নীতিমালা নিয়েও কাজ করছেন অনেকদিন ধরে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে বলিষ্ট কন্ঠস্বর এই সাংবাদিকের সাক্ষাতকার নেওয়ার বিষয়টি যখন চিন্তা করলাম তখন তাঁর সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে সম্প্রতি লেখা প্রবন্ধটি অনেক কষ্টে সংগ্রহ করলাম। গো-গ্রাসে পুরোটা পড়ে ফেললাম। হাতে এসে গেল তাঁর জীবন বৃত্তান্তও। যতই পড়েছি ততই অবাক হয়েছি। এত অল্প সময় সাংবাদিকতার মত মহান পেশায় কত অবদানই না রেখেছেন। একাডেমিক কাজে ব্যবহারের জন্য টেলিভিশন নিয়ে সাক্ষাতকার নেওয়ার কথা বলতেই তিনি স্বভাব সুলভ ভাষায় বললেন যে কোন সময় ফোন করে তার অফিসে চলে আসতে। অন্য সবাই যেখানে নির্দিষ্ট সময় দেন, সেখানে তিনি উল্টো আমাকে বললেন আমার সময় মতো যেতে। তার অফিসে পৌঁছার পর মাত্র ৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হলো। এরপর তার কক্ষে ডেকে নিলেন। নান্দনিক এই মানুষটির ঘরটিও বই আর বিভিন্ন শৈল্পিক চিত্রকর্মে সাজানো। শুরু হল কথোপোকথন.......
শুরুটা আপনার লেখা সাম্প্রতিক নিবন্ধ সম্প্রচার নীতিমালা প্রসঙ্গ দিয়েই করছি। বাংলাদেশের স্যাটেলাইট সম্প্রচার নীতি মালার প্রাসঙ্গিকতা ও সরকারি উদ্যোগ , এ বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন ?
বাংলাদেশে প্রাইভেট সেক্টরে সম্প্রচারের ইতিহাস খুব কম। ১৯৯৬ -৯৭ সালের দিকে সরকার সিদ্ধান্ত নিল যে প্রাইভেট সেক্টরে টেলিভিশন দেবে, তখন আর মনে করা হয় নাই যে একটা নীতিমালা থাকা দরকার। তখন একটা গাইড লাইনের মত করে দেয়া হয়, তবে তা নীতিমালা নয় বরং বিধিমালা করে টেন্ডার ডেকে একুশে টেলিভিশনকে দেয়া হল। একুশে টেলিভিশনের কর্তৃপক্ষ যখন টেলিভিশনটি চালু করতে গেলেন, তখন তারা দেখলেন যে এমন কতগুলো স্পর্শকাতর বিষয় আছে যেগুলি সম্পর্কে সরকার আসলে ভাবেই নাই। যেমন: এসএনজি -স্যাটেলাইট নিউজ গ্যাদারিং, টেলিভিশনে এটা খুবই পাওয়ারফুল অ্যাপারেটাস। দেখা গেল এটা টেলি কমিউনিকেশন অ্যাপারেটাস হিসেবে রাখা হয়েছে। এবং জিপিওতে যে কেউ ৩৫ টাকা দিয়ে এটার লাইসেন্স পায়। তখন সরকারকে বলা হল যে এটা খুব স্পর্শকাতর একটা বিষয়। এটা যদি যে কোন ব্যক্তির হাতে চলে যায় তবে তা যে কোন জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে। তখন সরকার আবার এটাকে টেলি কমিউনিকেশন অ্যাপারেটাস থেকে বের করে এনে স্যাটেলাইট অ্যাপারেটাসের মধ্যে অন্তভূক্ত করলো। তখনই বিআরটিএ বর্তমানের বিটিআরসি প্রতিষ্ঠিত হল। বিটিআরসি একটা টেকনিক্যাল গাইড লাইন তৈরি করে দেয়। কিন্তু যে সমস্যাটি রয়ে গেল তা হল, সম্পাদকীয় নীতিমালা, বিজ্ঞাপন নীতিমালা, লাইসেন্স ইস্যুর নীতিমালা, আধেয় বিশ্লেষণের নীতিমালা এর কোন কিছুই হয়নি। যার ফলে, রাজনৈতিক বিবেচনায় লাইসেন্স পাওয়া যেমন সহজ হয়, তেমনি লাইসেন্স পাওয়ার পরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন নীতিমালা হয়। কত শতাংশ বিজ্ঞাপন, কত শতাংশ সংবাদ, কত শতাংশ বিনোদন এটারও কোন গাইড লাইন নাই। কোন বিজ্ঞাপন যাবে, কোনটা যাবে না সেটা প্রতিষ্ঠানের মালিক নির্ধারণ করেন।

জাতীয় নীতিমালা না থাকায় এই জায়গাতে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। একুশে টেলিভিশনকে যখন লাইসেন্স দেয়া হয়, এরপর যখন মামলা করা হল তখন বলা হল- something somewhere wrong in the tender process. একুশে টেলিভিশনের লাইসেন্স প্রসেসের সময় একটা টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। অভিযোগ ছিল যে টেন্ডারের মধ্যে থাকা এক-দুই নম্বরকে না দিয়ে নিচের দিকে একুশে টেলিভিশন থাকায় তাকে দেয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বিএনপি অথবা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার আর টেন্ডার প্রক্রিয়ার মধ্যেই যায় নি। এখন আর কোন টেন্ডার প্রক্রিয়াই নাই। তাহলে এখন কিভাবে দেয়? এটার কোন নীতিমালা নাই। কোন শর্তও নাই। একটা সাদা কাগজে তথ্য মন্ত্রণালয়ে একটা দরখাস্ত করলে তথ্য মন্ত্রণালয় এটা বিবেচনায় নিতে পারবেন। টেকনিক্যাল বা অর্থায়নের বিষয়টি দেখা হয়। কিন্তু এটা কোন নীতিমালার বিষয় নয়।

বেসরকারি টিভি চ্যানেলের লাইসেন্স প্রাপ্ত ১১ টি চ্যানেলের ভিত্তি আসলে কি রকম হওয়া উচিত ?

এখানেও কোন ভিত্তি নেই। প্রায় ১০০থেকে ১৫০দরখাস্ত করেছে। তার থেকে সরকার ১১টাকে পছন্দ করেছে। সরকার কিভাবে পছন্দ করেছে সরকার তার কোন ব্যাখ্যা দিতে পারবে না। বিধি সম্মত, আইনগত কোন ব্যাখ্যা নাই। কি কি মানদন্ডের ভিত্তিতে লাইসেন্স দেয়া হবে কিংবা হবে না তা বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্যেই নাই। এখানে লাইসেন্স প্রাপ্তির সবচেয়ে বড় বিবেচনা ছিল রাজনৈতিক বিবেচনা।
আচ্ছা , তাহলে এক্ষেত্রে লাইসেন্স প্রাপ্তির বেলায় কি কি ভিত্তি কিংবা শর্ত থাকতে পারে ?

প্রথমত আমি বলবো, বাজারে আরো টেলিভিশন বা রেডিও বা সংবাদপত্র আসা উচিত কিনা। সরকারের প্রথম মানদন্ডই থাকবে আমরা কেন আরো টেলিভিশনের লাইসেন্স আহবান করবো তা দেখা। বাজারে আরো টেলিভিশন দরকার কিনা, আরো ১১টা টেলিভিশনের লাইসেন্স দেওয়ার সুযোগ আছে কিনা সেটা সরকারের দেখা উচিত ছিল।

দ্বিতীয়ত এর একটা উন্মুক্ত টেন্ডার ব্যবস্থা রাখা। যেটা এফএম রেডিও এবং কমিউনিটি রেডিওর ক্ষেত্রে করা হয়েছে। তাদের একটা ছোট্ট গাইড লাইনও আছে। কিন্তু টেলিভিশনের বেলায় এটা নাই। দরখাস্তের বেলায়ও কতগুলি শর্ত বেঁধে দেওয়া উচিত। তা না হলে হাজার হাজার দরখাস্ত পরবে। যেমন:
ক.যিনি করতে চান তার আদৌ মিডিয়া এবং মিডিয়া ব্যবসা সম্পর্কে কোন ধারণা আছে কিনা।
খ. যিনি এই ব্যবসা করতে চান তার সেই আর্থিক স্বচ্ছলতা আছে কিনা। তার টাকা আসবে কোথা থেকে? বৈধ উপায়ে উপার্জিত টাকা কিনা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত কিনা এ বিষয়টিও খতিয়ে দেখা উচিত।
গ. যন্ত্রপাতি কোথা থেকে আনা হবে সেটাও জানাতে হবে। এতেই বোঝা যাবে তিনি কি টেলিভিশন করতে চান, কত টাকা আছে, যন্ত্রপাতি কি মানের।
ঘ. সংবাদপত্রের বেলায় যেমনটা বলা হয়, কারা চালাবেন এটি। তেমনি টেলিভিশনের ক্ষেত্রেও দেখা দরকার এখানে প্রধান নির্বাহী বা সিইও কে হচ্ছেন। সম্পাদক কে হচ্ছেন। ব্রডকাস্ট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রধান কে হচ্ছেন। এরকম অন্তত ৫-৭ জনের একটা প্রধান দল থাকবে। তাহলে সরকার দেখতে পারবে এই লোকগুলি কারা। তাদের অতীত ইতিহাস কি বলে। পত্রিকার লাইসেন্স দিল মাদ্রাসার টাইটেল পাস মাওলানাকে। সে টাইটেল পাস বা এমএ পাস তাতে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু তার সাংবাদিকতার কোন অভিজ্ঞতা নাই। যেটা আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বেলায় ঘটলো। কাজেই এরকম কতগুলি ব্যাপার দেখা দরকার সরকারের দিক থেকে। দরখাস্ত যিনি করবেন দেখতে হবে তার ব্যাকগ্রাউন্ড কি।
কিন্তু এসবের আগে আবারো সেই প্রথম বিষয়টি আসে। আসলে বাজারে আরেকটা টেলিভিশন বা মিডিয়া আসার মত চাহিদা আছে কিনা। একটা গ্রামে ২টা স্কুল আছে। ৩ নম্বরটা করার আগে তো চিন্তা করতে হবে।

আরেকটি বিষয় যেটি ১৯৯৮ সালের গাইড লাইনের মধ্যে আছে - একই লোককে একাধিক মিডিয়া দেয়া যাবে কিনা। একই লোককে টেলিভিশন, রেডিও, সংবাদপত্র দেয়া যাবে কিনা। এটা নিয়েও বিতর্ক আছে। তবে সরকারের চিন্তা করার ব্যাপার যে এটা ঠিক কিনা। নীতিমালায় এসব বিষয়গুলি থাকা দরকার। দেয়া না দেয়ার বেলায় বিতর্ক থাকতে পারে। তবে কাউকে এক সঙ্গে টেলিভিশন, রেডিও বা সংবাদপত্র দেয়ার ব্যাপারে যেসব যুক্তি থাকতে পারে তা হল এই মালিক মার্কেট বোঝে, মিডিয়ায় বিনিয়োগ করা বোঝে। আবার না দেয়ার পক্ষে যুক্তি হল, একটা লোকের হাতে ইতোমধ্যে একটা পাওয়ারফুল মিডিয়া আছে। এর মধ্যে তার হাতে আবার একটা মিডিয়া তাকে দেয়া ঠিক হবে কিনা। কেননা শক্তি প্রদর্শনের মাত্রা তাতে বেড়ে যেতে পারে। যুগান্তর এক পত্রিকা দিয়েই সরকারের অবস্থা খারাপ করে ফেলেছিল। আবার টেলিভিশন দেয়া ঠিক হবে কিনা সেটাও প্রশ্নের বিষয়।
এই যে লাইসেন্স প্রাপ্ত নতুন ১১টি চ্যানেল সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে সেগুলো ঝুকিঁর মধ্যে পড়বে কিনা ?

নিশ্চয়ই। নীতিমালার ভিত্তিতে কাজ না হলেই তা ঝুকিঁর মধ্যে পড়বে। এটা শুধু লাইসেন্স এর ক্ষেত্রেই না, মানুষের জীবনের ক্ষেত্রেও। মানুষ যদি যৌক্তিকভাবে কোন সিদ্ধান্ত না নেয় তবে একটা সময় সেটি যুক্তির সামনে দাঁড়ালে তা পরাজিত হবে। একজন সাংবাদিক হিসেবে আমি সংবাদ দেব। আমার হাতে শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া কিংবা এরশাদের সংবাদ আছে। কিন্তু আমিতো লিড করবো একটা। সম্পাদক হিসেবে আমার পূর্ণ দায়িত্ব এবং অধিকার রয়েছে। আমি হয়ত খালেদা জিয়ার সংবাদটা দিলাম, শেখ হাসিনার সংবাদটা লিড করলাম না। আমাকে যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে হবে যে এটা লিড হওয়ার মত সংবাদ। এই কারণে আমি হাসিনা বা খালেদা বা এরশাদের সংবাদটা দিলাম। এই যুক্তি আরেক জনের সঙ্গে নাও মিলতে পারে। কিন্তু যদি আমি এটা যৌক্তিকভাবে না করি, অর্থাৎ আমার কাছে ক্ষমতা আছে, আমি শেখ হাসিনাকে পছন্দ করি। তার সংবাদটা লিড করে দিলাম। ক্ষমতা আছে, আমি খালেদা জিয়ার সংবাদটা ছোট করে দিলাম। তাহলে কিন্তু কোন একটা সময় এসে আমার মিডিয়া হাউজটি ভোগান্তিতে পরবে। চ্যানেল ওয়ান যেমনটা করছে। এজন্য যাই আমরা করিনা কেন তা যৌক্তিকভাবে করতে হবে। কেন ২০০টির মধ্য থেকে ১০টিকে লাইসেন্স দেয়া হল বাকি ১৯০টিকে দেয়া হল না। এই কেন দেয়া হল না। এই কারণ অনুসন্ধান করতে গেলে যেটা দেখা যেতে পারে, যে যোগ্যতার বলে এই ১০টিকে লাইসেন্স দেয়া হল তা অন্যগুলোর নেই। যদি সেই কারণ বলা না হয়, তাহলে তো ধরে নেয়া হয় যে সরকার এদের ওপর খুশি হয়ে লাইসেন্স দিয়েছেন। আর এটা তো এক ধরনের স্বেচ্ছাচার। আমার ক্ষমতা আছে আমি লাইসেন্স দিলাম। আমার ক্ষমতা আছে তাই অন্যদের দিলাম না। নীতিমালা না থাকাতে এই জায়গাগুলিতে সমস্যা তৈরি হয়। সমস্যা তৈরি হয় দুই কারণে: যেহেতু যৌক্তিকভাবে দেয়া হয় না তাই সরকারের পদলেহি ব্যক্তিরাই এখানে আসেন। এবং আজকের যিনি পদলেহি তিনি যে পরবর্তী সরকারের সময়ও পদলেহি থাকবেন তা কিন্তু না। তখনই ঘটবে বিপত্তি। মালিক পক্ষের হয়ত পুজিঁটা নষ্ট হবে। কিন্তু পেশাগত ভাবে যেসব তরুণ, উঠতি বয়সি ছেলে মেয়েরা এই পেশায় আসতে চায় তারা ভয় পাবে। তারা দেখবে যে এটার মালিক আওয়ামী লীগ। তো পরের বার তো আর আওয়ামী লীগ সরকারে থাকবে না। তখন কি হবে। একটা ছেলে বা মেয়ে সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে পাশ করে ৫ বছরের মধ্যে তার জীবন যাপন নির্দিষ্ট হয়ে যায়। ছাত্রজীবন শেষ হয়ে যায়। বিয়ে করে, সংসার হয়। এখন জীবনের ৫ বছরের মাথায়ই যদি আবার ঝুকিঁর মধ্যে পড়তে হয় তাহলে আর সাংবাদিকতায় কেন। তার জন্য মাস্টারি, পুলিশ কিংবা কাস্টমসের চাকুরিই ভাল। শিক্ষিত জনগোষ্ঠী যদি এই পেশায় না আসে তাহলে এই পেশার যে উৎকর্ষ এবং আধুনিক জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। এখন এই তরুণরাই যদি আসতে ভয় পায় তাহলে কারা আসবে। আসবে বিটিভি থেকে যারা অবসর নিয়েছেন তারা। সরকারি চাকুরি থেকে যারা অবসর নিয়েছেন অর্থাৎ যাদের সৃজনশীলতা শেষ তারা। ইতোমধ্যে তারা স্থবির একটা জীবন ধারায়ও চলে এসেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে আসা শিক্ষার্থীর যে উদ্দীপনা আর চাকুরি থেকে অবসর নেয়া একজনের উদ্দিপনা তো আর কখনো এক হবে না। একটা হল নিস্তেজ হয়ে যাওয়া পর্যায় আর আরেকটা হল উঠতি পর্যায়।

উঠতি বয়সি ছেলে-মেয়েরা তো নিজেদের জীবন নিয়ে ভাবে। সাফল্যের জন্য একটা পরিকল্পনা করে। এখন তারা যদি দেখে যে মিডিয়াতে এরকম শঙ্কা বিরাজ করছে অর্থাৎ হুট করেই লাইসেন্স বাতিল হয়ে গেলে তাদের কি হবে। তার জীবনটাই হয়তো ঝুকিঁর মধ্যে পড়লো। তখন তো তারা সেই ঝুকিঁর মধ্যে আসতে চাইবে না। তাদের পরিবারও তাদের আসতে দিবে না।
কিন্তু এ ক্ষেত্রে আইনি সুরক্ষার কোন ব্যবস্থা দেখতে পাওয়া যায় না.......

নীতিমালা না থাকার কারণে এটা হচ্ছে না। যদি সংবাদপত্রের ইতিহাসের কথা ধরি। পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ এই সময় পর্যন্ত প্রত্যেক ৫ বছর পর পর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের যেমন একটা স্কেল হওয়ার কথা তেমনি সাংবাদিকদেরও একটা স্কেল হওয়ার কথা। এখন পর্যন্ত আমাদের স্কেল হয়েছে মাত্র ৭টা। সপ্তম ওয়েজ বোর্ড চলছে। বাংলাদেশের সংবাদপত্রের ইতিহাস যদি ৫০ বছরেরও ধরি তাহলে ১৫ বছর কোন নীতিমালাই ছিল না। আজকে টেলিভিশন যেমন খারাপ অবস্থায় আছে পত্রিকার সাংবাদিকরা তখন ঐ সময় এরকম খারাপ অবস্থায় ছিল। কেননা টেলিভিশনের সাংবাদিকদের জন্যও কোন ওয়েজবোর্ড নেই। অনেক আন্দোলনের পরে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে পত্রিকার সাংবাদিকদের জন্য একটা ওয়েজ বোর্ড হবে। সরকার, মালিকপক্ষ এবং কর্মচারিদের অংশ গ্রহণ থাকবে। সব পত্রিকাতে ওয়েজ বোর্ড মানা হয় কিনা এটা বড় বিষয় নয়। বরং কোন একটা ছেলে বা মেয়ে যখন কোন পত্রিকাতে কাজ নিচ্ছে সে কিন্তু জানতে পারছে যে ঐ পত্রিকা ওয়েজ বোর্ড দেয় কিনা। কিংবা দিলেও কত নম্বর ওয়েজবোর্ড দেয়। তাহলে আমার অবস্থান কি হিসেবে থাকছে। আমি হয়তো জুনিয়র রিপোর্টার। দরকার বোধে ঐ প্রতিষ্ঠানের বইটা খুলে দেখে নিতে পারবো। কিন্তু টেলিভিশনে এটা নাই। এখানে নিয়োগটা হচ্ছে ব্যক্তিগত যোগাযোগের খাতিরে। যাদের ভালো যোগাযোগ আছে তারা ভালো দর কষাকষি করতে পারে। তারা একটু ভালো বেতন পায়। যাদের অভিজ্ঞতা নাই তারা কম বেতন পায়। এই যে পে-স্কেল এর কথা বলা হয় এটা তো বেতন নয়। পে-স্কেলটা হল এক ধরনের চাকুরির শৃঙ্খলা মানা। আমি ১০বছর চাকুরি করার পরে যদি সংবাদপত্রে থাকি তবে ইনসুরেন্স বিল, ছুটিতে কাজ করে থাকলে তার টাকাও যোগ হবে। আবার কোন কোন পত্রিকায় পেনশনও দেয়। প্রফিডেন্ট ফান্ড থাকবে। অর্থাৎ ১০বছর চাকুরি করার পর আমি হয়ত ঐ পত্রিকা থেকে ১০-২০ হাজার টাকা নিয়ে আসতে পারবো। টেলিভিশনেও হয়েছে, যেমন আমি এটিএন থেকে যখন বৈশাখি টিভিতে আসলাম, আমি গাড়ির চাবি বুঝিয়ে দিয়ে চলে আসলাম। আর কিছুই নেইনি। কারণ যেহেতু কোন কাঠামো নাই। যা আমি বেতন পেয়েছি তাই খরচ করেছি। কাজেই সম্প্রচার নীতিমালা যখন হবে তখন ইন্ডাস্ট্রি একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আসবে। আর তা করা হলে এরকম ছোটখাট বিষয়গুলোও তৈরি হবে।

আচ্ছা একটা ব্যাপার একটু বলেন , এই যে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো তাদের তো স্যাটেলাইট ভাড়া নিতে হয়। এক্ষেত্রে কিভাবে আপনারা এটা সম্পন্ন করেন ?

আমাদের স্যাটেলাইট চ্যানেল যতগুলো আছে সবগুলো কিন্তু বাইরে থেকে ভাড়া করতে হয়। প্রতি ৩মাস পরপর আমাদের ভাড়া দিতে হয়। নীতিমালা না থাকায় প্রতিবার ওদের ভাড়া দেওয়ার সময় আসে। আমাদের আবেদন করতে হয় তথ্য মন্ত্রণালয়ে। তথ্য মন্ত্রণালয় আবার পাঠায় বিটিআরসিতে। বিটিআরসি আবার পাঠায় বাংলাদেশ ব্যাংকে। তার পরে অনুমতি মেলে। একটা নীতিমালা হয়ে গেলে, স্যাটেলাইট অনুমতি নিতে চাইলে একবারে লাইসেন্সের সাথে দিয়ে দেয়া হল। মাসে একটা নির্দিষ্ট টাকা ভাড়া বাবদ বাইরে পাঠালেই হবে। নীতিমালা না থাকার কারণে এখন একেক সময় একেক ধরণের ভাড়া গুণতে হয়। সম্প্রচার নীতিমালা হলে ভেতরকার এবং বাইরের সব বিষয়গুলোই একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আসবে। লাইসেন্সিং থেকে শুরু চাকুরি দেয়া পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই একটা কাঠামো থাকবে।
প্রায়ই দেখা যায় কোন জনগুরুত্ব বিষয় মনে হলে সেটি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সরাসরি সম্প্রচার করে। এই বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন ?

এটা একেবারে প্রত্যেক টেলিভিশনের নিজস্ব ইচ্ছা। এক্ষেত্রে আর্থিক সামর্থের বিষয়টিও জড়িত। কেননা লাইভ করতে গেলে কিছু বাড়তি খরচ আছে।

রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যখন সরাসরি সম্প্রচার করা হয় , যেমন ধরেন বিডিআর বিদ্রোহ .......
এটা নীতিমালা তৈরি হলে তার মধ্যে থাকবে হয়তো। তবে আমাদের দেশে টেলিভিশনের সম্প্রচারে ফার্স্ট জেনারেশন চলছে। কারণ যারা নিয়ন্ত্রণ করে তাদের জন্যও নতুন অভিজ্ঞতা। আর যিনি যন্ত্রটা চালান তার অভিজ্ঞতাও নতুন। আবার যিনি মাঠে রিপোর্ট করছেন কার অভিজ্ঞতা ও নতুন। যার ফলে একটা অভিজ্ঞতার ঘাটতির কারণে কখনো কখনো যে বড় ধরনের দুর্যোগ তৈরি হয় না তা নয়। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবার মতই ঘটনা ঘটে। কখনো কখনো কোন বিশেষ গোষ্ঠীর পক্ষে যেমন: বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় প্রথম দিন বিডিআরের পক্ষে আর এরপর সেনাবাহিনীর পক্ষে বিডিআরদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করা হয়। এগুলো হল: খুব যে সম্পাদকীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক হয় তা না। এটা হচ্ছে অনভিজ্ঞতা ও অপরিপক্কতা ফল। বিবিসির মত প্রতিষ্ঠানেরও একটা 'প্রোডিউসারস ম্যানুয়াল'- অর্থাৎর প্রযোজকদের কাজের তালিকা থাকে। এখানে একটা টেলিভিশনের এ থেকে জেড পর্যন্ত একটা টেলিভিশনের লাইভ, স্টুডিও, শব্দ চয়ন, স্ক্রিপ্ট, ছবি, ফুটেজ এসবের নির্দেশনা দেয়া থাকবে। আমাদের চ্যানেলগুলোতে এরকম কোন প্রডিউসারস ম্যানুয়াল নাই। এটা ব্যক্তির ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। হেড অব নিউজের ওপর নির্ভর করে। বার্তা প্রযোজকদের ওপর নির্ভর করে। মালিকের ইচ্ছা ওপর নির্ভর করে। যার ফলে নিয়ন্ত্রণের জন্য নয় বরং পেশাগতভাবে একটা আদর্শ নিয়ম এখানে তৈরি হয়নি। আমি একটা ভিজুয়াল কতখানি দেখাতে পারবো, আমি কি ধরণের শব্দ ব্যবহার করতে পারবো, বাচন ভঙ্গি কেমন হবে, আমার পোষাক কি হবে কারণ লাইভে একেক ঘটনায় একেক ধরণের পোষাক ডিমান্ড করে। মোটা চিন্তা করলে একটা সম্পচার নীতিমালা দরকার আর ইন হাউজ চিন্তা করলে বলা যায় যে একটা প্রডিউসারস ম্যানুয়াল লাগবে। প্রডিউসারস ম্যানুয়াল হল রান্নার এক ধরণের রেসিপির মত। কতটুকু নুন দেব, কতটুকু তেল দেব, কতক্ষণ পানি ফুটাবো ঠিক তেমনি প্রডিউসারস ম্যানুয়ালও হল একটা রেসিপি অব রান অর্ডার ইন টেলিভিশন শো। এবং ইন হাউজ, আউট হাউজ প্রোগ্রাম এসবগুলি এর মধ্যে থাকে। এটা সারা পৃথিবী জুড়েই আছে। কিন্তু আমাদের দেশে এটা হয় নাই। আমাদের দেশে বহু পত্রিকারই এখনো স্টাইল বুক নাই। একেক রিপোর্টার একেক রকম লেখে। এবং একেক রকম ছাপা হয়। তো সেই ঘাটতিগুলো তো আমাদের আছে। টেলিভিশনের আরো বড় ঘাটতি আছে। দেখা যায় লোগো যদি টেলিভিশনগুলোর না থাকতো তবে বোঝাই যেত না যে কোনটা কোন টেলিভিশন।

এই সরাসরি সম্প্রচারের ক্ষেত্রে একজন সাংবাদিক কিভাবে নিজেকে প্রস্তুত করবেন ?

একজন রিপোর্টার যদি না জানেন যে কি ঘটনা ঘটছে তাহলে তার লাইভে যাওয়ার ঝুকিঁ নেয়া উচিত নয়। প্রথম যোগ্যতা হল তাকে সবার আগে জানতে হবে যে সে কোথায় যাচ্ছে? যেমন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩ আগস্ট যে ছাত্র বিক্ষোভ ঘটে গেছে এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেশের অবস্থা কি তা যদি সে না জানে তবে তার পক্ষে এ বিষয় নিয়ে লাইভ দেয়া সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যখন থাকবে তখন সমূহ সম্ভাবনা থাকবে ছাত্রদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার। আবার বাইরে যখন সে আসবে তখন সেনা শাসন চলছিল, তখন আবার তার মধ্যে ছাত্রদের বিরোধী একটা মনোভাব তৈরি হবে। সে যদি বিষয়টা বোঝে তাহলে তার পরিমিতি বোধটা থাকবে।

লাইভ রিপোর্টিংয়ে বা লাইভ কোন অনুষ্ঠানে তা স্টুডিওতে হোক বা স্টুডিওর বাইরে হোক, যিনিই মাইক্রোফোনের সামনে থাকবে তার প্রচুর পরিমাণ শব্দ জানা থাকতে হবে। তার অনেক ভাষায় দখল থাকতে হবে। শব্দ ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। চাইলেই অনর্গল কথা বলতে পারলে হবে না। একটা স্পর্শকাতর কথা, টু দি পয়েন্ট কথা এবং কথগুলির শব্দ চয়ন যেমন ধরা যাক আবদুর মান্নান ভূঁইয়া এবং আবদুল জলিলের সংলাপ চলছিল। তখন একজন খুব বিখ্যাত সাংবাদিক লাইভে ছিলেন। সংলাপটা আমরা দেখছিলাম লাইভে। আমরা দেখার পরে যিনি সংবাদ উপস্থাপক তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন আপনার কি মনে হয়? তো আমি বললাম, তাদের বডি ল্যাংগুয়েজ দেখে যেটা বোঝ যাচ্ছে, তারা যেভাবে বেড়িয়ে গেলেন তাতে মনে হচ্ছে আলোচনা সফল হয়নি। এটা খুব সাধারণ জ্ঞান। সফল হলে দু'জন হাসতে হাসতে বেড়িয়ে আসবেন। বোঝা যাবে সব ঠিক হয়ে গেছে। তারা দুজন বের হয়ে মিডিয়ার সামনে আসতে চাইলেন না। একটা পর্যায় রিপোর্টার আসলো বাইরে থেকে। রিপোর্টারকে যখন প্রেজেন্টার জিজ্ঞেস করলো যে আলোচনার কি ফলাফল? বললো যে আলোচনা ভেঙ্গে গেছে। এবং দুই নেতা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলে চোরের মত পালিয়ে গেছে। এই রিপোর্টার হয়তো গুরুত্বটা বোঝাতে চাইছে, যে দুই নেতার আলোচনা এমনভাবে ভেঙ্গে গেছে যে তারা মিডিয়ার মুখোমুখিই হতে চাচ্ছেন না। কিন্তু প্রকৃত শব্দটা তার মধ্যে নাই। সে এজন্য চোরের মতো শব্দটা ব্যবহার করলো।

এটাতো এক ধরণের লাইবেলের মধ্যে পরে .........

লাইবেল তো হয়েছেই। আমি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান থাকায় আমাকে মাফ চাইতে হয়েছে। রিপোর্টারকে নিয়ে এসে সেই মহাসচিবদের বাসায় গিয়ে ক্ষমা চাইতে হয়েছে। হাত জোর করে মাফ চাইতে হয়েছে। আনকন্ডিশনাললি মাফ চাইতে হয়েছে। তারপরও তারা বলে যে তাদের নেতা-কর্মীরা এটা মানবেন না। কর্মীরা ব্যবস্থা নেবে। কত জায়গায় যে মাফ চাইতে হয়েছে। এক জায়গায় নয়। এডিটরিয়াল বোর্ডকেও মাফ চাইতে হয়েছে। এবং যত অকেশনে দেখা হয়েছে তত আমাকে কথা শুনতে হয়েছে। কাজেই রিপোর্টারের একটা আবেগ বা উত্তেজনা থাকবে। রিপোর্টার উত্তেজিতও হবেন। কিন্তু তা প্রকাশ করা যাবে না। কাজেই লাইভে যাওয়ার আগে তার মনে রাখতে হবে সে কোথায় যাচ্ছে। এর পেছনের ঘটনা কি। কি বলতে হবে। এরপর হল সে কাদের সঙ্গে দেখা করছে। এখন একজন বিদেশীর সঙ্গে কথা বলার সময় সে যদি ইংরেজি না জানে যেমন: ধরা যাক গ্রামীন ভবনে আগুন লেগে গেছে। এখন গিয়ে হয়তো কথা বলা লাগতে পারে সেখানকার সিইও' র সঙ্গে। সিইও হল বিদেশী লোক। এখন আমি যদি ইংরেজিতে কথা বলতে না পারি তাহলে তো আমাকে লাইভে পাঠানোর কোন মানে হল না। তৃতীয় বিষয়টি হল তার শরীরের ভাষা, মুখের ভাষা সবই পরিমিত হতে হবে। সে যদি বলে দেয় যে এই লোকটিই চোর। সেজন্যই তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এরকম যদি আঙুল উঁচিয়ে বলতে থাকে। তাহলেও তো সেও কোন একটা পক্ষ নিয়ে কথা বললো। কাজেই এই পূর্ব প্রস্তুতিগুলো থাকা দরকার। এসব প্রস্তুতি ছাড়া লাইভে যাওয়া ঠিক হবে না। আরেকটি বিষয় এখানে খেয়াল রাখতে হবে যে এটি কত সময় ধরে হচ্ছে। যদি এখানে ৬ বা ৮ঘন্টা লেগে যায় তবে সেখানে অন্য লোক পাঠাতে হবে।
এবার মিডিয়া মালিকানার প্রসঙ্গে আসি। বেসরকারি টিভি চ্যানেলেগুলোতে মালিকানা র প্রভাব আসলে কেমন ?

একটা হচ্ছে যে, আমি যদি ইতিহাস থেকেই বলি তাহলে মালিকানার প্রভাব আছে। আমরা যদি এই অঞ্চলের মিডিয়ার ইতিহাস দেখি তাহলে দেখা যাবে যে, এটি হল- By product of the political activist. মুসলিম লীগের পক্ষে আজাদ আবার ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনে হিকির গেজেট, পাকিস্তানের পক্ষে অবজারভার, পূর্ব দেশ, বামপন্থীদের পক্ষে ছিল সংবাদ, আওয়ামী লীগের পক্ষে ইত্তেফাক। যার ফলে, মালিকানার প্রভাব থাকবে এটা জেনেই আমরা পত্রিকা পড়তাম। এটার মধ্যে বোন রাখঢাক ছিল না। আর এ রাখঢাক রাখার কোন কারণ ও নেই। কেননা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই পত্রিকা বের করা হত। ইংরেজদের বিরুদ্ধে পত্রিকা বের করলে সেটি তো আর তাদের উদ্দেশ্য পূরণ করবে না। সারা বিশ্বেই পত্রিকা যখন ইন্ডাস্ট্রি হতে লাগলো, যখন পুঁজি আসতে লাগলো, ইন্ডাস্ট্রি শর্ত পূরণ করতে লাগলো, তখন একটা ধারণা ছিল যে এখন মালিকদের প্রভাব থাকবে না। কিন্তু দেখা গেল আমাদের মত ছোট দেশে যেটা ভারতের নাই, আমরা এখান থেকে বের হতে পারলাম না। মালিকের একটা প্রভাব বড় রকম ভাবে থাকলো। মিডিয়াকে ব্যবহার করে তার অন্য ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখার জন্য। এটা তারা একদম নগ্নভাবে ব্যবহার করে। আবার আধেয় নির্ধারণের বেলায়ও তারা তাদের মতামত দেয়। তার অন্য ব্যবসার জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে বা তার ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যা তৈরি করতে পারে এমন কোন আধেয় তারা মেনে নেয় না। আর যদি নেয়ও তবে সেক্ষেত্রেও অন্য কারো সঙ্গে শত্রুতা সেটা ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িকও হতে পারে। অর্থাৎ হ্যা এবং না এই ক্ষেত্রেই তাদের উদ্দেশ্য থাকে। এটা সারা পৃথিবীতেই আছে। অরাজক একটা অবস্থা থেকে যখন একটা শৃঙ্খলার পর্যায়ে যায় তখন এটা থাকে না। মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে গড়ে উঠতে গিয়ে বিনিযোগ যখন আসলো, প্রযুক্তি আসলো, মুনাফা অর্জন মূল লক্ষ্য হল, লোক নিয়োগের বেলায় যখন ক্ল্যাসিক্যাল সিদ্ধান্ত নেয়া হল তখন এটা পরিবর্তন হতে লাগলো। কিন্তু বাংলাদেশে এটা হয় নাই। বাংলাদেশে নতুন পুঁজি বিনিয়োগের সঙ্গে সঙ্গে একটা নতুন ধরণের মালিকানা তৈরি হল। কি টেলিভিশন কি পত্রিকা কোথাও মালিকানার প্রভাব মুক্ত নয়।

তাহলে বেসরকারি চ্যানেলগুলোর মান , পেশাদারিত্ব কিংবা ভবিষ্যৎ গন্তব্য এখন আসলে কোথায় যাচ্ছে ?

এটা একটা বড় বিতর্ক যে মিডিয়া কি জন এজেন্ডাকে তুলে ধরে নাকি নিজের এজেন্ডাকে তুলে ধরছে। এটার কোন সমাধান এখনো পর্যন্ত নাই। এটার দুই পক্ষেই যুক্তি আছে। মিডিয়া যখন বলে, বদলে যাও বদলে দাও, তখন কেউই তাদের জিজ্ঞেস করে না কেন এটা করছে। কেন আমাকে বদলে দিবে এ প্রশ্ন কেউ করে না।

আবার বলে সব কিছু বদলাতে নেই। কাজেই এটা একটা বড় বিতর্ক যে জন আকাঙ্খার মত করে মিডিয়া পরিচালিত হয় কিনা? এক কথায় কোন জবাব নেই যে, হ্যা পরিচালিত হয়। তবে একটা ধারণা করা হয় যে, মিডিয়াই একটা প্লাটফর্ম যেখানে জন আকাঙ্খা অন্য সব জায়গার চাইতে বেশি হয়। এবং যে প্রতিষ্ঠান জন আকাঙ্খাকে যত বেশি তুলে ধরতে পারে, সেই প্রতিষ্ঠান তত বেশি জনপ্রিয় হয়। আমি আমার আকাঙ্খা বারবার তুলে ধরলাম কিন্তু জন আকাঙ্খার বিষয়টি আসলো না তখন কিন্তু ঐ পত্রিকার সার্কুলেশন বাড়বে না। আর সেই পত্রিকার সার্কুলেশন কিংবা সেই টেলিভিশনের দর্শক বাড়বে যখন জনগণ দেখবে যে তিনি যেভাবে চাচ্ছেন চ্যানেল বা মিডিয়াগুলো তাই দেখাচ্ছে। আমি যদি বলি যে বাজার দর বাড়ে নাই, কিন্তু প্রকৃত অর্থেই বেড়েছে তখন সেই পত্রিকা বা টেলিভিশনের পাঠক বা দর্শক সংখ্যা কমে যাবে। যেমন: বাংলাদেশ টেলিভিশনের যে দশা। এর জন্য একটা বাস্তবিক জন আকাঙ্
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:০৫
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×