somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভালোবাসার হিসাব নিকাশ +/-/%

২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ প্রায় তিন বছর ধরে আমাদের আশেপাশের মানুষ দের ভালোবাসা দেখে অনেক তথ্য বের করলাম।
আজ কিছু তথ্য আপনাদের জানাই তা হল;-

এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে
যারা ভালোবাসে তাদের মধ্যে........

১০০% মেয়েদের মধ্যে ৮০%মেয়েরা প্রথম যাকে পছন্দ করে সেটাই তাদের সত্যিকার ভালোবাসা। আর বাকি ২০% মেয়ে ভালোবাসা নামক কথা দিয়ে খেলা খেলে, ছলনা করে।

আর ছেলেদের ক্ষেত্ররে ১০০% ছেলেদের মধ্যে মাত্র ৩০% ছেলে প্রথম যাকে পছন্দ করে সেটাই তাদের সত্যিকার ভালোবাসা। আর বাকী ৭০% ছেলে রা ভালোবাসা নামক কথা দিয়ে খেলা খেলে, ছলনা করে।

এবং ৭০% সত্যিকার ভালোবাসার মেয়েরা ৭০% ছেলেদের ছলনাময় ভালোবাসার স্বীকার হয় যার পরিনাম ছ্যাকা।
সাথে ২০% সত্যিকার ভালোবাসার ছেলেরা ২০% মেয়েদের ছলনাময় ভালোবাসার স্বীকার হয় যার পরিনাম ছ্যাকা।

আর বাকী ১০% ছেলে এবং মেয়ে এদের ভালোবাসা সত্যি হয়, পবিত্র থাকে, স্বার্থক হয় এবং এদের ভালোবাসা (True love) সত্যিকার ভালোবাসা।

এমন ও হতে পারে আপনি সেই ১০% ভালোবাসার মানুষদের মধ্যে সৌভাগ্যবান কেউ???
আবার এমন ও হতে পারে আপনি ৭০% অথবা ২০% ছলনাময় ভালোবাসার স্বীকার।

আরেকটি তথ্য জানিয়ে রাখি কোন ছেলে মেয়ে যখন ভালোবাসা নামক সর্ম্পকে জড়ায় তখন প্রথম ৪-৬ মাস অনেক মধুর সময় পার করে। কিন্তু ১ বছরের মাথায় অনেক ভালোবাসার ফাটল ধরে। আর আমি যতটুকু শুনেছি কোন মানুষের প্রতি যদি ভালোলাগা কাজ করে তাহলে সেই ভালোলাগা খুব বেশী হলে ২ বছর ৬ মাস কাজ করে,এর আগেই ভালো লাগা কমতে থাকে। তারপর থেকে তার প্রতি আর ভালোলাগা কাজ করে না এবং এই সমস্যা টায় বেশির ভাগ সময় মেয়েদের থেকে ছেলেরা বেশি ভুগে থাকে। আর এই ভালো লাগা মোহ থেকে ভালোবাসার সৃষ্টি। মোহটা কেটে গেলে ''আমি তোমাকে ভালোবাসি'' এই কথা টা আর শুনা যায় না.........। যার ফলে পরিনাম কী বুঝতে পারছেন তো???

তাই আপনি ভেবে দেখুন আপনি যাকে ভালোবাসেন বা মোহতে পড়ে ভালোবাসছেন না কি তা সত্যিকার ভালোবাসা।

কাউকে ভালোবাসার প্রস্তাব দেওয়ার আগে দ্বিতীয় বার ভাবুন, আপনার অবস্থান নিয়ে ভাবুন, আপনার যোগ্যতা নিয়ে ভাবুন। যাকে আপনি ভালোবাস তে যাচ্ছেন সে আপনার কতটুকু যোগ্য। আপনার বাস্তবতা নিয়ে ভাবুন,আপনার পরিবার কে নিয়ে ভাবুন,তারা কী মেনে নিবে? সব অবস্থা কে ভাবুন,আপনি তার জন্য কী যোগ্য?
তারপর যে উওর বের হয়ে আসবে সেই অনুসারে কাজ করুন। যদি উওর অনুকুল হয় তাহলে বলে ফেলুন আপনার মনের কথা।
আর প্রতিকুল হলে অপেক্ষা করুন, নিজে যোগ্যতা সম্পন্ন হন তখন তাকে পাওয়া কোন ব্যাপার না।

আর একটা জরুরী কথা বাবা-মা কে কষ্ট দিয়ে কখনো সুখি হওয়া যায় না।
আমাদের বাবা-মা অনেক সময় ভালোবাসা মেনে নেয় না। আমার মনে হয় পৃথিবীতে অসম্ভব বলে কিছু নেই। তাদের কে যদি আপনি বুঝাতে পারেন তবেই তারা মেনে নেবে কারণ বাবা-মা সন্তানের অমঙ্গল চায় না। আর এ জন্য আপনাকে দৈর্য্য ধরতে হবে যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে।

এখন বাকী আছে তাদের কথা যারা কি না ভালোবাসা নামক পবিত্র কথা দিয়ে ভালোবাসার মানুষ গুলো কে ধোকা দিচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্যে আমার এত টুকু বলার আছে। আজ ছলনা করছো মানুষ কে কষ্ট দিচ্ছো। কিন্তু যে পরিমান কষ্ট তুমি দিচ্ছো তা তোমাকে ভোগ করতে হবে। একদিন তো তুমি কাউকে না কাউকে ভালোবাসবে। সে দিন বুঝবে ভালোবাসা কী? ভালোবাসা মানুষ কে হারানো কি অনুভূতি? হয়তো আমার কথা গুলো শুনে মনে করছো আমি ফালতু কথা বলছি। কিন্তু সব কিছুর পর ও আমি বলবো তুমি অন্তত শান্তিতে থাকতে পারবে না।ভালোবাসার কষ্ট তোমাকে পেতে হবে.......।

প্রবাদে আছেঃ ইঁট মারলে পাঁটকেল খেতে হয়।

উপরের এই প্রবাদ বাক্যটি অনেকেই ভুলে যায়।

শেষ কথা ভালোবাসার সংজ্ঞা কেউ বলতে পারবে না।
সত্যিকার ভালোবাসা এমন একটা জিনিষ যা কি না আল্লাহ প্রদক্ত।

আমার কাছে ভালোবাসার অর্থ হচ্ছে শ্রদ্ধা,বিশ্বাস,একজন আরেকজন কে বুঝতে পারা আর Sacrifice.
আপনার কাছে ভালোবাসার অর্থ কী তা আপনি ভাল জানেন??

ধন্যবাদ সবাই কে.........

২৮টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×