আসসালামু আলাইকুম
সম্মানিত জনগণ,
শুভ বিকেল।
শুরুতেই আমি পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে-যাঁর নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। আমি স্মরণ করছি মেজর জিয়াসহ স্বাধিকার, গণতান্ত্রিক আন্দোলনসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের। আমি তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
সম্মানিত দেশবাসী,
আপনারা আমাদের দেশবন্ধুর নৌ-ভ্রমণ সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞানী আছেন। আমি দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের কথা বলছি না, আমি বলছি বঙ্গদেশের দেশবন্ধু বঙ্গবন্ধুর কথা। বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনে অনেকবার দেশ ভ্রমণ করেছেন। কখনো কোন নৌকায় উঠতে গিয়ে তাকে যেমন পূর্বপ্রস্তুতি নিতে হয়নি, তেমনি তাঁর প্রিয়জনদেরকেও পূর্বপ্রস্তুতির নামে ফালতু মাথাঘামানোর খায়েশ পূরণ করতে হয়নি। বঙ্গবন্ধু নৌকাকে ভালবাসতেন ফর্মালিন মুক্তভাবে। যার বাস্তবিক প্রমাণ মিলে উনার বিভিন্ন সময়ের নৌযাত্রার দৃশ্যে। এসব বিষয়ে উনি বিশেষভাবে কোন ব্যবস্থাপনার দারস্থ হতেন না। সাধারণ বাঙালির মত সোজাসাপ্টা নৌকার পাটায়ও বসতে পারতেন। এটাই হচ্ছে একজন দেশপ্রেমিকের দেশপ্রেমের প্রমান। আমাদের মত পাছায় তেল নিয়ে ঘুরতেন না। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবীত বলে দাবী করি, তারা যদি বাস্তব মাঠে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উলটো কাজকারবার দেখাই, তবে প্রশ্ন আসবে বাস্তব বঙ্গবন্ধু প্রেমি কারা?
যাকগে, প্রশ্ন করে লাভ নাই। আপনারা সাধারণ জনগণ, আপনাদেরকে এতোসব চিন্তাভাবনা করার অনুমতি দেয়াও বুদ্ধিমানের কাজ না। আপনাদেরকে যত ভুলিয়েবালিয়ে রাখা যায় ততই রাষ্ট্রের মঙ্গল। আশাকরি আপনারা রাষ্ট্রের মঙ্গল চান। তাই চলুন আমরা আমাদের বুদ্ধিজীবীদের জন্য একটা মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করি।
দেশপ্রেমিক মুরিদানরা ভালবেসে নাচার জন্য আকুতি করছে, চলুন সামান্য নেচে নেয়া যাক।
এমন মিলাদ গ্রহণযোগ্যতা পাবে না কয়ে দিলুম (হাসন জায়েয নো )
(আমি এখানে যে ছবিগুলো প্রকাশ করেছি ঐ ছবিগুলোর বিপরীতমুখী কোন ছবি কেউ মন্তব্যের ঘরে প্রকাশ করবেন না। ঈশ্বর না করুন, যেন এখানে কোন রাষ্ট্র বিরোধী কর্ম সম্পাদন না হয়ে যায়।)
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১২