somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আধুনিক বাংলা সিনেমা ০৩

৩১ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ২:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাত সোয়া দশটার সময় স্বর্ণা ও রুপা দু্ইবোন এসে উপস্থিত হলো। আমার একটু ঝিমুনি এসে গিয়েছিল। কেবিনের সামনে এসে দুইবোনের কান্নার শব্দে আমার ঘুম ভাঙ্গল। আমি ভেবেছিলাম সকাল হয়ে গেছে বুঝি। কিন্তু না। দুই বোন একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কাদছে । স্বাভাবিক ।

নার্স বোঝানোর চেষ্টা করছেন। আমিও এগিয়ে গেলাম। নার্স আমাকে দেখেই বলে ফেললেন-ভাগ্গিস আপনার বড় ভাই সেদিন আপনার বাবার সাথে ছিলেন।
দুই বোন আমার দিকে তাকাল। কে কার ভাই আর কার বোন সেটা ভাবার সময় এখন নয় । স্বর্ণা কিংবা রুপা কেউ একজন আমাকে বলল-আপনিই তাহলে আমার বাবাকে এখানে নিয়ে এসেছেন।
আমি বললাম-হ্যা।
সে বলল-আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমি বললাম-না না ধন্যবাদ দেয়ার কিছু নেই ।
অপর বোনটি বলেই ফেলল-কেন আপনি আমার বাবাকে স্কয়ারে নিয়ে না যেয়ে এখানে নিয়ে আসলেন কেন?
এ জায়গাটা কিরকম নোংরা দেখেছেন।

আমি একটু স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। বুঝতে পারলাম এই হয়তো বুড়ো মানুষটার ছোট মেয়ে তার মানে স্বর্ণা। আমাকে কিছু বলতে হলো না । বড় বোন রুপাই ছোট বোন স্বর্ণা কে সামলে নিল। আমার দিকে চেয়ে বলল-ও আমার ছোট বোন স্বর্ণা । খালি লম্বাই হয়েছে বুদ্ধিসুদ্ধি কিছুই হয়নি।। আপনি ওর কথা কানে মাখবেন না।
আমি মৃদু হেসে বললাম- না মাখলাম না।
স্বর্ণা নাক উচিয়ে দাড়িয়ে রইল।

রাত পৌনে এগারটা । আমি বিদায় নিচ্ছি । হাসপাতাল একেবারেই নীরব। মনে হচ্ছে হাসপাতালের স্টাফ সহ সবাই ঘুমিয়ে গেছে। মেয়ে দুটো কেবিনে বাবার সাথে কথা বলতে গিয়েছে । ভাবছি ওরা বের হলেই আমি বিদায় নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হবো।
হাসপাতালের করিডরের কিছু লাইট নিভিয়ে দেয়া হয়েছে।

মেয়ে দুটো বের হয়ে আসতেই আমি তাদেরকে জানালাম। আমি চলে যাচ্ছি। তেমন আপত্তি তারা জানাল না। খালি বলল-তার বাবার জন্য নিচ থেকে জুস আর বিস্কিট নিয়ে আসতে। আমিও আপত্তি জানালাম না। বিস্কুট কিনে দিয়ে আমি রওনা হলাম।

এবার বহু কষ্টে বাসে উঠলাম। এই সময় বাস পাওয়া যাবে সেটাই ভাবতে আশ্চর্য হল। বাসে উঠেছি। কারওয়ান বাজারের সামনে । হঠাৎই মোবাইলের ভাইব্রেশনে মোবাইল টা বের করে অবাক হলাম। আরে এইযে ওই লোকটার মোবাইল।

দিতে মনে ছিল না। রুপা ফোন করেছে। নাম্বার সেইভ করা। আমি ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকেই কান্নার আওয়াজ পেলাম।


কোনমতে রুপা জানাল তার বাবা আর নেই।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×