ইদানিং অনলাইনে একটি বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে সেটি হলো সীম কোম্পানিগুলো যদি আমাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিদেশে বিক্রি করে দেয় তাহলে হয়তো আমেরিকা বা অন্যকোথায় কোন বোমায় যদি আমাদের সেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেখা যায় তাহলে কেমন হবে ইত্যাদি। এ ব্যপারে আমার কিছু যুক্তি নিম্নরূপ:
১. আমরা যারা বাঙালী তারা সবসময় হুজুগে ছিলাম
২. ফিঙ্গারপ্রিন্টি সিম কোম্পনি গুলো আগে থেকেই সিম নিবন্ধন করার জন্যে নিচ্ছে এটা বায়োমেট্রিক ব্যবস্থার অনেক আগেই চলছে।
৩. কাউকে গুলি করে মারা কিংবা বোমা কিংবা অন্য যে কোন কিছুই যদি শুধু বৃদ্ধাঙ্গুলে করা যেত তাহলে বাকী আঙ্গুল গুলো কোন দরকারই ছিল না...মানে শুধু বৃদ্ধাঙ্গুলের ছাপে বোমারু কিংবা শুটার প্রমান হয় না.... পুরো হাত এবং আঙুলের ছাপ দরকার.....।
৪. আমরা জানি সরকার বিরোধী দলের উপর ক্ষ্যাপা.... তারা শিবির ছাত্রদল তথা অন্যদের ফাসানোর জন্যে ও তো ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করতে পারে তাহলে এখন সরকারকে বিশ্বাস করি কিভাবে।
৫. ফিঙারপ্রিন্টের কপি যদি যে কোন জায়গায় বসিয়ে দেয়া যায় তাহলে যে কারো ফ্রিঙার প্রিন্ট সংগ্রহ করা খুব কঠিন কিছু নয় যেমন আপনি আপনার বন্ধুকে রেস্তোরায় কফি খাওয়ালেন তারপর কফিকাপ থেকে আঙুলের ছাপটি প্রসেস করে নিলেন তারপর তাকে ফাসিয়ে দিলেন....এমন গল্প এ পর্যন্ত হলিউড বলিউড কিংবা কল্পকাহীনিতে কখনো দেখিনি শুনিনি।
৬. বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন না হওয়া সীম গুলো বন্ধ করে দিলে যে সকল উপকার হবে
--- মোবাইলে হুমকি দেয়া বন্ধ হয়ে যাবে
---কিডনাপিং করে টাকা দাবী করা কঠিন হয়ে যাবে
---জিনের বাদশা সেজে লোক ঠকানো বন্ধ হয়ে যাবে
---একটা সময়ে ফেইক ফেবু আইডি খোলা কঠিন হয়ে যাবে
---ফেইক নামে সীম নিবন্ধন ও ক্রয় বন্ধ হয়ে যাবে
---সীম কোম্পনিগুলো অযথা ছাড়ে সীম বিক্রি করবে না যার ফলে নানা রূপ সমস্যা কমে আসবে
ইত্যাদি আরোও অনেক.......
আমার ধারণার বিপক্ষে কারো জোড়ালো যুক্তি থাকলে বলুন কেননা শেখার শেষ নেই
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৫