১৯৯৮-৯৯ সাল থেকে প্রথম আলো পড়তাম গতানুগতিক অন্য সব পত্রিকা থেকে কিছুটা আলাদা হবার কারণে।
মোটামুটি নিরপেক্ষ এবং প্রগতিশীল ধারার পত্রিকা হিসেবে চেনাজানা অনেকেই এই পত্রিকার ভক্ত ছিল দেখতাম।
বদলে যাও বদলে দাও স্লোগানে আর সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতায় অল্প দিনেই এই পত্রিকা দেশের অন্য সব পত্রিকা গুলোর মাঝে শীর্ষস্থান দখল করে নেয়।
কিন্তু, বদলে যাবার স্লোগানে একটা সময় গোটা প্রথম আলো গং নিজেই এতোটা বদলে গেছে যে আগ্রহ হারিয়ে ফেলি প্রথম আলোর উপর থেকে।
২০১২ সালে এই পত্রিকায় হাসনাত আব্দুল হাইয়ের লেখা একটা প্রবন্ধ পড়ে প্রথম আলো কেনা বন্ধ করেছিলাম।
এর পর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরের দিন ইন্ডিয়ার অনেক আগের একটা নির্বাচনী কেন্দ্রের ছবি ব্যবহার করে বাংলাদেশের নির্বাচনের প্রতিবেদন ছাপায় প্রথম আলো যেখানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছডানোর নোংরা অভিপ্রায় ছিল স্পষ্ট!!
এসব দেখে প্রবল ঘৃণা জন্মায় প্রগতিশীলতার আড়ালে চরম প্রতিক্রিয়াশীল প্রথম আলোর প্রতি!!
আজ যুদ্ধাপরাধী কামরুজ্জামান এর ফাঁসিতে এই দেশ যখন ইতিহাসের দায়মুক্তির পথে আরো একধাপ এগিয়ে গেলো তখনি এরা কামরুজ্জামান এর ছেলের আবেগঘন সাক্ষাৎকার চাপায়!!
সত্যি বিশ্বাস করতে পারছিনা,মানতে পারছিনা প্রথম আলোর এতটা অধঃপতন!!
দুঃখ লাগছে প্রিয় সম্পাদক মতিউর রাহমানের জন্য!
ছি: কমরেড মতিউর রহমান!!
ছি: প্রথম আলো !!!
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৩৬