ডিজিটাল বাংলাদেশ পেতে হলে আপনার মনোভাব কেমন হওয়া উচিত?
১.দিনে কিংবা রাতে যখনই যতক্ষনের জন্য বিদ্যুত যাবে আপনি কিছুই মনে করতে পারবেন না,ভাবতে হবে এটাও ডিজিটাল প্রক্রিয়ারই একটি অংশ।
২.আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে হঠাৎই লাখ কোটি টাকা গায়েব হয়ে যেতে পারে এতেও ভাবনার কিচ্ছু নেই,এটাও ডিজিটাল প্রক্রিয়ার গায়েব বাণিজ্যের একটি অংশ।
৩.আপনার পার্ক করে রাখা গাড়িটি অযথাই কেহ দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে গেলেও তাতে আপনি দাত কেলাতে কেলাতে গাড়িটি পরিদর্শন করে আসতে পারেন,ভাবতে হবে যাক অনেক দিন তো হল এবার নতুন গাড়ি কেনা যাক।
৪.আপনার বাসা কিংবা অফিসের দরজা খোলা রাখার মতো সাহসিকতা অর্জন করতে হবে। নইলে চোর ডাকাত দরজা ভেঙ্গে ঢুকবে,এতে আপনার লোকসান আরো বেশি হবে।
৫.এই ডিজিটাল বাংলাদেশে বিটিভি ছাড়া অন্য কোন খবর দেখলে আপনার চলবে না। মনে রাখতে হবে আপনি নিয়মিত বিটিভি সংবাদ দেখলেন তো ডিজিটাল বাংলার জন্য আরো একধাপ অগ্রসর হলেন।
৬.নিজে না খেয়ে থাকলেও সেটা বলা যাবে না ন্ইলে জাত যাবে,রাস্তা ঘাটে সাংবাদিক ভায়েরা ধরলেই বা না ধরলেও সেক্ষেত্রে এগিয়ে গিয়ে বলবেন -কই নাতো বাজার তো সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে । ওইদিন তো আমার চাচা বলছিল-এখন কি সুন্দর দিন কাটাচ্ছি।
৭.ডিজিটাল বাংলার জন্য আপনার সন্তানকে আদর্শলিপি পড়ানোর কথা মাথায়ই রাখবেন না । মনে রাখবেন ,সততা থাকলেই ভবিষ্যত অন্ধকার আর ডিজিটাল বাংলাদেশ অন্য কার।
৮.ভেজাল ও বিষ মুক্ত খাবার খেতে হবে সেটা আপনি জানেন,কিন্তু আপনি খেতে পারবেন না,কারণ ভেজাল না খেলে আপনি দীর্ঘায়ু হবেন,কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশ এ লোকসংখ্যা কমানো দরকার তাই আপনাকে মরতে হচ্ছে তাই ভেজাল খাওয়া আবশ্যক।
৯.যেভাবে হোক আর যেপথেই হোক টাকা উপার্জন আপনাকে করতে হবে,কারণ ডিজিটাল ঢাকায় থাকতে হলে আপনাকে আগামীতে ফ্ল্যাটের দামে বাড়ি ভাড়া দিয়ে থাকতে হবে। তাই আপনার বেতন বাড়লো কিনা সে খবর কারো দরকার নেই আপনি থাকবেন কিনা সেটাই ব্যাপার। থাকতে চাইলে ধরেন মারেন আর টাকা কামান।