স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার একটি অপরিহার্য উপাদান। গনতান্ত্রীক রাষ্ট ব্যবস্থার মৌলিক লক্ষ্য গুলির অন্যতম একটি হচ্ছে রাষ্ট্রে ও সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা। আমার কোনই দ্বি-মত নেই কারও থাকা স্বাভাবিকও নয়। সুতরাং বলা যায় স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার তথা ন্যায় বিচারের লক্ষ্যে আমরা সঠিক পথেই এগুচ্ছি। সবাই হয়তো তাই বলবেন। কিন্তু আমি ভিন্ন ও সত্য বলবো।
আমরা যে ভাবে বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন করছি তাতে আমরা বর্তমান বিচার ব্যবস্থার উকিল, মুক্তার, পেশকার, আইও, জেলার ও বিচারক এই চক্রকে স্বাধীন ভাবে লোক চক্ষুর আড়ালে এদেশের কোটি কোটি সাধারন মানুষের রক্তো চোষার পাকা ফুল প্রুফ আয়োজন করে দিচ্ছি।
আজ প্রতিটি জামীন এবং রায় আজ জেলার আদালত ভবনগুলোতে স্বাধীন ও গোপন ভাবে নীলামে উঠছে ও বিক্রি হচ্ছে। দ্যাশের মানুষগুলোর গরু বেচা ক্ষেত বেচা টাকা খাওয়ার এ এক মহা স্বাধীন ও গোপন আয়োজন প্রতিদিন প্রতিটি জেলায় অর্থাৎ নিম্ন আদালে চলছে। আর উচ্চ আদালত সেতো অনেক উচ্চ দরের।
এর থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় স্বাধীন ও প্রকাশ্য বিচার ব্যবস্থা।
আমরা বলছি, যেমন ধরুন প্রতিদিন জেলা পর্যায়ে আমলি আদালতেই দুই থেকে চারশ নতুন মামলা রুজু হয়। এই সময় যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন তা হলো জামীন। এই জামীন নিয়ে উকিল, পেশকার, আইও, এবং বিচারক লিপ্ত হয় ধান্দা প্রতিযোগীতায়, গরীবের গরু বেচা ক্ষেত বেচা টাকাগুলো নিয়ে।সবাই কন্টাক করে, এত লাগবে অত লাগবে, জামীন কনফার্ম। এই খবরগুলো আদালত পাড়ার চার দেয়ালের বাইরে কখনও যায় না। আর গরীব ভুক্তভুগি ? সেতো ভয়েসলেস। আমরা কিভাবে আমাদের মূর্খ গরীব মানুষগুলিরে একা একা এই বাঘের খাঁচায় ফেলে রাখতে পারি ? এখানে কারও কোন বন্ধু নেই সব রক্ত চোষার দল।
আমরা শুধু চাই, আদালতে উৎসুক পাবলিক, বাদী, বিবাদী, উকিল, পেশকার, আইও, এবং বিচারক ছাড়াও রিপোর্টার সাংবাদিকরা তাদের ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে ছবি তুলতে, ভিডিও করতে পারবে তবে বিচারককে কোন প্রশ্ন করতে পারবে না। জেলার মানুষগুলি লোকাল পত্রিকায় তাদের আদালতের খবরগুলো জানতে পারবে। এটার নামই আসল স্বাধীনতা। বর্তমানে যা আছে তা হলো স্বাধীনভাবে লোকচক্ষুর আড়ালে রক্ত চোষার স্বাধীনতা।
কাল থেকে সাংবাদিক রিপোর্টাররা ক্যামেরা নিয়ে আদালতে বসে থাকবে।
দ্রঃব্যঃ বরর্তমানের ৬৪ জেলার ৬৪ জন দায়রা জজ্বের ৫০ অধিক জনের ঢাকায় ৫০ লাখ টাকার অধিক মূল্যের ফ্লাট আছে। কারও কি কি আছে তার হিসাব নেই। একজন দায়রা জজ ইনসপেক্টর জেনারেল অব রেজিষ্ট্রেশন হতে দুই কোটি টাকা দিতে রাজি থাকে, কারন ২ মাসে বিনিয়োগ উঠে আসবে। দ্যাশে আসলে অনেকগুলি পদ নিয়মিত নীলামে উঠে। দুদক কালই এগুলির প্রত্যেকটার সম্পদের হিসাব চাইবে ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




