হাসিখুশি, উচ্ছ্বল এই ছেলেটির নাম তরিকুল ইসলাম তোহা। ডাক নাম প্রিন্স। বয়স মাত্র সতেরো। খুব সাধারণ একটা অপারেশনের জন্যে তাকে খিদমাহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পিত্তথলির অপারেশন ছিলো সেটা। কিন্তু অপারেশন করতে গিয়ে ডাক্তার তার খাদ্যনালী কেটে ফেলে। ফলে অবর্ণনীয় যন্ত্রণা সহ্য করে মৃত্যুবরণ করতে হয় তাকে। তোহা আমার সহকর্মী এবং ছোট ভাই মোহাম্মদ রাসেল সনেটের ভাগ্নে ছিলো। তার জবানীতে পড়ুন, কীভাবে একটা তাজা প্রাণকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়।
"পেট ব্যথা নিয়ে তরিকুল ইসলাম তোহাকে (১৭) (ডাক নাম প্রিন্স) গত ১৪ ডিসেম্বর ২০২১ খিদমাহ হাসপাতালের ডঃ জাহাঙ্গীর কবীরকে দেখানো হয়। সেই প্রেক্ষিতে উনি কিছু টেস্ট করাতে বলেন । তাঁর পরামর্শ মোতাবেক আমরা টেস্টগুলো করাই। টেস্টের রিপোর্ট দেখে উনি নিশ্চিত হন ওর পিত্তথলিতে পাথর হয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে উনি ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে ল্যাপ্রোস্কোপি করানোর পরামর্শ দেন। আমরা ১৮ তারিখে ভর্তি না করে তাঁর সাথে কথা বলে পরবর্তী দিন অর্থাৎ ১৯ ডিসেম্বর তারিখে খিদমাহ হাসপাতালে ভর্তি করাই। যার বেড নম্বর ৮০৩ এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৩৫৩।
১৯ তারিখে ভর্তি করানোর পর দুপুরের দিকে তাঁর বুক হতে তলপেট পর্যন্ত হেয়ার রিমুভ করা হয় অপারেশনের প্রস্তুতি হিসেবে। এবং আমরা দেখতে পাই সারা পেট জুড়ে ব্লেডের আঁচর। অর্থাৎ যিনি কাজটা করেছেন তিনি হয় দক্ষ নন অথবা খুব বেশি গুরুত্বের সাথে কাজটা করে নি। আমরা সেখানে ডিউটি ডাক্তারকে বিষয়টা এনে দেখাই এবং সেখানকার কর্তব্যরত ব্রাদারদেরকেও দেখাই। তারা খুব বেশি গুরুত্ব দেন নি বিষয়টি।
যাই হোক। ডাক্তার বলেছিল রাত ৯ টা ৩০ মিনিটে ওর অপারেশন করবে। কিন্তু ডাক্তার তাঁর চেম্বারে রুগী দেখায় ব্যস্ত বিধায় প্রিন্সকে অপারেশন থিয়েটারে ঢুকানো হয় রাত ১১টার দিকে। আমরা (প্রিন্সের মা, বাবা, মামা, খালা) বাইরে থাকায় দেখতে পাই ডাক্তার আনুমানিক ১১টা ১৫ এর দিকে অপারেশন করাতে আসে। উনি এসে খাওয়াদাওয়া করেন প্রথমে। এরপর আমরা ডাক্তারের সাথে অপারেশনের পূর্বে দেখা করতে চাইলে তারা খুব বেশি আগ্রহ দেখান না। তারপরেও আমরা জোরাজুরি করলে ডাক্তারের সাথে কথা বলতে দেন। এবং তরিকুলের আম্মু ডাক্তারের সাথে কথা বলতে যান। তখন ডাক্তার বলেন কথা বলার কিছু নেই আপনার বাইরে থেকে আল্লাহকে ডাকেন, এটা সিম্পল অপারেশন।
সর্বোচ্চ ২০-২৫ মিনিট হবে এরই মধ্যে উনি একটা ট্রে-তে করে পিত্তথলিটা এনে আমাদের দেখান এবং আমরা দেখতে পাই সেখানে অনেক পাথর আছে।
অপারেশনের পরে রাতে ওকে আবার বেডে ট্রান্সফার করা হয়। এখানে লক্ষণীয় অপারেশনের পর থেকেই ও বেশ অস্বস্তিতে ছিল। কিন্তু ডিউটি ডাক্তার এবং অন্যরা আমাদের বলেন এই অপারেশনে এই রকম একটু হয়। রাতে প্রিন্সের প্রস্রাব হচ্ছিলো না। তাই ওকে ক্যাথেটার করে দেয়া হয় এবং আমরা দেখি ওর প্রস্রাব বেশ লাল।
পরের দিন অর্থাৎ ২০ ডিসেম্বর তারিখে ডাক্তার এবং ব্রাদাররা বলে ওকে বেশি বেশি লিকুইড খাবার দিতে এবং কষ্ট হলেও হাটাতে। আমরা তাঁদের পরামর্শ মোতাবেক প্রিন্সের কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও ধরে ধরে হাটাতে চেষ্টা করি। হাসপাতাল থেকে আমাদের বলা হয় এই ধরনের অপারেশনে আমরা রোগীকে এক রাতই রাখি। তারপর তারা বাড়ি ফিরে যেতে পারে। আমরা তখন তাঁদের বলি ও তো ভালো ফিল করছে না। বেশ ঘামছিলো। আমরা চাচ্ছিলাম যদি ওকে আরো একদিন হাসপাতালে রাখাতে হয় তবে আমরা রাখতে প্রস্তুত আছে। কিন্তু তারা আমাদের বলে আসলে হাসপাতালে থাকলে আপনাদের শুধু শুধুই বেড ভাড়া দিতে হবে। এবং দুপুর ১২ টা ওভার হলেই আমাদের আরো এক দিনের বেড ভাড়া দিতে হবে। কিন্তু আমরা কনফিডেন্স পাচ্ছিলাম না এবং আমরা বলছিলাম আমরা আরো কিছুক্ষণ থাকতে চাই। তখন তারা বলে আমরা ১২টার সময় দিতে ডিসচার্জ করে দিচ্ছি, আপনারা এইখানে রোগী না আসলে আরো কিছুক্ষণ থাকতে পারেন। এরপর আমরা ৩টার কিছু আগে হাসপাতাল থেকে বের হই এবং প্রিন্সকে তাঁর মুগদার বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
যতই সময় যাচ্ছিলো প্রিন্সের অস্বস্তি যেনো বাড়ছিল। সারা রাত প্রিন্স প্রচুর ঘা্মে। ওইদিন রাতে ৩টার (অর্থাৎ ২১ তারিখ) বড় বোন (প্রিন্সের আম্মু) আমাকে ফোন দিয়ে জানায় প্রিন্স প্রচন্ড ঘামছে। আমি প্রেসার মাপতে বলি। কিন্তু ঘরে প্রেসার মাপার মেশিন না থাকায় সম্ভব হয় নি।
২১ তারিখ সকাল থেকে আমরা প্রিন্সকে বিভিন্ন ধরনের লিকুইড খাবার খাওয়াতে চেষ্টা করছিলাম এবং হাঁটাতে চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ওর শরীরটা যেনো ভালো যাচ্ছিলো না। প্রিন্সের আম্মু ফার্মেসি থেকে একজনকে অনেক রিকোয়েস্ট করার পর বাসায় এসে প্রেসার মাপে এবং দেখতে পায় ওর প্রেসার বেশ কম ৭০/৪০ এই রকম কিছু। তখন আমরা খিদমাহ হাসপাতালে কল করে জানাই। তারা তখন বলে আশেপাশের কোন একটা হাসপাতালে নিয়ে যেতে তখন প্রিন্সের আম্মু ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে কল করলে ওখান থেকে বলা হয় যেখানে ওপারেশন করিয়েছেন সেখানেই নিয়ে যেতে। তখন আবার খিদমাহ হাসপাতালে কল করে রিকুয়েস্ট করা হলে তারা ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যেতে বলেন। ততক্ষণে বিকেল হয়ে গেছে। ইমার্জেন্সিতে নিয়ে গেলে ওনারা জানায় ও শকে চলে গেছে। এবং তখন ওরা স্যালাইন ও ইনজেকশন দেয়। ২ লিটার সেলাইন দেয়ার পর প্রেসার কিছুটা বাড়ে। কিন্তু প্রিন্সের অস্বস্তি যেনো কমছিলো না। ও পানি খেতে চাচ্ছিলো কিন্তু পানি বা অন্য কোন লিকুইড মুখে দিলে বমির উদ্রেক হচ্ছিলো।
আমরা প্রিন্সকে ভর্তি করাই ২১ তারিখ বিকাল ৫ টা ১০ মিনিটে যার বেড নম্বর ৭০২ এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৪০০। তখন ডাঃ জাহাঙ্গির কবিরকে হাসপাতাল থেকে ইনফর্ম করা হয়। কিন্তু ডাক্তার প্রিন্সকে যখন দেখতে আসেন তখন রাত প্রাউ ১১ টা ১৫ বাজে। উনি সাথে ডিউটি ডাক্তারকে নিয়ে আসেন। ততোক্ষণে প্রিন্সের পেট বেশ খানিকটা ফুলে গেছে।
ডাক্তার এসে আমাদের বলেন আমরা কেনো বাসায় চলে গিয়েছি। তখন আমরা বলি হাসপাতাল থেকেই তো বলা হয়েছিলো আপনার সাথে কথা হয়েছে এবং তাঁদের পরামর্শেই আমরা বাসায় চলে গেছি। তখন তিনি ইতস্তত করে বলেন ওর বয়স কম তো তাই আমরা ছেড়ে দিয়েছে।
যাই হোক উনি এসে আমাদের সাথে এর বেশি কথা বলেন নি। ডিউটি ডাক্তারকে শুনলাম বললো একটা আল্ট্রা করাতে। এবং আরো একটি সেলাইন দিয়ে দিতে বললো। এবং তিনি চলে গেলেন। আমরা ডিউটি ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করলাম আল্ট্রা কখন করাবেন তখন তারা জানালো এখন আল্ট্রা হবে না, বন্ধ হয়ে গেছে আগামীকাল করানো হবে। ডাক্তার চলে যাওয়ার আধাঘন্টা পরে অর্থাৎ রাত ১২ টার দিকে ডিউটি ডাক্তার প্রিন্সের আম্মুকে ডেকে বলেন, “আপনাদের যদি সামর্থ থাকে তাহলে ওকে আই সি ইউ ফেসিলিটি আছে এমন হাসপাতালে ভর্তি করাতে”! আমরা অবাক হয়ে যাই। আমরা তখন বলি ডাক্তার তো কিছু বললেন না। আর আপনি এখন এই কথা কেনো বলেছেন। আমরা তখন ডাক্তারের সাথে কথা বলতে চাই। আমাদের জানানো হয় উনি চলে গেছেন এখন আর তাঁর সাথে কথা বলা সম্ভব না। উনি আমাদের আরো বলেন যদি আমাদের সামর্থ্য না থাকে তাহলে যেনো এখানেই রেখে আল্লাহ্কে ডাকতে থাকি।
আমরা প্রিন্সকে নিয়ে চিন্তিত ছিলাম, আমাদের মাথায় ছিল প্রিন্সকে সুস্থ করতে হবে। আমরা ডিউটি ডাক্তারকে বলি তাহলে আমাদের ভালো একটা হাসপাতালে রেফার করে দিতে। উনি আমাদের ঢাকা মেডিকেলে রেফার করেন। আমরা জানতাম ঢাকা মেডিকেলে গেলে হয়তো চিকিৎসা পেতে আরো দেরি হবে। তাই আমরা ডাক্তারের সাথে কথা না বাড়িয়ে জরুরী ভিত্তিতে শ্যামলি বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে রাত আনুমানিক ১ টা ৩০ এর(তখন ২২ তারিখ) দিকে নিয়ে যাই। প্রিন্স তখনো ব্যথায় কাতরাচ্ছে। আমাকে শুধু একবার জিজ্ঞাসা করেছিলো "মামা আর কতদূর!"
আমরা বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ইমার্জেন্সিতে নেয়ার পর ওনারা ওকে প্রাথমিক চিকিতসা দেন এবং ডাঃ মোঃ শাহরিয়ার ফয়সালের আন্ডারে ভর্তি নেন। ইমার্জেন্সিতে থাকা সময়টাতে প্রিন্স বার বার পানি খেতে চাচ্ছিলো কিন্তু ওনারা বলছিলো ওকে পানি দেয়া যাবে না। ঐদিন রাতেই ডাক্তারের পরামর্শে প্রিন্সকে এইচডিইউ তে ট্রান্সফার করা হয়, এবং রাতেই বেশ কিছু টেস্ট করা হয় এবং আর অনেক টেস্ট করার জন্য স্যাম্পল নেয়া হয়।
২২ তারিখ আমাদের জানানো হয় প্রিন্সের পেটে প্রচুর পরিমানে লিকুইড জমা হওয়ায় আল্ট্রাতে কিছুই বুঝা যাচ্ছে না যে ভিতরকার কী পরিস্থিতি। তাই তারা একটা অপারেশনের মাধ্যমে পেটের পানি আগে পরিস্কার করতে চাচ্ছে। আমরা তাতে সম্মত হই এবং অপারেশনের অনুমতি দেই। ঐদিনই বিকালের পর পর ওর অপারেশন করা হয় এবং ডাক্তার জানায় প্রায় ৮ লিটার পানি জমা হয়েছে প্রিন্সের পেটে এবং তখন আরো একটি আশ্চর্যজনক সংবাদ আমরা পাই ওর পেটের পানির সাথে নাকি খাবার পাওয়া গেছে। তাঁর মানে ওর খাদ্যনালীতে কোন ছিদ্র আছে। তখন আমরা প্রথম বুঝতে পারি অপারেশনের সময় ডাক্তার খাদ্যনালী হয়তো কেটে ফেলেছে। (যেহেতু আপারেশনের আগের আল্ট্রা সহ বিভিন্ন টেস্ট নরমাল ছিল এবং সেগুলো আমাদের হাতেই আছে)
স্পেশালাইজডে আমাদের বলা হয় ল্যাপ্রোস্কোপির যে ছিদ্র সেটা দিয়ে তারা ভিতরের পানি বেড় করে পরিস্কার করে দিয়েছে। কিন্তু যেহেতু ওপেন করা হয় নি তাই ওই ছিদ্র দিয়ে আসলে খাদ্যনালির কোথায় ছিদ্র হয়েছে তা সনাক্ত করা সম্ভব হয় নি।
ওনারা আমাদের বলেন আপাতত প্রিন্সকে আই সি ইউ তে ট্রান্সফার করা হবে এবং ২/৩ দিন কোন খাবার না দিয়ে পর্যবেক্ষনে রাখা হবে যদি আস্তে আস্তে ক্ষত রিকভার করে তাহলে আলহামদুলিল্লাহ্, নয়তো শরীর আর একটু স্ট্যাবল হলে ওপেন করে ছিদ্র শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরমধ্যে প্রিন্সকে আই সি ইউ তে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের টেস্ট দেয়া হচ্ছিল, এক্সরে করানো হচ্ছিল, বিভিন্ন ধরণের মেডিসিন দেয়া হচ্ছিলো কিন্তু প্রিন্স যেনো কিছুতেই ইম্প্রুভ করছিলো না। ডাক্তাররা আমাদের বলে খাদ্যনালী থেকে জীবাণু বের হয়ে ওর বিভিন্ন অর্গান ইনফেকটেড হয়ে গেছে। এর মধ্যে ওর জ্বরটাও কমছিলো না। হার্টবিটও স্বাভাবিক ছিল না। এভাবে করেই কেটে গেলো ৫ দিন। ২৬ তারিখে আমাদের জানানো হলো প্রিন্সের বয়স যেহেতু কম তারা একটা শেষ চেষ্টা করে দেখতে চায় ওকে বাঁচানো যায় কিনা। তখন সিনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে একটা বোর্ড গঠন করে সিদ্ধান্ত নেয় ওপেন করবে। আমরা অনুমতি দেই।
২৭ তারিখ বিকাল ৩টায় প্রিন্সকে অপারেশনে ঢুকানো হয় ৫টা ৩০ এর কিছু আগে অপারেশন সম্পন্ন হয়। বের করার পর থেকেই প্রিন্সের হার্টবিট স্বাভাবিক ছিল না। রাতে ওর জ্বর যেনো বেড়েই যাচ্ছিলো। সকাল আনুমানিক ৮ টা ৩০ এর দিকে ফোন করা হয় আমাকে হাসপাতাল থেকে। আমি হাসপাতালে গেলে আমাকে ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে বলা হয় এখানে নাম ঠিকানা ঠিক আছে কিনা সেটা দেখে দিতে। আমি বুঝতে পারছিলাম না ডাক্তার কী বলছে। আমাকে বলা হয় কাল থেকেই ওর জ্বর অনেক বেড়ে যায় এবং সেটা ১০৮ নাকি উঠে যায়। যেখানে ১০৫ এ উঠলেই নাকি ওনারা আশা ছেড়ে দেন। ডেথ সার্টিফিকেট এর তথ্য মোতাবেক প্রিন্স ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টা ২৭ মিনিটে মারা যায়।"
অতি সাধারণ একটা অপারেশন, যে এভাবে মৃত্যুফাঁদে পরিণত হবে কে জানতো? আর এর জন্যে দায়ী কে? খাদ্যনালী ছিদ্র হলো কেন? কেন তোহা মরার সময় এক গ্লাস পানিও খেতে পারলো না? এমন ভয়ংকর মৃত্যু যেন কারো শত্রুরও না হয়। এমন অবহেলা যেন কাউকে সহ্য করতে না হয়!
ডাঃ জাহাঙ্গীর কবীর, কেন এভাবে অনায়াস অবহেলায় কেড়ে নিলেন একটা জীবনকে? এত সস্তা আপনাদের কাছে এই জীবন-মরণ খেলা? কী করলে আপনারা জীবনের মূল্য বুঝবেন?
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:১৪