somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পঃ বাহ্যিক লাভ-ক্ষতির হিসাব নয়, প্রত্যেকের ভূমিকা এবং স্বার্থকে যথাযথ বিশ্লেষণ করে শত্রু চিহ্নিত করে করণীয় নির্ধারণ করতে বাংলাদেশ সহ দক্ষিন এশিয়ার জনগণকে শিখতে হবে-৩

০৯ ই জুন, ২০০৯ রাত ৯:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রকল্পে অর্থায়নঃ-
প্রকল্পটি ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি রূপীর একটি পরিকল্পনা যদিও পরিকল্পনার প্রাক্কলিত ব্যয়ের চেয়ে বাস্তবায়ন শেষে চূড়ান্ত ব্যয় কয়েকগুন বেশী হবে। কারণ প্রাথমিক রিপোর্টে দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্পের বার্ষিক অবমূল্যয়ন সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির ব্যয় বাস্তুবিদ্যা (ইকোলজি, পরিবেশ , বন্যপ্রানী এবং বাস্তচু্যতদের পুনবার্সন সংকান্ত) ব্যয় ধরা হয়নি। নদীসংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য গটিত টাস্কফোর্সের রিপোর্টে তিনভাবে অর্থসংগহের কথা বলা হয়েছে -
প্রখমতঃ বেসরকারী অর্থনিয়ে দিতীয়তঃ সরকারী ও বেসরকালী যৌথ উদ্যোগে এবং তৃতীয়তঃ সরাসরী জনগন থেকে সংগ্রহ । বেসরকারী অর্থ সংগ্রহের ক্ষেত্রে আশা প্রকাশ করাহয়েছে , যেহেতু এই সংযোগ প্রকল্পের অধীনে অনেকগুলো জলবিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে তাই এসব প্রকল্পে বিনিয়োগকারী বেসরকারী সংস্হাদের হাতে ঐ প্রকল্প থেখক অর্জিত রাজস্ব স্বাধীনভাবে আদায়ের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে । ও যেবসাইটে আশা প্রকাশ করা হয়েসে এর ফলে বহূ বেসরকারী সংস্থা বিনিয়োগে উৎসাহী হবে। সরকারী বেসরকারী অংশীদারিত্বমূলক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে নিমার্ন কাজের ঠিকাদারী নিমার্ন পরিকল্পনা হস্তান্তর চুক্তি অর্থ বিনিযোগকরলে বিশেষ ছাড় প্রদান এবং যৌথ উদ্যেগের প্রস্তাব ও যয়বসাইটে উপস্থাপন করাহয়েছে।
টাস্কফোর্সের কর্মতৎপরতার নিদর্শন হল অতিদ্রু বিদেশী সহয়তার প্রতিশ্রুতি আদায় ভারতের রাষ্টপতির উদ্যাগে টেক্রাস রাজসরকার ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পে অর্থায়নে সম্মত হয়েছে । বাংলাদেশের পানিসম্পদ মন্ত্রনালয়ও যৌথ নদী কমিশন সূত্রে জানা গেছে ভারত প্রকল্পে ১ লাখ কোটিরাপী অথায়নের অনুরোধ জানিয়ে বিশ্বব্যাংকের কাছে প্রকল্পপ্রস্তাব পেশ করেছে। বিশ্বব্যাকে ভারতের শক্তিশালী লবিথাকায় ভারত এই সাহায্যের ব্যাপারে যথেস্ট আশাবাদী। ভারতের তামিলনাড়ু ভিত্তিক একটি প্রতিষ।টান ও এব্যাটারে বিশ্বব্যাংকে জোর লরিং চালাচ্ছে। নদীসংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়নের পর বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করবে গুজরাট হরিয়ানা তামিলনাড়ু এবং নমধ্যপ্রদেশের অসংখ্যবিশাল পানি উন্নয়ন প্রকল্পকে। এছাড়াও সম্প্রতি বশ্বিব্যাংক ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যেগে তৈরী একটি স্টাডিপেপার ( বাংলাদেশের পাত্রি সম্পদের নিরূপদ সমীক্ষা ) প্রকল্পের পক্ষে বিশ্বব্যাংকের অবস্থান প্রকাশ পেয়েছে। বাংলাদেশ যদিও প্রকল্পটি বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর মর্মেআনুষ্টানিক আপত্তিজানিয়েছে । কিন্তু ভারত প্রস্তাবে বুল্লেখ করেছে যে বাংলাদেশ এতে ক্ষতিগ্রস্থ হবেনা । এসকলদিক বিবেচনায় বিশ্বব্যাংক প্রকল্পে অর্থায়নে সম্খত এই নদীসংযোগ প্রকল্পটি ২০১৬ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য সপ্রীমকোর্টের রায়ের পেক্ষিতে একটি টাস্কফোর্স গঠনকরাহয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর ২০০২ টাস্কফোর্সের অনুমোদন দেওয়াহয় । টাস্কযফার্স কতার কাজ সমূহকে কয়েকটি ধানে বিভক্তকরে একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা গ্রহনকরেছে । এই পরিকল্পনার কিছুগুরুত্বপৃর্ন দিকহল প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই চূড়ান্তকরন (৩১ ডিসেম্বর ২০০৫এর মধ্যে) রাস্তবায়নের জন্য পৃর্নঙ্গে পরিকল্পনা তৈরি (৩১ ডিসেম্বর ২০০৬ ) অর্থায়নের বিকল্পযুযোগ নিশ্চিতকরন এবং আন্ত:রাজ্য মতৈক্য পতিষ্ঠা । পরিকল্পনার আলোকে সবকটি কাজই অত্যন্ত দ্রুততার সাথে এগিয়েচলছে। এরমধ্যে ১০টি সংযোগ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা মাচাইয়ের কাজশেষ হয়েছে। ভারত এই সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্পরে আওতায় টিপাই নদীতে বাধঁ নিমার্নের কাজশুরু করেছে। অর্থায়নের ব্যাপারে গুরুত্বপৃর্ন উহদ্যাগনিয়েছে। আগামী ৫বছরে টাস্বফোর্সের জন্য ধরা হয়েছে ১২শ কোটিরূপী । ভারতে অথীতে বিভিন্নে সেচও জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের আওতায় সেসকলবাঁধ নির্মান ও সেচখালখনন করেছে সেগুলো বর্তমান প্রকল্পের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহায়ক হবে। নতুনকরে বাঁধনিমার্ন না করে ও বিভিন্ন সেচ ও সংযোগখাল গুলোকে একত্রে জুড়ে দিয়ে ভারত তার এই প্রকল্প সম্পাদন দ্রুততার সাথে এগিয়ে নিতে পারবে।
(চলমান)
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×