somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আন্দোলন নিয়ে নেটে নানা মিথ্যাচার, চেষ্টা বিভ্রান্তি ছড়ানোর

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

'হ্যালো শাহবাগ স্কয়ার! আবেগটা বেশি হয়ে যাচ্ছে না? স্বার্থান্বেষী মহল তাদের স্বার্থে আপনাকে ব্যবহার করছে কি না ভেবে দেখুন।' ইংরেজিতে লেখা এমন এক খুদে বার্তা কেউ একজন মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দিয়েছে। প্রেরকের পরিচয় অজ্ঞাত। শুধু মোবাইল ফোন নয়, ফেসবুক, টুইটারের মতো সামাজিক নেটওয়ার্কে, ব্লগে, কখনো বা লিফলেটে এখন নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর চেষ্টা করছে একটি মহল। কাদের মোল্লার ফাঁসিসহ জামায়াত-শিবিরমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দাবিতে শাহবাগে আন্দোলনরত তরুণ-তরুণীদের ছবি গণমাধ্যম থেকে কপি করে ফেসবুকে দিয়ে আপত্তিকর ও অশ্লীল মন্তব্যও করা হচ্ছে। সেসব অপপ্রচারের কোনো কোনোটির দাঁতভাঙা জবাবও দিচ্ছে আন্দোলনকারীরা।
'শাহবাগের কবিরা' শিরোনাম দিয়ে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, 'শাহবাগের কবিরা, কবিতা লিখুক বা না লিখুক/মুখে গাঁজার গন্ধ লেগেই আছে/মাথায় কিছু থাকুক বা না থাকুক/চিপা গলি সরু পথে টানাটানি চলছেই।'
'আজ শাহবাগে নারী-পুরুষ একসঙ্গে গানের তালে তালে যা করছে, তা কোনো সভ্য মুসলিম দেশে সম্ভব? ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে এই রকম খোলামেলা পুরুষদের মতো নিজেকে কিভাবে উপস্থাপন করে? নাকি দেশপ্রেমের নামে নগ্নতা, বেহায়াপনা? যাই হোক আমরা যে মুসলিম তা ভুলে গেছি? এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে নাস্তিক এবং ইসলামবিরোধীরা। তাই ভুলে যাবেন না, আপনি একজন মুসলিম পরিবারের সন্তান...।' আন্দোলনবিরোধী একজন ফেসবুকে এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে চেষ্টা করেছে নিজেদের মত প্রতিষ্ঠা করতে।
শুক্রবার। শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর। শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল কথা বলছেন একদল আন্দোলনকারীর সঙ্গে। ছবিটি কোনো গণমাধ্যমে গতকাল প্রচারিত হয় এবং সেটিকে বিকৃতভাবে ব্যাখ্যা করে গতকাল পোস্ট করা হয় ফেসবুকে। ছবিতে দেখা যায়, জাফর ইকবালকে ঘিরে থাকা জনতার মধ্যে একেক যুবক পিঠের ওপর নিয়ে আগলে রেখেছে দৃশ্যত তার চেয়ে বেশি বয়সী কোনো নারীকে। ছবির এ অংশটিকে গোল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করে তার নিচে আপত্তিকর ভাষায় অশ্লীলতার অভিযোগ আনা হয়েছে।
শাহবাগ গণজমায়েতের আরো একটি আলোকচিত্র। হাজারো মানুষের জটলা। ছবির এক কোনায় দেখা যায়, কয়েকজন তরুণীকে ঘিরে দৃশ্যত কথা বলছে কয়েকজন তরুণ। তাদের লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করে ছবিটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ফেসবুকে। নিচে লেখা 'কে কাকে ঘেরাও করছে, কেন করছে, সেটা পরে দেখা যাবে! আপাতত তারা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছে।' অন্য একজন লিখেছে, 'এ মুহূর্তে এনটিভির লাইভ নিউজ দেখলে হাসতে হাসতে মরে যেতেন। কয়েকজন রিকশাওয়ালা আর পথচারী টিভি ক্যামেরা ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। শাহবাগে ভিড় বলতে মিডিয়া আসলে ক্যামেরার সামনের ভিড় বোঝাতে চাইছে।'
'কৃষ্ণ রাধার খোঁজে এখন শাহবাগে!!!' মন্তব্য করে শাহবাগের আন্দোলনের আরো একটি আলোকচিত্র পোস্ট করা হয়েছে ফেসবুকে। নিচে মন্তব্য করা হয়েছে : 'কৃষ্ণ করলে হয় লীলাখেলা আর আমরা করলে জাত যায়!...গাঁজা আছে, ঢোল আছে, আছে মেয়ে। ডুগি-তবলা বাজিয়ে আন্দোলন করতে নামছে- যাত্রার সঙ্গে তুলনা করা যায় এটাকে, আন্দোলন বলা যায় না।'
এসব অপপ্রচারের জবাবও দেওয়া হচ্ছে অনেক পোস্টে। একজন লিখেছেন, 'ছাগু দলেরা বলতেছে যে মেয়েরা প্রজন্ম চত্বরে আসছে সবাই...। ছয় মাসের বাচ্চা নিয়ে এক আপু এসেছেন। বাচ্চাটি কিছুক্ষণ পর পরই দুধের তৃষ্ণায় কেঁদে ওঠে, আমাদের কোলে, সেই বাচ্চাকে দিয়ে তিনি চিৎকার করে ওঠেন স্লোগানে জয় বাংলা বলে। বাচ্চাটি কী মনে করে কান্না থামিয়ে দেয়। এই আপু কী ছাগুদের ভাষায় সেই...?'
ফেসুবক ও টুইটার ঘেঁটে দেখা যায়, 'প্যান্টের ওপর আন্ডারওয়ার পরলেই সুপারম্যান হওয়া যায় না', 'অলওয়েজ আই লাভ ইউ, আই মিস ইউ'সহ বিভিন্ন নামে এসব পোস্ট বা কমেন্ট করা হচ্ছে। অনেকে নিজেদের নামও উল্লেখ করছে। এসব পোস্টদাতার পেইজে গিয়ে দেখা যায়, তারা এর আগে জামায়াত-শিবিরসহ বিভিন্ন প্রতিক্রিয়াশীল দলের পক্ষে প্রচারণা চালানোর কাজ করে থাকে।

Click This Link
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজামী, মুজাহিদ, বেগম জিয়াও বিজয় দিবস পালন করেছিলো!!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২০



মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বেগম জিয়ার মুরগী মগজে এই যুদ্ধ সম্পর্কে কোন ধারণা ছিলো না; বেগম জিয়া বিশ্বাস করতো না যে, বাংগালীরা পাকীদের মতো শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে পরাজিত করতে পারে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার থেকে

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×